আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
Assalamualaikum,

আমার পান খাওয়ার অভ্যাস আছে। কিন্তু আমার স্ত্রী তা পছন্দ করে না। একদিন মোবাইলে কথা বলার সময় সে আমাকে পান খেতে নিষেধ করে। আমি রাগ বলি যে, ' আমি পান খাবোই এবং যে থাকতে চায় সে থাকবে, আর যে থাকতে না চায় সে যেন চলে যায়। আমার এই কথার দ্বারা সে মনে করছে যে, আমি তাকে তার নফসের উপর তালাক দেয়ার অধিকার দিয়েছি। অথচ বিয়ের দিন কাবিননামায় স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক দেওয়ার অধিকারের বিষয়ে কাজি সাহেব আমাকে কোন কিছু জিজ্ঞেস করেন নি। কাবিননামার কোনো শর্ত না দেখেই আমি সাক্ষর করি। কাজি সাহেব স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অধিকার দিয়েছেন কিনা তা আমি এখনো জানি না।

আমার স্ত্রীর ওয়াসওয়াসা সম্যসা খুব বেশি। সে এই বিষয়ে ফোনে আলেমা, একজন মুফতি সাহেবের আর তার বাবা মায়ের সাথে কথা বলে। এখন তার মনে হয় তাদের সাথে কথা বলার সময় হয়তো নিজ নফসের উপরে তালাক দেওয়া এইটা বলে ফেলেছে।

 আমার প্রশ্ন হলো সে যদি তার স্বামী বাদে অন্য কাউকে শুনিয়ে নিজ নফসের উপরে তালাক দিয়েও থাকে তাহলে তালাক পতিত হবে কিনা?

২.) আমার স্ত্রী কাছে মনে হচ্ছে, সে কোন কুফুরি কথা বলে ফেলছে। এখন যদি সে ওয়াসওয়াসা অবস্থায় কোন কুফুরি কথা বলে থাকে, তাহলে কি কুফুরি হবে?

বি:দ্র: আমার স্ত্রী ২০১৮ সাল থেকে ওয়াসওয়াসা রোগী। তার মনে প্রায় সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খুব বেশি সন্দেহ কাজ করে।গত বছর আমাদের বিয়ে হয়। ইদানীং তার বিয়ে নিয়ে ওয়াসওয়াসা শুরু হয়। ইতিপূর্বে তাকে  রুকইয়াহ সেন্টারে চিকিৎসা করানো হয়েছিল এবং বর্তমানে ডাক্তারি চিকিৎসা চলমান আছে।

1 Answer

0 votes
by (707,560 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার স্ত্রী ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত।তাকে ডাক্তার দেখান। তালাকের ওয়াসওয়াসা বা কুফরির ওয়াসওয়াসা আসার কারণে কোনো তালাকই পতিত হবে না।এবং কেউ কাফিরও হবে না। মন থেকে সকল ওয়াসওয়াসা দূর করতে সর্বদা আল্লাহর কাছে শয়তান থেকে ক্ষমা চান।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (707,560 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 133 views
...