আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (54 points)
১.অজ্ঞতার কারনে কেউ যদি পুর্বে ঈমান ভংগের কারন  করে থাকে তাহলে তার ঈমান কি থাকবে?

২.আকিদার মাসয়ালায়  অজ্ঞতা কি গ্রহনযোগ্য ?
৩.হুজুর আমি নিয়মিত নামাজ পরি, কিন্তু  আল্লাহ কোথায় আছেন,আল্লহ কি সব জায়গায় বিরাজমান এগুলো যদি ইউটিউবে সার্চ করি তাহলে কি সমস্যা হবে?

৪.  আমি জানি আল্লাহ উপরে আছেন,তবুও জানার জন্য মনের সন্দেহের জন্য আল্লাহ কি সব জায়গায় বিরাজমান   লেখে সার্চ দিলে কি সমস্যা হবে?

৫.একদিন ফেসবুকে এক্টি ভিডিও দেখি আল্লাহ সবজায়গায় বিরাজমান নয় দেখার পর আমি এ বিষয়ে আগে এভাবে ভাবিনি পরে  ভালোভাবে দেখে জানি যে আল্লাহ আরশের উপর রয়েছেন,আমার এ বিষয়ে না জানার কারনে ঈমান নস্ট হবে?       ৬.আমি সন্দেহের রুগি আমার সন্দেহ হয় আমি রাসুল সাঃ এর হাদিস সম্পর্কে কোন হাসি ঠাট্রা করেছি নাকি? কেউ না জেনে কুফরি বাক্য বল্লে তার ঈমান থাকবে কি?

৭.হুজুর আমি হাদিস পরব বলে অলসতার কারনে পরিনি, ইসলামি আকিদা বইও পরিনি অলসতার কারনে, তাহলেও কি তা অজ্ঞতার মধ্যে পরে?
৮.হুজুর আমি ঈমান ভংগের কারন সম্পর্কে আগে জানতাম না,সহিহ আকিদা সম্পর্কে ও সেভাবে জানতাম না,এই না জানার কারনে যদি ঈমান ভংের কোন কারন পাওয়া যায়, আকিদার মধ্যে যদি কোন ভুল থাকে তাহলে কি ঈমান ভংগ হবে?

যদি ইমান ভংগ হয় তাহলে কিভাবে তওবা করতে হবে, স্ত্রি কি তালাক হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (676,800 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/33194/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
ওযর বিল জাহালত শরীয়তে গ্রহনযোগ্য ।
ওযর বিল জাহালত এর দ্বারা শরয়ী শাস্তি ইত্যাদী তার উপর আরোপ করা  হয়না।

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ঐ জাহালত অযর হতে পারবে,যেক্ষেত্রে সে হুকুম সম্পর্কেই অজ্ঞ।
এই জন্য কেহ যদি ফরজ ওয়াজিব বিধান কে এই জন্য না পড়ে যে সে উক্ত বিধান ফরজ ওয়াজিব হওয়া সম্পর্কে  জানতোনা।

অথবা সে কোনো হারাম কাজ এই জন্য করেছে যে সে তাহার হারাম হওয়া সম্পর্কে  জানতোনা,তো তার এই অজ্ঞতার শরীয়তে গ্রহনযোগ্যতা আছে।
এর ভিত্তিতে তাকে তাকে শাস্তি  দেওয়া হবেনা। সে অজ্ঞতার কারনে মা'যুর।

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,

وقوله صلى الله عليه وسلم : ( إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ) رواه ابن ماجه (2043) 

নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)

★কিন্তু যে ব্যাক্তি জানে যে উক্ত কাজ করা হারাম,কিন্তু সে তার শাস্তি সম্পর্কে  অবগত নয়,এই ভিত্তিতে যদি সে কোনো হারাম কাজ করে,তাহলে এটাকে ওযর হিসেবে ধরা হবেনা।

কেননা সে এই কাজ হারাম জানা সত্ত্বেও করেছে।
যেমন কেহ যেনা করেছে,কিন্তু সে জানেনা যে এটা হারাম কাজ,তাহলে তার এই অজ্ঞতা অযর হিসেবে ধরা হবে।

আর যদি সে জানতো যে এটা হারাম কাজ,কিন্তু দন্ড বিধি সম্পর্কে  জানেনা,তাহলে এটা ওযর হিসেবে ধরা হবেনা।

★★ভূলে শিরকে পতিত হওয়ার পর বনি ইসরাঈলের এক ব্যক্তিকে আল্লাহ তা'আলা ক্ষমা করে দিয়েছিলেন,

হযরত আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " كَانَ رَجُلٌ يُسْرِفُ عَلَى نَفْسِهِ فَلَمَّا حَضَرَهُ المَوْتُ قَالَ لِبَنِيهِ: إِذَا أَنَا مُتُّ فَأَحْرِقُونِي، ثُمَّ اطْحَنُونِي، ثُمَّ ذَرُّونِي فِي الرِّيحِ، فَوَاللَّهِ لَئِنْ قَدَرَ عَلَيَّ رَبِّي لَيُعَذِّبَنِّي عَذَابًا مَا عَذَّبَهُ أَحَدًا، فَلَمَّا مَاتَ فُعِلَ بِهِ ذَلِكَ، فَأَمَرَ اللَّهُ الأَرْضَ فَقَالَ: اجْمَعِي مَا فِيكِ مِنْهُ، فَفَعَلَتْ، فَإِذَا هُوَ قَائِمٌ، فَقَالَ: مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ؟ قَالَ: يَا رَبِّ خَشْيَتُكَ، فَغَفَرَ لَهُ " وَقَالَ غَيْرُهُ: «مَخَافَتُكَ يَا رَبِّ»

তিনি বলেন, পূর্বযুগে এক লোক তার নিজের উপর অনেক জুলুম করেছিল। যখন তার মৃত্যুকাল ঘনিয়ে এলো, সে তার পুত্রদেরকে বলল, মৃত্যুর পর আমার দেহ হাড় গোশতসহ পুড়িয়ে ছাই করে নিও এবং প্রবল বাতাসে উড়িয়ে দিও। আল্লাহর কসম! যদি আল্লাহ্ আমাকে ধরে ফেলেন, তবে তিনি আমাকে এমন কঠিনতম শাস্তি দিবেন যা অন্য কাউকেও দেননি। যখন তার মওত হল, তার সঙ্গে সে ভাবেই করা হল। অতঃপর আল্লাহ্ যমীনকে আদেশ করলেন, তোমার মাঝে ঐ ব্যক্তির যা আছে জমা করে দাও। যমীন তা করে দিল। এ ব্যক্তি তখনই দাঁড়িয়ে গেল। আল্লাহ্ তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কিসে তোমাকে এ কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করল? সে বলল, হে, প্রতিপালক তোমার ভয়। অতঃপর তাকে ক্ষমা করা হলো। অন্য রাবী مَخَافَتُكَ  স্থলে خَشْيَتُكَ  বলেছেন।(সহীহ বুখারী-৩৪৮১)

(৭৫০৬, মুসলিম ৪৯/৪ হাঃ ২৭৫৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৩২)

বিস্তারিত  জানুন


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
আল্লাহ তায়ালা তাকে মাফ করবেন,তার ঈমান থাকবে।

(০২)
হ্যাঁ  আকিদার মাসয়ালায় অজ্ঞতা গ্রহনযোগ্য।
বিস্তারিত জানতে উপরের লিংক দ্রষ্টব্য।

(০৩)
এতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
তবে এটি আপনার ঈমানের জন্য ক্ষতিকর। 
রাসুলুল্লাহ সাঃ এ ধরনের ফিকির হতে আমাদেরকে নিষেধ করেছেন।

(০৪)
ঈমান চলে যাবেনা,তবে এ নিয়ে বেশি আলোচনা করা ঈমানের জন্য ক্ষতিকর। 

(০৫)
আপনার ঈমান নষ্ট হয়ে যায়নি।

(০৬)
তার ঈমান চলে যাবেনা।

(০৭)
হ্যাঁ এটি অজ্ঞতা। 

(০৮)
এতে ঈমান ভেঙ্গে যায়নি।
অজ্ঞতাবশত  হওয়ায় আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।
 
তবে সঠিক আকীদা জানা মাত্র ফিরে আসতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 124 views
...