بسم الله الرحمن الرحيم
জাবাব,
শরীয়তের বিধান
হলো কোন মুসলমানকে গালি দেওয়া জায়েজ নয়। এটি
ফাসেকী। সুতরাং কাউকে নিচু বা লাঞ্চিত করা, কষ্ট দেওয়ার লক্ষ্যে শয়তান, কুকুর, বিড়াল ইত্যাদি বলে সম্বোধন করা, গালি দেওয়া কোনোভাবেই জায়েয হবেনা।
আল্লাহ তাআলা
কুরআনুল কারীমে সতর্ক করেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
یٰۤاَیُّهَا
الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا یَسْخَرْ قَوْمٌ مِّنْ قَوْمٍ عَسٰۤی اَنْ یَّكُوْنُوْا
خَیْرًا مِّنْهُمْ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنْ نِّسَآءٍ عَسٰۤی اَنْ یَّكُنَّ خَیْرًا
مِّنْهُنَّ وَ لَا تَلْمِزُوْا اَنْفُسَكُمْ وَ لَا تَنَابَزُوْا بِالْاَلْقَابِ
بِئْسَ الِاسْمُ الْفُسُوْقُ بَعْدَ الْاِیْمَانِ وَ مَنْ لَّمْ یَتُبْ
فَاُولٰٓىِٕكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ.
হে মুমিনগণ!
কোনো পুরুষ যেন অপর কোনো পুরুষকে উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোনো নারী অপর
নারীকেও যেন উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা
হয় সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না
এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না; ঈমানের পর মন্দ নাম
অতি মন্দ। যারা এসব থেকে বিরত না হবে তারাই যালেম। -সূরা হুজুরাত (৪৯) : ১১
হাদীস শরীফে
এসেছেঃ
عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سِبَابُ
المُسْلِمِ فُسُوقٌ، وَقِتَالُهُ كُفْرٌ
হযরত আব্দুল্লাহ
বিন মাসঊদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসেকী। আর তাকে হত্যা করা কুফরী। {বুখারী, হাদীস নং-৬০৪৪]
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/4851/
https://ifatwa.info/6199/
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন/বোন!
১. কাউকে অজু করার
সময় গালি দিলে অজু নষ্ট হবে না। কিন্তু কোন মুসলিমকে শয়তান বলে ডাকা, গালি দেওয়া নিষেধ। কারণ
মানুষ আল্লাহর রহমতপ্রাপ্ত আর ইবলিশ বিতাড়িত। এতে আল্লাহ তায়ালা খুশি নন বরং নারাজ
হবেন। কারন, ইবলিস শয়তান আল্লাহর অভিশাপ প্রাপ্ত এবং আল্লাহ তায়ালা
মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং কাউকে উক্ত নামে ডাকা যাবেনা।
২. প্রশ্নে
উল্লেখিত ছুরতে আপনার নামাজ অসম্পূর্ণ হবে, আর তাহা পুনরায় আদায় করা ওয়াজিব। কারণ, নামাজের ওয়াজিব গুলোর মধ্য হতে অন্যতম একটি হলোঃ সালামের মাধ্যমে
নামাজ শেষ করা। (বুখারি ১/১১৫, হাদিস : ৮৩৭)
আরো বিস্তারিত জানতে
ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/11032/