আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
82 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ,ইদানিং তালাকের ওয়াসাওয়াসা আমার মাথায় প্রচুর আসে আমার মাথায় ।

প্রশ্ন-১ আমার মনের মধ্যেই  আসে ব্যাপার গুলো শুধু  যেমন নামাজে দাড়াঁলে ৩বার সূরা পড়া যাবে না বা অন্য কিছু পড়া যাবে না , দোকানদার চা দিলো ৩জন কে ৩নং টা যেন আমি না খাই  দেখা গেল ৩নং টা আমি পেলাম তখন মনের কথা ভয়ে আমি ওদের কে বলি আমাকে তোর চা টা দে পরে উচ্চারন করে বলি সমস্যা নাই দূর মন তো কথ কথাই ভাবাই আমাদের এবং আমি ৩নং চা টাই খাই ।চিন্তা গুলো মনের মধ্যে আসে আর কি খাওয়া যাবে না, খেলে বা করলে তালাক হবে । আমি কোন কাজ শান্তি মত করতে পারছি না । সব ক্ষেত্রেই বা বেশি ক্ষেত্রেই এই সব মনের মধ্যে আসে । শুধু মনের মধ্যেই চিন্তা গুলো আসে কোনো কিছু করতে গেলেই এই সব মনের মধ্যে আসে । আমি মনের কথা পাত্তা নি দেয়ে আমি কাজ গুলো করিও ।তখন ঔ প্রেক্ষিতে উচ্চারন করে বলি দূর এই গুলো কোনো সমস্যা না  মনে আসলে আমি কি করতাম । নামাজে ৩ বার সূরা পড়ি  ও এজাতীয় আরও অনেক কাজ  কিছুই করছি ।করার পর ভীষন চিন্তায় পরে যাই । আমার কি কোনো সমস্যা  হলো নাকি কাজ গুলো করাতে ? আরও চিন্তায় পড়ি আমি কি মুখে বলছি কিন্তু বলি নি  মুখে । মনের মধ্যেই ব্যাপার টা আসে শুধু। আমি কথা বলতেও ভয় লাগে মাঝে মাঝে ।
প্রশ্ন -১। মনের মধ্যে আসছে একটা কাজ, মন বলছে এই কাজ করা যাবে না ,কাজ গুলো করলে তালাক হবে ।কিন্তু আমি  মনের কথা পাত্তা না দিয়ে কাজ গুলো করছি ।আমার কি কোনো সমস্যা হইছে কাজ গুলো করাতে ? মনে তো কত কথাই আসে তাই না ?
২।এই গুলো কি শয়তান কতৃক হচ্ছে ? আমারে ধোঁকা দিচ্ছে ?

৩। আমি কি একদম নির্ভয় থাকতে পারি ?

৪।আমাকে একজন মুফতি সাহেব বলছে এই গুলো নিয়ে যত আলোচনা করবো ততই সমস্যা হবে । আমার কি উচিত এই সব আলোচনা বন্ধ করে দেওয়া ?

৫। মনের মধ্যেই যাই ঘটুক বা এ জাতীয় কিছুই ঘটুক প্রশ্ন আর না করা উচিত? সাহায্য করবেন দয়া করে ।

৬।যা কিছুই ঘটুক বা ঘটছে আল্লাহ এর উপর ভরসা করে আগানো যাবে কিনা ? নির্ভয়ে একদম ।

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।
ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
(০১)
আপনি যে মনের কথা পাত্তা না দিয়ে কাজ গুলো করছেন,এটিই সঠিক।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
মনের কথাকে পাত্তা দিতে গেলে সমস্যা বাড়তেই থাকবে।
তাই আপনার কাজই সঠিক।
মনের কথাকে পাত্তা দেয়া যাবেনা।


(০২)
হ্যাঁ, এগুলো শয়তান কর্তৃক।

(০৩)
হ্যাঁ, আপনি একদম নির্ভয় থাকতে পারেন।

(০৪)
হ্যাঁ আপনার জন্য এই সব আলোচনা বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
অতিব জরুরি। 

(০৫)
হ্যাঁ,  মনের মধ্যেই যাই ঘটুক বা এ জাতীয় কিছুই ঘটুক প্রশ্ন আর না করা উচিত।

(০৬)
হ্যাঁ,  আপনি আল্লাহ এর উপর ভরসা করে নির্ভয়ে এগিয়ে যেতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...