আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in সালাত(Prayer) by (32 points)
edited by
শায়েখ,
لَتَرَوُنَّ  الْجَحِيْمَ ۙ

আমি সূরা তাকাসুর এর ৬ নং আয়াতে  لَتَرَوُنَّ এ و এর বদলে ء  দিয়ে পড়েছি এতে কি আমার স্বলাত ফাসিদ হয়েছে?

ثُمَّ لَتَرَوُنَّهَا عَيْنَ الْيَقِيْنِ ۙ

আবার,৭ নং আয়াতে আমি لَتَرَوُنَّهَا তেও و এর বদলে ء  দিয়ে পড়েছি
এক্ষেত্রেও কি আমার স্বলাত ফাসিদ হয়েছে?

اَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِاَصْحٰبِ الْفِيْلِ
সূরা ফীল এর প্রথম আয়াতে بِاَصْحٰبِ এ যদি আমি বিআস্ব না পড়ে বিইয়াস্ব অর্থাৎ ا দিয়ে না পড়ে ي দিয়ে পড়ি তাহলে কি স্বলাত ফাসিদ হবে??

২/ আমার আগে একটা সুরার অর্থ পরিবর্তন  হয়েছিল ভুল পড়ার কারণে আমি নির্নয় করতে পারছি না যে কোন কোন ওয়াক্ত ওই সুরাটা পড়েছিলাম, এখন আমি কি করবো কোন কোন স্বলাত আবার দোহরাবো??

৩/কেউ যদি ভিক্স বা ভ্যাপোরাব দেয়  এবং ভিক্স এর ঠান্ডা  ঝাজটা যদি তার মুখে ও নাকে চলে যায় তাহলে কি তার সাওম ভেংগে যাবে?

৪/ কাউ যদি এমন বলে যে,"আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ওয়াদা দিচ্ছি যে আমি ও-ই কাজটা আর করবো না" আর সে যদি তা ভঙ্গ অর্থাৎ সেই কাজটা কিরে ফেলে তাহলে কি তাকে কসমের কাফফারা দিতে হবে??

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

« زَيِّنُوا الْقُرْآنَ بِأَصْوَاتِكُمْ »

“তোমরা সুন্দর কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত কর।” [হাদিসটি ইমাম আহমদ, ইবনে মাজাহ, নাসায়ী ও হাকেম রহ. হাদিসটি বর্ণনা করেছেন এবং তা সহীহ]

 শাইখ সালেহ আল ফাউযান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন,

“قراءة القرآن بالتجويد مستحبة من غير إفراط، وليست واجبة، وإنما الواجب تجويد القرآن من اللحن والخطأ في الإعراب”

“তাজবিদ সহ কুরআন তিলাওয়াত করা মুস্তাহাব। তবে এ ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। এটা ওয়াজিব নয়। বরং ওয়াজিব হল, ইরাব (উচ্চারণ ও প্রকাশ করা) এর ক্ষেত্রে ভুল-ত্রুটি থেকে মুক্ত করে সুন্দরভাবে কুরআন তিলাওয়াত করা।”

★যাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত সম্ভব। শুধুমাত্র তাদের জন্যই পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব।আর যাদের বেলায় সম্ভব নয়, তাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব নয়।বরং অর্থে পরিবর্তন আসেনা এমনকরে কুরআন পড়াই তাদের জন্য যথেষ্ট হবে।এমনকি তারা পূর্ণ তাজবিদ সহকারে না পড়লেও তাদের কোনোপ্রকার গোনাহগার হবেন না।(শরহু তাইয়্যিবাতুন-নাশর-৬৩)

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/19542/


★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,, 

https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করা হয়েছে যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126

তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার নামাজ নষ্ট হয়ে যায়নি,নামাজ হয়ে গিয়েছে।

উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবেনা। তবে এহেন ভুল আর যেনো না হয়,সেদিকে সতর্ক থাকবেন। 


(০২)
আপনি প্রবল ধারনার ভিত্তিতে নামাজের কিছু সংখ্যা ধরে নিয়ে সেটা পুনরায় আদায় করবেন।

(০৩)
পানি জাতীয় বা তরল কিছু প্রবেশ করলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।

(০৪)
এটা ওয়াদা।
এটি কসম নয়।

সুতরাং সে যদি তা ভঙ্গ অর্থাৎ সেই কাজটা করে ফেলে তাহলে তাকে কসমের কাফফারা দিতে হবেনা।
তবে ওয়াদা ভঙ্গের কারনে আল্লাহর কাছে মাফ চাইতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...