আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in সালাত(Prayer) by (31 points)
reopened by

।।আসসালামু আলাইকুম।। 

আমি বালেগ হওয়ার আগে থেকে নামাজ পড়তাম আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু ১-২ ওয়াক্ত। এইভাবে ধারাবাহিক ভাবে চলে এবং হিসাব করলে বালেগ হওয়ার পর থেকে ও একই ছিলাম, ১-২-৩ ওয়াক্ত পড়া হতো। এবং আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে এবং এক সময় ৫ ওয়াক্ত পড়তাম আলহামদুলিল্লাহ, কিন্তু মাঝে মধ্যে ফজর বা অন্য কোন নামাজ মিস যাতো।
তখন পর্যন্ত আমার দ্বীনি বুঝ ছিল না, অনেক কিছু জানতাম না। ওই সময় কিশোর বয়সে বিভিন্ন গুনাহতে লিপ্ত ছিলাম এবং  ইচ্ছাকৃত এমন কিছু(বীর্যপাত) করেছি, ফলে আমার গোসল ফরজ হয়ে যেত,কিন্তু আমি তো তখন কিছুই জানতাম না আর জানার চেষ্টাও করিনি, মোট কথা গাফেল ছিলাম।আর ওই অবস্থায়ই নামাজ আদায় করেছি(নাউজুবিল্লাহ)।কিন্তু নামাজ ওমন বিচ্ছিন্ন ভাবে হতো আলহামদুলিল্লাহ। 
তো উপরের বর্ণনা মতে, বালেগ হওয়ার পর থেকে ২ বছর পর্যন্ত ওমন বিচ্ছিন্ন ভাবে ১-২-৩ ওয়াক্ত পড়তাম আলহামদুলিল্লাহ।  তারপর থেকে ৫ ওয়াক্ত পড়ার চেষ্টা করি কিন্তু ১-২ ওয়াক্ত মিস যেত কিন্তু কম,এই সময় টুকু ছিল ১.৫ বছর বা এর বেশি। তারপর আল্লাহ দ্বীনি বুঝ দেয় তখন থেকে চেষ্টা করেছি খারাপ-অশ্লীল পথ থেকে ফিরে আসার। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাওফিক ও দিয়েছিল, তাই সফল হয়েছি। কিন্তু এর মাঝে একটা ভুল থেকে যায় আমি তখন ও জানি না ফরজ গোসল কি। ফলে সত্যের আলো দেখার পরও, আমার সপ্নদোষ হলে আমি ফরজ গোসল করিনি, কারন আমি জানতাম না। এবনব ওই অবস্থায়ি নামাজ পড়তাম তবে নাপাকি লাগার  স্থান ধুয়ে ফেলতাম।তো এই সময়টুকুর ব্যাপ্তিকাল ছিল ২-৩ মাস। পরে আল্লাহর রহমতে, জানার তাওফিক হয়। তখন থেকে মহান রবের দয়ায় শীত-গরম কোন দিন গোসল ফরজ হলে বাদ দিনি।
যাইহোক,  আসল কথা হলো, এইযে আমার বিচ্ছিন্ন ভাবে অনেক নামাজ কাজা গেছে। এর হিসাব তো আসলে মেলানো যাবে না। কিন্তু ব্যাপ্তিকাল হিসাবে দেখা যায় প্রায় ৪ বছর(হয়ত ১.৫-২ মাস কম হতে পারে) পর্যন্ত নামাজ কাজা এবং নামাজ হয়ই নি(গোসল ফরজ হলে যেহেতু করা হতো না)। কিন্তু বিচ্ছিন্ন ভাবে এমন হয়েছে যার সঠিক হিসাব জানা নাই। 
[[[আবার আরেকটি মাসআলা একটু বলবেন, যেহেতু গোসল ফরজ হলে গোসল করতাম না তার মধ্যে একসময় গাফেল থাকার জন্য আরেক সময় না জানার জন্য(কিন্তু এই সময়ে আল্লাহ বুঝ দিয়েছিল তাই ইসলাম সম্পর্কে জানার চেষ্টা ছিল অপরিসীম, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু এই বিষয়টা না জানা থেকে যায়)। তো নামাযের মতো করে হিসাব করলে দেখা যায় বালেগ হওয়ার পর দীর্ঘ ৪ বছর বা তার কিছু কম সময় পর্যন্ত কোন ফরজ গোছল করা হয়নি। এখন প্রশ্ন--আমার এই দীর্ঘ সময়ের সব নামাজ কি বাতিল হয়ে গেছে?]]]
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যদি সব নামাজ বাতিল হয় তো তাহলে সব উমরি কাজা আদায় করতে হবে এর হিসাব তো ক্লিয়ার।
কিন্তু যদি এমন হয় যে, সব নামাজ বাতিল হয়নি কিন্তু বিচ্ছিন্ন ভাবে যা কাজা করেছি শুধু তাই-ই কাজা হয়েছে। তাহলে কিভাবে উমরি কাজা আদায় করবো? (যদিও এর ব্যাপ্তিকার স্পষ্ট, ৪ বছর বা তার কম)

 

1 Answer

0 votes
by (696,520 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/9051 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সাবালক হওয়ার পর থেকে সকল কা'যা নামাযকে আদায় করতে হবে।এক্ষেত্রে কা'যা নামাযকে আদায় না করে শুধুমাত্র তাওবাহ ইস্তেগফার যথেষ্ট হবে না।বরং অবশ্যই আদায় করতে হবে।এবং সাথে সাথে তাওবাহ ইস্তেগফার জারী রাখতে হবে।
কখন থেকে এবং কোন পদ্ধতিতে কা'যা নামায-কে আদায় করতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1609

জীবনে কতটি দিন বা মাস কিংবা বৎসরের নামায কা'যা হয়েছে,সে বিষয়ে অধিকাংশ ধারণার উপর ভিত্তি করেই মূলত নামায-কে কা'যা করতে হবে।যখন মনের মধ্যে পূর্ণ ঈয়াক্বিন চলে আসবে যে,এখন থেকে আরো কোনো নামায কা'যা নেই।তখন থেকেই কা'যা নামায কে সমাপ্ত করা হবে।

তিনটি হারাম সময় ব্যতীত যেকোনো সময় কা'যা নামায পড়া যাবে।https://www.ifatwa.info/1604

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ফরয গোসল না করার কারণে সেই সময়ে যত নামায পড়া হয়েছে, সব গুলোই বাতিল বলে গণ্য হবে।সুতরাং এই বাতিল হওয়া নামায, এবং কাযা হওয়া নামাযকে ধীরে ধীরে কাযা করে নিতে হবে।এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 57 views
...