আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম
শায়েখ
কোনো ব্যাক্তি কারো কাছ থেকে ৬০ বছরের জন্য ৬০ হাজার  টাকার বিনিময়ে এক টুকরো জমি ভাড়া  নিলো

 অর্থাৎ
৬০ বছর এর জন্য ৬০ হাজার টাকা। মানে প্রতি বছর এর জন্য এক হাজার টাকা চুক্তি।
উল্লেখ্য যে, ভাড়া নিলে ওয়ালা সম্পুর্ণ (৬০ হাজার)টাকা একসাথে জমির মালিককে দিয়ে দিছে

তবে ৬০ বছর অতিক্রম   হবার আগেই যদি, জমির মালিক,,, জমি ফেরত নিতে চাই

তাহলে ৬০ বছর পূর্ণ হতে
যতো বছর বাকি।
ততো হাজার টাকা ফেরত দিবে। উদাহারণস্বরুপ ঃ- যদি ২০ বছর বাকি থাকে তাহলে ২০,০০০টাকা ফেরত দিবে।

আর এই জমি
যার থেকে ভাড়া রাখা
তার কাছেই বরগা রাখছে পরবর্তীতে
সে (যার কাছে বর্গা রাখছে) সম্পূর্ণ তার খরচে চাষ করে
তাকে(যে বর্গা রাখছে)৩ ভাগের ১ ভাগ দিবে প্রতি বছর।।

এমন চুক্তি কি সহিহ হয়েছে?
যদি সহিহ না হয় তাহলে সহিহ হওয়ার সুরত কি?
by (684,560 points)
আর এই জমি
যার থেকে ভাড়া রাখা
তার কাছেই বরগা রাখছে পরবর্তীতে
সে (যার কাছে বর্গা রাখছে) সম্পূর্ণ তার খরচে চাষ করে
তাকে(যে বর্গা রাখছে)৩ ভাগের ১ ভাগ দিবে প্রতি বছর।


★বিষয়টি কোনো ২জন ব্যাক্তির নাম উল্লেখ করে  উদাহারন দিয়ে স্পষ্ট করলে সুবিধা হতো।

1 Answer

0 votes
by (684,560 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ
   
باب الْمُزَارَعَةِ بِالشَّطْرِ وَنَحْوِهِ 
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَامَلَ خَيْبَرَ بِشَطْرِ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا مِنْ ثَمَرٍ أَوْ زَرْعٍ، فَكَانَ يُعْطِي أَزْوَاجَهُ مِائَةَ وَسْقٍ ثَمَانُونَ وَسْقَ تَمْرٍ وَعِشْرُونَ وَسْقَ شَعِيرٍ، فَقَسَمَ عُمَرُ خَيْبَرَ، فَخَيَّرَ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُقْطِعَ لَهُنَّ مِنَ الْمَاءِ وَالأَرْضِ، أَوْ يُمْضِيَ لَهُنَّ، فَمِنْهُنَّ مَنِ اخْتَارَ الأَرْضَ وَمِنْهُنَّ مَنِ اخْتَارَ الْوَسْقَ، وَكَانَتْ عَائِشَةُ اخْتَارَتِ الأَرْضَ.

অর্ধেক বা এর কাছাকাছি পরিমান ফসলের শর্তে ভাগে চাষাবাদ করা।

 ইবরাহীম ইবনু মুনযির (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারবাসীদেরকে উৎপাদিত ফল বা ফসলের অর্ধেক ভাগের শর্তে জমি বর্গা দিয়েছিলেন। তিনি নিজের সহধর্মিণীদেরকে একশ’ ওসক দিতেন, এর মধ্যে ৮০ ওসক খুরমা ও ২০ ওসক যব। উমর (রাঃ) (তাঁর খিলাফতকালে খায়বারের) জমি বণ্টন করেন। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণীদের ইখতিয়ার দিলেন যে, তাঁরা জমি ও পানি নিবেন, না কি তাদের জন্য ওটাই চালু থাকবে, যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যামানায় ছিলো। তখন তাদের কেউ জমি নিলেন আর কেউ ওসক নিতে রাযী হলেন, আয়িশা (রাঃ) জমিই নিয়েছিলেন।

(বুখারী ২১৭৭)

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ عَامَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ بِشَطْرِ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا مِنْ ثَمَرٍ أَوْ زَرْعٍ.

মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উৎপাদিত ফল কিংবা ফসলের অর্ধেক শর্তে খায়বারের জমি বর্গা দিয়েছিলেন।
(বুখারী ২১৭৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতি তথা দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তিতে জমি ভাড়া নেয়া জায়েজ আছে।
প্রতি বছর এর জন্য এক হাজার টাকা করে কেটে যেই বছর জমির মালিক জমি নিয়ে নিবে,তাতে ৬০ বছর পূর্ণ হতে যত বছর বাকি।
ততো হাজার টাকা ফেরত দিবে। 

★এক্ষেত্রে জমি ভাড়া নেয়ার পর জমির মালিকের সাথেই উক্ত জমি প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে বর্গা দেয়া ও তা হতে প্রতি বছর ৩ ভাগের এক ভাগ নেয়ার এই আলাদা চুক্তিটিও জায়েজ।
এতে কোনো সমস্যা দেখছিনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 57 views
...