আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
91 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

কোন স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর স্বামী যদি বলে তুমি দাও।স্ত্রী তখন  মনে মনে স্বামীর দিকে ইন্গিত করে ৩ তালাক দেয় মানে ৩ বার স্বামীর দিকে মনে মনে ইন্গিত করে তা......... বলেছে শুধু।সে নিজের দিকে করে নি ইন্গিত কারন সে জানতই না মেয়েরা তালাক দিতে পারে নিজেদেরকে স্বামী অধিকার দিলে ।এতে কি তালাক হবে?এরকম কয়েকবার হয়েছে।মানে যতবার স্ত্রী তালাক চাইত ততবার বলত স্বামী কথা ওটা মানে তুমি দাও কারন স্বামী চাইত না স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে। তখন তহ মেয়েরা তালাক দিতে পারে যে সেটা ওরা জানত না ওরা।তহ স্ত্রী অনেক মাস পরে  স্বামীকে জিগ্যেস করে "আমি  তালাক চাইলে তুমি বলতা যে তুমি দাও।এটা কাকে দিতে বলতা যে? তুমাকে?স্বামী বলে "থেত এগুলো মন থেকে বলতাম না। ছেড়ে  দিব বা ছেড়ে দিছি এগুলো তুমাকে থামানোর জন্য বলতাম যে"।কিন্তুু স্বামী আগে কোনদিন বলে নি ছেড়ে দিছি,দিব বলত।স্ত্রী জানে না বলেছে কিনা , স্ত্রীর যদ্দুর    মনে পড়ে বলে নি কিন্তুু ছেড়ে দিব সেটা বলত দিছি বলে নাই।কারন স্ত্রী কেনায়া তালাক সম্পর্কে না জানলেও সরাসরি তালাক দেই নাই সেটা জানে,বাকিটা আল্লাহ জানে বলেছি কিনা।এমনকি কিছু দিন আগেও স্ত্রী প্রশ্ন করেছিল তখন না বলছিল স্বামী মানে সরাসরি তালাক দেই নি।  । স্বামীর তেমন মনে থাকে না কথা,৩ দিন আগে কি বলেছে সেটাই মনে থাকে না কথাটা সে আন্দাজে বলেছে মনে হয় স্বামী।স্বামীকে জিগ্যেস করেছে প্রশ্ন একটা আর উত্তর দিছে আরেকটা।এখানে স্বামী স্ত্রীর কোন কথায় কি তালাক হবে?তারপর স্ত্রী আবার বলতেছে কাকে দিতে বলতা তালাক ?  স্বামী বলতেছে বাদ দাও তহ মনে নেই আমার।এখানে উপরোক্ত কোন কথা বার্তা দ্বারা কি তালাক হবে?সব কথাগুলো মেসেজে হয়েছিল।ভিড়িও কল দিছে কিন্তুু কথা হচ্ছিল মেসেজে।কারন স্বামী দূরে।

১।শায়েখ  উপরের এই প্রশ্নটা আগেও করেছিলাম দুইবার।এর উত্তরে প্রত্যেকবার  আপনি বলেছিলেন তালাক হবে না।মানে শায়েখ স্বামী যেসব কথা বলেছে সেসব কোন কিছু দ্বারা কোন সমস্যা বা তালাক হবে না  এই তহ? শায়খ প্রশ্নটা আরেকবার করার জন্য দুঃখিত।ভালভাবে বুঝিনি আগে তাই।

1 Answer

0 votes
by (717,920 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। (সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জ্বী, এখন তৃতীয়বারও বলছি, তালাক হবে না।স্ক্রী তার স্বামীকে তালাক দিতে পারে না।হ্যা, স্ত্রী নিজের উপর তালাক দিতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...