আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
হুজুর আশা করি ভাল আছেন।

প্রশ্নঃ
১)  হুজুর কেউ যদি সামর্থ্য থাকার পরেও অহংকার দূর করার চিকিৎসা হিসাবে
উমার (রাঃ) এর মত সবসময় তালি্যুক্ত পোশাক পরিধান করে, তাহলে সেটা করা যাবে কিনা ? তাছাড়া  একটা বইয়ে  হযরত থানভী  (রহঃ) অহংকার খুব দ্রুত দূর করার জন্য এই চিকিৎসা দিয়েছেন । আর আমি আমার অহংকার খুব দ্রুত দূর করতে চাই । কারণ আমি আমার অহংকার দূর করে এই ধ্বংসাত্মক ব্যাধি থেকে মুক্ত হতে চাই ইনশা আল্লাহ । আর এক্ষেত্রে আল্লাহ পাক যে বলেছেন, " তোমরা নামাজে উত্তম পোশাক  পরিধান করো" এই কথার উপর আমল না হওয়ার বিষয়ে মনে দ্বিধাদ্বন্দ তৈরি হচ্ছে ।

২)  আর উমার (রাঃ) এর পোশাকের  তালিগুলোর ধরণ কেমন ছিল ? জানালে ভাল হয় ।

জাজাকাল্লাহু খইরন

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফে  এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ يُحِبَّ أَنْ يُرَى أَثَرُ نِعْمَتِهِ عَلَى عَبْدِهِ " .

আমর ইবনু শু'আইব (রাহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত, তার দাদা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা তার দেয়া নি’মাতের নিদর্শন তার বান্দার উপর দেখতে ভালোবাসেন (অর্থাৎ- যাকে যে রকম নি’মাত প্রদান করা হয়েছে সেনুযায়ী পোশাক-পরিচ্ছদ ব্যবহার করা আল্লাহ পছন্দ করেন)।
(তিরমিজি ২৮১৯)

মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বিনয়াবত হয়ে সুন্দর পোশাক পরিহার করে, আল্লাহ তাআলা তাকে মর্যাদা ও মাহাত্ম্যের পোশাক পরিধান করাবেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৭৮)

আবু বুরদাহ (রহ.) বলেন, আয়েশা (রা.) আমাদের কাছে একটি মোটা জটবদ্ধ চাদর এবং মোটা কাপড়ের লুঙ্গি নিয়ে এসে বলেন : ‘এই দুই কাপড়েই মহানবী (সা.)-এর ইন্তেকাল হয়েছে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৭৩৩)

আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবী করিম (সা.) যে বিছানায় নিদ্রা যেতেন, তা ছিল চামড়ার তৈরি। এর মধ্যে খেজুরগাছের আঁশ ভরা ছিল।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৭৬১)

আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেছেন, যদি তুমি পরকালে (মর্যাদার দিক থেকে) আমার পাশে থাকতে চাও, তাহলে তিনটি বিষয়ের ওপর আমল করবে। এক. দুনিয়ায় তোমার জন্য মুসাফিরের মতো প্রয়োজনীয় পাথেয় যথেষ্ট হোক। দুই. বিত্তশালীদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকবে। তিন. পট্টি, তালি ও পুনর্বার সেলাই করা ছাড়া কাপড়কে পরিত্যক্ত করে দেবে না। (তিরমিজি, হাদিস : ১৭৮০)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ভালো পোশাক থাকা সত্ত্বেও তালি যুক্ত পোশাক পরিধান করার বিষয় রাসুলুল্লাহ সাঃ ও ছাহাবায়ে কেরামগনদের থেকে পাইনি।
আবার সামর্থ থাকা সত্ত্বেও বর্তমান যুগে  তালি যুক্ত পোশাক পরিধান করলে মনের মধ্যে উল্টো আরেক রোগ লোক দেখানোর বিষয় আসার সম্ভাবনা প্রবল।  

মনের মধ্যে এটা আসবে যে মানুষগন দেখবে যে আমার মাঝে অহংকার নেই,আমি তালি যুক্ত পোশাক পরিধান করেছি,তাহলে আমি কত বিনয়ী,ইত্যাদি। 
,
সুতরাং সর্বপরি পরামর্শ থাকবে যে যেহেতু ভালো পোশাক পরিধান করার  সামর্থ রয়েছে,সুতরাং এ অবস্থায় তালি যুক্ত পোশাক পরিধান না করার।
তবে যেই পোশাক পরিধান করবেন,সেটির দ্বারা যেনো মনের মধ্যে কোনো অহংকার না আসে,সেদিকে সচেতন থাকবেন।

(০২)
তালি যেমনটি বলে,সেটাই উদ্দেশ্য। 
যখন কাপড়ের কোথাও বারবার সেলাই করতে  করতে আর সেলাই করা যায়না,তখন সেই স্থানের উপরে আরেকটি কাপড়ের অংশ দিয়ে তালি দেয়া। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...