আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
89 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (12 points)
আসসালামুআলাইকুম ওরাহ্মাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ...
আমার কয়েক্টি প্রশ্নঃ
প্রশ্ন ১ঃ আমি জামায়াতে নামায পড়াকালে সবার সাথে সালাম ফিরানোর সময় সবাই যখন ডান দিকে সালাম ফিরাচ্ছিল আমিও তখন ডান দিকে সালাম ফিরাচ্ছিলাম.. কিন্তু আমি আসসালামু আলাইকুম ওরাহ্মাতুল্লাহ উচ্চারণ করতে এক্টু দেরী হচ্ছিল যার কারণে বাকী সব মুক্তাদি সবাই ডান দিকে সালাম ফিরিয়ে বাম দিকেও সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করে নেয়.. আমি তখনও ডান দিকেই সালাম ফিরাচ্ছিলাম আসসালামু আলাইকুম ওরাহ্মাতুল্লাহ উচ্চারণে দেরী হওয়াতে.. এমতাবস্থায় আমার মনে হয় যে লোকে আমার দিকে তাকাচ্ছে, এই জন্য আমি সালাম দ্রুত ফিরিয়ে নেই.. এখন লোকের জন্য আমি যে সালাম দ্রুত ফিরালাম উক্ত কাজটি কি রিয়া হয়ে গেছে?

২/ কেউ যদি কোন অন্যায় কাজ দেখে হাত দিয়ে,মুখ দিয়ে বাধা বা অন্তর দিয়ে ঘৃণা করল না, সে শুধু জানল যে, এই কাজটি খারাপ হচ্ছে... তাহলে কি তার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান নেই?আমি এক্টি হাদীসে পড়েছি যেখানে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান নেই একথা বলা হয়েছে..সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান না থাকলে তো জান্নাতে যাওয়া যাবে না..তাহলে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান নেই কথাটি যে হাদীসে আল্লাহর রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম উল্লেখ করেছেন এই হাদীসের ব্যাখ্যা কি?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/5409 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
মোটকথাঃ
আপনি তখন আপনার সমস্ত দু'আকে শেষ করে সালাম ফেরাবেন।

(ফেকহী বিশ্লেষণ)
নামাযে মুক্বতাদির(মুসাল্লির)জন্য ইমাম সাহেবের অনুসরণ কোন কোন ক্ষেত্রে কতটুকু অত্যাবশ্যকীয়, এ সম্পর্কে ফাতাওয়া শামী১/৫০১-তে সুবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে।
নিম্নে তা প্রদত্ত হল.....
ﻗﻮﻟﻪ : ( ﻭﻣﺘﺎﺑﻌﺔ ﺍﻻﻣﺎﻡ )
ﻭﺍﻟﺤﺎﺻﻞ ﺃﻥ ﻣﺘﺎﺑﻌﺔ ﺍﻻﻣﺎﻡ ﻓﻲ ﺍﻟﻔﺮﺍﺋﺾ ﻭﺍﻟﻮﺍﺟﺒﺎﺕ ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺗﺄﺧﻴﺮ ﻭﺍﺟﺒﺔ، ﻓﺈﻥ ﻋﺎﺭﺿﻬﺎ ﻭﺍﺟﺐ ﻻ ﻳﻨﺒﻐﻲ ﺃﻥ ﻳﻔﻮﺗﻪ ﺑﻞ ﻳﺄﺗﻲ ﺑﻪ ﺛﻢ ﻳﺘﺎﺑﻊ، ﻛﻤﺎ ﻟﻮ ﻗﺎﻡ ﺍﻻﻣﺎﻡ ﻗﺒﻞ ﺃﻥ ﻳﺘﻢ ﺍﻟﻤﻘﺘﺪﻱ ﺍﻟﺘﺸﻬﺪ ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺘﻤﻪ ﺛﻢ ﻳﻘﻮﻡ ﻻﻥ ﺍﻻﺗﻴﺎﻥ ﺑﻪ ﻻ ﻳﻔﻮﺕ ﺍﻟﻤﺘﺎﺑﻌﺔ ﺑﺎﻟﻜﻠﻴﺔ، ﻭﺇﻧﻤﺎ ﻳﺆﺧﺮﻫﺎ، ﻭﺍﻟﻤﺘﺎﺑﻌﺔ ﻣﻊ ﻗﻄﻌﻪ ﺗﻔﻮﺗﻪ ﺑﺎﻟﻜﻠﻴﺔ، ﻓﻜﺎﻥ ﺗﺄﺧﻴﺮ ﺃﺣﺪ ﺍﻟﻮﺍﺟﺒﻴﻦ ﻣﻊ ﺍﻻﺗﻴﺎﻥ ﺑﻬﻤﺎ ﺃﻭﻟﻰ ﻣﻦ ﺗﺮﻙ ﺃﺣﺪﻫﻤﺎ ﺑﺎﻟﻜﻠﻴﺔ،، ﺑﺨﻼﻑ ﻣﺎ ﺇﺫﺍ ﻋﺎﺭﺿﻬﺎ ﺳﻨﺔ، ﻛﻤﺎ ﻟﻮ ﺭﻓﻊ ﺍﻻﻣﺎﻡ ﻗﺒﻞ ﺗﺴﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﻘﺘﺪﻱ ﺛﻼﺛﺎ ﻓﺎﻻﺻﺢ ﺃﻧﻪ ﻳﺘﺎﺑﻌﻪ، ﻻﻥ ﺗﺮﻙ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﺃﻭﻟﻰ ﻣﻦ ﺗﺄﺧﻴﺮ ﺍﻟﻮﺍﺟﺐ ﺍﻩ ﻣﻠﺨﺼﺎ
তরজমাঃ
মোটকথা-ফরয এবং ওয়াজিব রুকুন সমূহে কালক্ষেপণ ব্যতীত ইমামের অনুসরণ ওয়াজিব।যদি কোনো ওয়াজিব আদায় করতে মুক্বতাদি ইমাম থেকে পিছনে থেকে যান,তাহলে মুক্বতাদির জন্য উচিৎ তা তরক না করা,বরং তা তারাতারি আদায় করে ইমামের অনুসরণ করা।যেমনঃ-
যদি ইমাম সাহেব মুকতাদির তাশাহুদ পড়ার পূর্বে তৃতীয় রাকা'আতের জন্য দাড়িয়ে যান,তখন মুক্বতাদি তাশাহুদ পূর্ণ করে তৃতীয় রাকা'আতের জন্য দাড়াবেন।কেননা ইমাম থেকে পিছিয়ে উক্ত রুকুন আদায় করাতে ইমামের পরিপূর্ণ অনুসরণ বিসর্জিনন হচ্ছে না।বরং এতে ইমামের অনুসরণে একটু দেড়ী হচ্ছে মাত্র।তবে অনুসরণকে পুরোপুরি বিসর্জন দেওয়াটা কখনো উচিৎ হবে না বরং দোষণীয়।কোনো এক ফরয বা ওয়াজিব রুকুনকে পুরোপুরিভাবে পরিত্যাগ করার চেয়ে একটিকে ইমাম থেকে পিছিয়ে আদায় করে দ্বিতীয়টিকে ইমামের সাথে আদায় করা অবশ্যই উত্তম ও প্রশংসনীয় কাজ।
তবে যদি কখনো কোনো সুন্নাত আদায় করতে ইমাম থেকে কোনো মুক্বতাদি পিছনে থেকে যায়,যেমনঃ- রুকু বা সেজদাতে মুক্বতাদির তিন তাসবিহ পড়ার পূর্বে ইমাম সাহেব মাথা উত্তোলন করে ফেলেন,তাহলে এক্ষেত্রে  বিশুদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য অভিমত হল,মুক্বতাদি তাসবিহ না পড়ে ইমাম সাহেবকে অনুসরণ করবে।কেননা
সুন্নাতকে পরিত্যাগ করা ওয়াজিবকে ইমাম থেকে পিছিয়ে আদায় করার চেয়ে অনেক উত্তম।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে রিয়া হবে না।

(২)
অন্তর দিয়ে ঘৃণা না করার অর্থ হল, কাজটি ভালো। কোনো গোনাহের কাজকে ভালো মনে করা ঈমানের জন্য খতরনাক।সুতরাং তার আখেরাত কি হবে? তা আল্লাহই ভালো জানেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 113 views
...