আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
74 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
১)আমার আম্মু গিবত এর গুনাহ সম্পর্কে মুলত জানে।আগের প্রশ্ন ছিল এইটা  ,, আমার দাদু আমাদের সাথে বেশ বিরক্তিকর আচরন করে পরে আম্মুকে বলি,, আম্মু বলে যে আগে আমার সাথে করসে এখন আমার পোলাপান এর সাথে করে আর সে আগে কি কি করসে আগে সব বলা শুরু করসে। জানে আমি গিবত পছন্দ করব না তাই বলে কি,, জিবিত থাকতে গিবত করন যায় হেয় ত বাইচা আসে গিবত করন যাইব মইরা গেলে যাইব না।আমি জানামু না তগ উনি কি কি করসে,,
তার এই কথায় ক কুফরি কিছু হইসে? আমরা ত জানি গিবত কবিরা গুনাহ।,,
আপনারা উত্তরে বলেছেন কুফুরি হবে না প্রশ্নের বিবরন মতে,,
কিন্তু উনি গিবত এর গুনাহ সম্প্ররকে অবগত তাকে আমি বলি যে গিবত কবিরা গুনাহ বা হারাম এতে নিজের নেক আমল অন্যো জনে কাছে চলে যায়।এইরকম বললেও সে প্রায় প্রায় বলত যে জীবিত থাকলে করন যাইব মইরা গেলে যাইব না।আবার মাঝে মাঝে বলে এই রকম  বলত কেন মানুষ খারাপ কাজ করলে কি জানানো কেন যাইব না হ্যান ত্যান এই রকম ও বলত।তার দ্বীনের জ্ঞান কম। অনেক সময় চুপ করায় দেই অনেক সময় মানুষের জন্য চেতে গেলে এমন বলে।এইখানেও কি সেইম ফাতওয়া প্রযোজ্য হবে?

২)আর একটা ব্যাপার হচ্ছে যে,,আমি বুঝানোর সুবিধার্থে এমনে একটু বলি,,আমার দাদু ৭০+ এইজ কয়েকবার স্ট্রক করসে আলহামদুলিল্লাহ কিছু হয় নি।আমাদের সাথে তার বিহেইব একদম না ইন্সাফি।অথচ তার অন্য নাতিদের বেশ ভালো ভাবে কথা বলে কিন্তু তারা তাকে জিজ্ঞেস করেও দেখে না উলটা দিকে আমরা আমার আব্বু সব দিক থেকেই তাকে করে অসুস্থ হলে ইত্যাদি ইভেন তার অন্য ছেলেমেয়েদের ও আব্বু অনেক হেল্প করে কিন্তু তাও তার মন পায় না।আমাদের সাথে খারাপ আচরন করে।

তো আজ আর একটা বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছিল ভবিষ্যৎ সুচক পরে দাদু আব্বুরে বলতেসে যে সাম্নের বছর আশা করছি ইন শা আল্লাহ।পরে এইটা আমার বোন শুনসে পরে ঘরে আম্মুরে বলতেসে যে এইরকম বলসে আর ও বলতেসে যে সামনের বছর বাচে কিনা আর এই কথা বলতেসে দাদু।পরে আম্মু হেসে হেসে বলে যে আল্লাহ হেরে ঠিক ই বাচায়া রাখব।এই কথা হেসে বলায় আমার কেমন যেন লাগতেসে।আর এর আগেও খালি আম্মু উনার দুঃখ প্রকাশ করে খালি বলে যে উনি এত অন্যায় করে আর আল্লাহ উনারে এখনও বাচায় রাখসে।
আমার এইখানে কুফুরির ভয় হচ্ছে? এই রকম কিছু কি হইসে হুজুর?

৩)আমাদের এইবার কুরবানি দেয়া হয় নাই।আব্বু আইসা আইসা শুধু শুধু আম্মুরে জ্বালাইতেসে তর মার হয় না আমার বোনরে আব্বু বলতেসে যে যা তোর বান্ধুবির বাসায় পলিথিন নিয়া যা।তর মার শিন্নি লাগব হ্যান ত্যান এইগুলা আব্বু আম্মুরে প্রায়ই জ্বালায়।মানে কুরবানির সময় ও এখন আবার দেয় নাই এখনও।
অথচ আম্মু কুরবানির সামনেও যায় না।আব্বু খালি বলে ত্যাগ স্বীকার এর কথা।
কতক্ষন পর আম্মু আমারে বলে যে আমি কি গোশত একা খাই আমি বলি তোমারে আব্বু চেতানোর জন্য এমন বলে উনি খারাপ ভাষায় একটা গালি মেরে দিল বলে যে পাইছে বা**ল চো**ইন্না একটা কথা ত্যাগ স্বীকার কর ত্যাগ স্বীকার কর। এই উক্তিটা করল। আমি পরে চিল্লায়ে বল ল্লাম যে তোমার গুনাহ হবে এমনে বল কেন। বলে যে দুরু।
এই উক্তির মাধ্যমে কি তার কুফুরির গুনাহ হইসে? ঈমান চলে যাবে?আবার শেষ এ এই কথাটাও বলল যে নিজে না খেয়ে ক মানুষরে দিমু।

আপনাদের অনেক বিরক্ত করতেসি মাফ করবেন আমায়।

,

1 Answer

0 votes
by (677,640 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
ওযর বিল জাহালত শরীয়তে গ্রহনযোগ্য। 

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,

وقوله صلى الله عليه وسلم : ( إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ) رواه ابن ماجه (2043) 

নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)

বিস্তারিত  জানুন

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার মা মাসয়ালাটি সম্পর্কে পূর্ণ অবগত নয়।
তাই তার জাহালত গ্রহন করা হবে,তিনি কাফের হবেননা।

কিছু ক্ষেত্রে গীবত করার অনুমতি রয়েছে এই মাসয়ালাটি আপনার মাকে বুঝাতে পারেন।
মাসয়ালাটি সম্পর্কে জানুনঃ-


(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এখানে কুফরি হয়নি।

(০৩)
এই উক্তির মাধ্যমে তার কুফুরির গুনাহ হয়নি।
এরে তার ঈমান চলে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...