আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম।

প্রশ্ন ১ঃ অমুসলিম স্বামী -স্ত্রী যদি একসাথে মুসলিম হোন, তাহলে তাদের নাকি নতুন করে বিয়ে করতে হয় না। পূর্বের বিয়ে বৈধ থাকে বলে জানি।

কিন্তু যদি অমুসলিম থাকাকালীন স্বামী, তার স্ত্রী কে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে থাকেন। তাহলে কি দুজন মুসলিম হওয়ার পর তাদের সম্পর্ক অটুট থাকবে? নাকি তালাক হয়ে যাবে আগেই?

প্রশ্ন ২ঃ আমার বাবার ইনকামে হারাম মিশ্রিত আছে। ভাইয়ের ইনকামে থাকতে ও পারে আবার না ও থাকতে পারে। আমার উপর কুরবানি আবশ্যক, আমি অবিবাহিত এবং কোন আয় নেই।
প্রশ্নঃ আমার বাবা, ভাইয়ের উপার্জন হারাম হলে তাদের থেকে টাকা নিয়ে জমিয়ে কুরবানি দেয়া যাবে? এই কুরবানির আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হবে কিনা? যেহেতু তারা আমার মাহরাম তাদের উপার্জন হারাম হলে ও আমার জন্য হালাল হবে না?

প্রশ্ন ৩ঃ চাচা,মামা,অন্য আত্মীয়স্বজন, বা কেউ দাওয়াত দিলে তাদের ইনকাম যদি হারাম হয় বা হারাম মিশ্রিত থাকে তাহলে করণীয় কি? না খেলে তারা খারাপভাবে দেখবে। আত্মীয়ের বাসায় গেলে তার  উপার্জনে খাবার খাওয়া ছাড়া উপায় নেই এক্ষেত্রে করণীয় কি?

জাযাকুমুল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (717,920 points)
reshown by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
وَلَوْ أَسْلَمَ أَحَدُ الزَّوْجَيْنِ عُرِضَ الْإِسْلَامُ عَلَى الْآخَرِ فَإِنْ أَسْلَمَ وَإِلَّا فُرِّقَ بَيْنَهُمَا كَذَا فِي الْكَنْزِ. وَإِنْ سَكَتَ وَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا فَالْقَاضِي يَعْرِضُ الْإِسْلَامَ عَلَيْهِ مَرَّةً بَعْدَ أُخْرَى حَتَّى يُتِمَّ الثَّلَاثَ احْتِيَاطًا كَذَا فِي الذَّخِيرَةِ.
যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্য থেকে কেউ একজন ইসলাম গ্রহণ করে, তাহলে অন্যজনকে মুসলমান হতে বলা হবে।যদি সে ইসলাম গ্রহণ করে নেয়, তাহলে তো ভালো।নতুবা তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানো হবে।যদি অন্যজন নিশ্চুপ থাকে, কোনো কথাই না বলে, তাহলে কাযী সাহেব, তার সামনে সর্বমোট তিনবার ইসলামকে পেশ করবেন।ইসলাম গ্রহণ করে নিলে বিবাহ বহাল থাকবে, নতুবা বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৩৮)

(২)
আপনার যদি কোনো ইনকাম না, এবং আপনি যদি কুরবানির নেসাব পরিমাণ মালের মালিক না থাকেন, তাহলে তো আপনার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে না।সুতরাং বাবা ভাইয়ের নিকট থেকে টাকা নিয়ে এসে কুরবানি করার কোনো যৌক্তিকতা নাই। হ্যা, নফল হিসেবে করতে পারবেন। তবে আপনার বাবা ভাইয়ের টাকায় যেহেতু সন্দেহ রয়েছে, তাই তাদের টাকা থেকে কিছুই গ্রহণ করতে পারবেন না। 

(৩)
চাচা,মামা,অন্য আত্মীয়স্বজন, বা কেউ দাওয়াত দিলে তাদের ইনকাম যদি হারাম হয় বা হারাম মিশ্রিত থাকে, তাহলে যথাসম্ভব বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। যদি বেঁচে থাকা সম্ভবপর না হয়, তাহলে আপনি ঐ পরিমাণ টাকা সদকাহ করে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...