আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
148 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম,

১৷সহবাস সম্পন্ন হলে কেউ যদি শিউর হয় তার পিরিয়ড হয়ে গেছে , তবে এটা শিউর হতে পারে না যে এটা সহবাসের আগে ,পড়ে,কিংবা মাঝে হয়েছে ।তখন করণীয় কি ??[উল্লেখ্য পিরিয়ড হয়ে যাবে ভেবেই সহবাস করা হয় , কিন্তু করার পর দেখা যায় হয়ে গেছে]

২৷পিরিয়ড শেষ হয়ে গেছে ভেবে সহবাস করা হয় কিন্তু সকালে[করার আগে কিংবা পড়ে বেশ কয়েক ঘন্টা বন্ধ ছিলো, এবং পিরিয়ডের নিয়ম অনুযায়ী ঐদিন শেষ দিন ছিলো] আবার পিরিয়ড শুরু হয় এই অবস্থায় বিধান ?

৩৷ স্ত্রী মন থেকে কোনোভাবেই চাইছে না যে আত্নীয় নন মাহরামের (স্বামীর আপন ভাই,দুলাভাই)সাথে ফোন দিয়ে মাঝে মাঝে খুজ নিয়ে কথা বলতে ,কিন্তু স্বামীর বোন বিভিন্ন সময় তাকে ফোন দিয়ে একপ্রকার জোর করেই তার স্বামীর সাথে ফোন দিয়ে কথা বলতে হালকা খোজ খবর (,কেমন আছেন,বাসায় আসেন )এই জাতীয় কথা যখন বাসায় আসেন তখন পর্দার আড়াল থেকে এরকম হালকা কথা বলতে প্রায় ই বলে ,কিন্তু স্ত্রী এটা কোনো ভাবেই মন থেকে মেনে নিতে পারছে না কারণ সে চায় না কোনো নন মাহরাম তার গলা শুনুক   ,স্বামীও এই অবস্থায় স্ত্রীকে সাপোর্ট দিচ্ছে না আবার জোড় প্রয়োগ করছে না আবার বোনকেউ এই বেপারে নিষেধ করছে না , এই অবস্থায় এটা কি স্ত্রীর উপর জুলুম হচ্ছে ?? স্বামী কি স্ত্রীকে পর্দার মতো ফরজ পরিবেশের ব্যাবস্থা করে দিতে পারছে ইসলামী শারীয়াহ মতো ?


৪৷নামায পড়া অবস্থায় যদি পায়ের টাখনু বের হয়ে যায় তবে কি নামায হবে ?

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হায়েজ অবস্থায় (পিরিয়ড চালাকালিন সময়)  স্ত্রী সহবাস করা হারাম।

পবিত্র কুরআন ও হাদীসে এ সময়ে সহবাস করতে পরিস্কার নিষেধাজ্ঞা আসছেঃ

وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ ۖ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ ۖ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطْهُرْنَ ۖ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللَّهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ [٢:٢٢٢]

আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও,এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না,যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে,তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [সূরা বাকারা-২২২]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ أَتَى حَائِضًا، أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا، أَوْ كَاهِنًا، فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ.

 হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন ঋতুবতীর সাথে মিলিত হয় কিংবা কোন মহিলার পশ্চাৎদ্বারে সঙ্গম করে অথবা কোন গণকের নিকটে যায়, নিশ্চয়ই সে মুহাম্মাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করে’। [তিরমিযী, হাদীস নং-১৩৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৩৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৯২৯০]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এক্ষেত্রে সহবাসের আগে যেহেতু পিরিয়ড আসা সম্পর্কে তারা নিশ্চিত হয়নি।
তাই তাদের এই সহবাসে গুনাহ হবেনা,ইনশাআল্লাহ ।   

(০২)
এ অবস্থায় আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।
এটি ইচ্ছাকৃত ভুল নয়,অনিচ্ছায় ভুল। 
আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
    
(০৩)
এই অবস্থায় এটা স্ত্রীর উপর জুলুম হচ্ছে।

স্বামী তো এখানে তার বোনকে সাপোর্ট দেয়নি,আর স্পষ্ট নিষেধ করলে হয়তোবা বোনের জামাই ঝামেলা করবে,তাই স্পষ্ট আকারে নিষেধ বা বাধাও দিচ্ছেনা।

সুতরাং এক্ষেত্রে বলা যাবে যে স্বামী স্ত্রীকে পর্দার মতো ফরজ পরিবেশের ব্যাবস্থা করে দিতে পারছে ইসলামী শারীয়াহ মতো।

(০৪)
এতে যেহেতু পায়ের একচতুর্থাংশ প্রকাশ পায়নি,তাই নামাজ হয়ে যাবে।
তবে অবগত হওয়ার পর দ্রুত ঢেকে ফেলা উচিত। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...