আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (28 points)
হুজুর আমি ভালবাসায়ও শিরক হয় এ সম্পর্কে এক বইয়ে পরেছিলাম।একদিন ইউটিউবে একটি ভিডিও তে দেখেছিলাম যে খেলা দেখার সময় নামাজের সময় হলে নামাজ না পরলে এক্টু পরে পরতেছি ওয়াক্ত তো এখনো আছে এরকম করলে নাকি ভালোবাসায় শিরক হয়। হুজুর আমি রাত জেগে ফুটবল খেলা দেখি। ফুটবল খেলা দেখা আমার নেশা।তো একদিন আমি রাতে  ফুটবল খেলা দেখার পর ঘুমিয়ে যায় আ্যলার্ম দিছিলাম কি না মনে নেই ফজরের সময় আর উঠতে পারিনি।সকাল হয়ে যায় তখন আমি উঠে নামাজ পরি।
১.হুজুর এখেত্রে আমার কি ভালোবাসায় শিরক হয়েছে।

২.হুজুর আমি দিনের বেশিরভাগ সময়   শুধু খেলা নিয়ে চিন্তা করতাম খেলার,খেলার ভিডিও দেখতাম,রাত্রে যখন খেলা দেখার জন্য আ্যলার্ম তখন একবার আলার্ম বাজতেই উঠে যেতাম,কিন্তু নামাজের আ্যলার্মের সময় এক্টু পরে উঠতেছি গরিমসি করতাম কিন্তু নামাজ পরতাম। খেলা অবশ্য প্রতি রাতে হতনা। এটা কি ভালোবাসায় শিরক হবে?

৩. যদি নামাজ ছেড়ে খেলা দেখলে ভালোবাসায় শিরক না হয়,কিন্তু সে যদি মনে করে যে নামাজ ছেড়ে  খেলা দেখলে ভালোবাসায়  শিরক হয়, কিন্তু তারপরও সে খেলা দেখে নামাজ পরে পরবে বলে।  তাহলে তার এ বিশ্বাসের কারনে কি জেনে শুনে শিরক করা হবে? যেহেতু তার বিশ্বাস ছিল যে  নামাজ ছেড়ে খেলা দেখলে ভালোবাসায় শিরক হয়।

  ৪. হুজুর আমার ফজরের নামাজ পরার নিয়ত ছিল। কিন্তু খেলা দেখার কারনে উঠতে পারিন। আ্যলার্ম দিছিলাম নাকি মনে নেই। যখন ঘুম থেকে জেগেছি তখন নামাজ পরছি।তারপরে রাতে  খেলা দেখলেও ফজরের নামাজ পরি।

 এখন আমার সন্দেহ হছে যে আমার শিরক হয়েছে কি না, যদি শিরক না হয়, তাহলে এই সন্দেহের কারনে কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ভালবাসার শিরক বলতে ইসলামে কিছু নেই। 'ভালবাসার শিরক' নামটি আমরা ইতিপূর্বে কখনো শুনিনি।

কবিরা গোনাহ করলে বান্দা ইসলাম থেকে বের হয়ে যায় না।এটাই আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আকিদা বিশ্বাস।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2260

সুতরাং ফজরের নামায পরিত্যাগ করার কারণে অবশ্যই গোনাহ হবে।তবে এজন্য কেউ কাফির হবে না।

(২)
https://www.ifatwa.info/673 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
উল্লেখিত আয়াত ও হাদীস সমূহ থেকে বুঝা গেল যে, ইসলামী শরীয়তে সময়ের প্রতি যত্নশীল হওয়া ও লক্ষস্থির জীবন গঠনের নির্দেশ হয়েছে।
খেলাধুলা ও রং তামাশা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।কিন্তু বিনোদন নয়;বরং বললে ভুল হবে না যে,যেই বিনোদনের অর্থ হলো আনন্দ ও খুশি লাভ করা। শরয়ী আনন্দ সম্ভলিত সেই বিনোদন ইসলামে কেবল অনুমোদিতই নয়;বরং এক পর্যায়ে প্রশংসনীয় ও বটে।যাতে করে শারিরিক অলসতা ও অবসাদ কেটে যায় এবং মনোবল ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয় আর মানুষ প্রফুল্লতার সাথে জীবনের শ্রেষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে মনোযোগী হতে পারে। (শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রচলিত ফুটবল বা ক্রিকেট খেলার বা খেলা দেখার কোনো অনুমোদন নাই।কেননা এগুলো আল্লাহর যিকির থেকে বান্দাকে গাফিল করে দেয়।
খেলা দেখা গোনাহ। নামায পড়া সওয়াবের বিষয়। তবে খেলা দেখার কারণে শিরক হবে না।

(৩)
সে যদি নামাযের তুলনায় খেলাকে দামী বস্তু মনে করে, এবং এজন্য সে নামাযের কোনো তোয়াক্কা না করে বরং খেলার প্রতি মনোযোগী হয়, তাহলে তার ঈমান থাকবে না। কেননা সে নামাযকে অবহেলা করেছে।

(৪)
আপনার শিরক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...