আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
371 views
in পবিত্রতা (Purity) by (5 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।

(১) কোন বই এ প্রস্রাব/তরল নাপাকি লেগে ভিজে গেলে সেই বই পাক করবো কিভাবে? (কারন বই তো ধোয়া যাবে না, আবার কোন কাপড় বা টিস্যু দিয়েও মুছা যাবে না,কারন বইয়ের অনেকগুলো পাতা থাকে)
(১.১)মোবাইলে নাপাক লাগলে সেটা কাপড়/টিস্যু দিয়ে মুছতে গেলে কাপড়ের ক্ষেত্রে কি প্রত্যেকবার কাপড় দিয়ে মুছার পর সেই কাপড়টি ধুয়ে নিংড়িয়ে তারপর আবার ২য় বার মোবাইলটি মুছতে হবে?
নাকি ১ বার কাপড়টি ভিজিয়ে মোবাইলটি ৩ বার মুছে একদম শেষে মোবাইলটি মুছা শেষ হলে তারপর কাপড়টি নিংড়িয়ে পাক করে নিলেই হবে?

(২) গোপনাঙ্গের লোম/ চুল কাটার সময় যদি দুই একটা লোম/ চুল থেকে যায়।( কারন অনেক সময় মলদ্বারের কিছু লোম/ বা চুল দেখা যায়না সেই কারনে কাটা যায়না অথবা গোপনাঙ্গের আশেপাশে খেয়াল না করা/  কারনে কয়েকটা লোম/ চুল থেকে যায়। সেই লোম/ চুলগুলো না কাটলে এবং ৪০ দিন + হয়ে গেলে কি পাপ হবে?

(৩) কারো যদি গোসল ফরজ হয়, সে যদি প্রথমে গোসলখানায় গিয়ে সারা শরীর ভিজিয়ে বাহিরে এসে পড়ে (কুলি এবিং নাকে পানি দেয়নি) এবং  এর অনেকক্ষণ পড়ে (১/২ ঘন্টা +) আবার গোসলখানা/ওজুখানায় গিয়ে ওজু করে করে আসে (অর্থাৎ সমস্ত শরীর ভিজানোর অনেকক্ষণ পর আবার গিয়ে কুলি করে ও নাকে পানি দেওয়া সহ ওজুর সকল কাজ করে,) তাহলে কি তার ফরজ গোসল হয়ে যাবে?
কারন গোসল ফরজ হলেও অনেক সময় কেউ যদি শুধু স্বাভাবিক ভাবে সমস্ত শরীর ভিজিয়ে পানি ঢেলে কুলি ও নাকে পানি না দিয়েই গোসলখানা থেকে এসে পড়ে পরবর্তীতে কিছুক্ষণ/অনেকক্ষণ পর নামাজের সময় আবার গিয়ে শুধু ওজু করে এসে পড়ে, তাহলে প্রথমে সমস্ত শরীর ভিজিয়ে গোসল করা (তখন কুলি করেনি ও নাকেও পানি দেয়নি এবং এর অনেকক্ষণ পর (১/২ ঘন্টা+ সময় পর) গোসলখানা থেকে বের হয়ে আবার নামাজের সময় গোসলখানায়/ অজুখানায় গিয়ে ওজু করা (যার মাধ্যমে তখন কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া হয়ে গেল, কিন্তু কাজটি অনেক সময় পর করা হলো) তাহলে কি ফরজ গোসল হয়ে যাবে?

(৪) বিছানায় আমার মাথার বালিশের পাশেই বিড়াল প্রস্রাব করেছে।আমার ঘুম ভাংগার পর হাত লেগে বিছানা ভিজা অনুভব করে বুঝতে পেরেছি যে বিড়াল প্রস্রাব করেছে। যেখানে প্রস্রাব করেছে এর পাশেই মোবাইল রাখা ছিল। এখন এই কারনে আমার সন্দেহ হচ্ছে যে মোবাইলে প্রস্রাবের ছিটা লেগেছে কিনা। কিন্তু আমি সিওর হতে পারতেছি না (কারন, আমি যখন ঘুম থেকে উঠেছি ততক্ষণে প্রস্রাব হয়তো শুকিয়ে যেতে পারে)। এখন প্রস্রাব করার করার পাশেই মোবাইলটা থাকার কারনে কি মোবাইলে প্রস্রাবের ছিটা লেগেছে নাকি লাগে নাই সেইটা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। এখন  কি সেই মোবাইল পাক ধরবো নাকি নাপাক ধরবো?

(৫) প্রস্রাব/ পায়খানার পর বেসিনে এসে হাত ধোয়ার সময় অনেক আস্তে করে কল ছাড়লেও হাত ধোয়ার সময় কিছু পানি শরীরে লাগে। এখন প্রত্যেকবার তো হাত ধোয়ার পর গোসল করা সম্ভব না। তাহলে করনীয় কি?

আপনি ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে কিভাবে হাত ধৌত করেন? কোন পানির ছিটা কি লাগে না?

(৬) সপ্নদোষ হলে ও বীর্য বের হলে সাথে সাথে একবার ফরজ গোসল করার পরও আবার অনেকক্ষন পর প্রস্রাব করতে গেলে যদি দেখা যায় প্রস্রাব করার রাস্তা দিয়ে পূর্বের জমাকৃত কিছু বীর্য ছিল, সেটা বের হয়েছে, তাহলে কি আবার গোসল ফরজ হয়ে যাবে?

(৭) ভিজা পায়ে জুতা পড়ার কারনে/ ভিজা জুতা পড়ার কারনে সেই জুতা থেকে কিছু রং পায়ের চামড়ায়/পায়ে লেগে যায়, এটা পানি দিয়ে ধুলে যেতে চায়না, সাবান দিয়ে ধুলেও কিছুটা দাগ থেকে যায়, যেই দাগ মুছার জন্য অনেকবার ঘষতে হয়। এতবার চামড়ায় ঘষার কারনে ব্যাথা পাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।

এখন সেই দাগ তুলার জন্য কি সাবান দিয়ে অনেকক্ষন ঘষা জরুরি সম্পুর্ন দাগ উঠানোর জন্য?

(এটা অনেক সময় সাপেক্ষ, কারন অনেক সময় একবারে সেই দাগ উঠতে চায় না, অনেক সময় পর পর কয়েকবার পানি ব্যবহারের মাধ্যমে উঠে, এতক্ষণ বসে ধুতে গেলেন নামাজ মিস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে)

নাকি পানি/ সাবান দিয়ে হাল্কা ধোয়ার পর যদি কিছু দাগ থেকেও যায়, তাতেও কোন সমস্যা নেই, কিছু দাগ থেকে গেলেও সেই অবস্থায় ওজু করলে ওজু হবে? সেই স্থানের সেই দাগ কি ওজুর করার জন্য ব্যবহার করা পানি প্রবাহে বাধা দিবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ - عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الْمَعْنَى قَالَ : "حُتِّيهِ ثُمَّ اقْرُصِيهِ بِالْمَاءِ ثُمَّ انْضَحِيهِ" -

হিশাম (রহঃ) সূত্রে উক্ত হাদীসের সমার্থক বর্ণনা আছে। তাতে রয়েছেঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কোন জিনিস দিয়ে তা দূর করে পানি দ্বারা ঘষে নিবে। তারপর তাতে পানি ছিটিয়ে ধুয়ে ফেলবে।
বুখারী (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ হায়িযের রক্ত ধোয়া, হাঃ ৩০৭), মুসলিম (অধ্যায়ঃ অনুঃ রক্তের পবিত্রতা এবং তা ধোয়ার নিয়ম,আবু দাউদ ৩৬২।) 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পানি দিয়ে ধোয়ার দরুন যদি  সেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা হয়,তাহলে যেকোনো নাপাকি দূরকারী বস্তু দিয়ে নাপাক দূর করতে হবে।
পেট্রোল,ক্যামিক্যাল,লিকুইড ইত্যাদি দিয়ে একবার ধুয়ে এগুলো টপকানো বন্ধ হয়ে গেলে আবারো এগুলো দিয়ে ধুতে হবে।
এভাবে তিনবার করতে হবে।

(১.১.)
প্রত্যেকবার কাপড়টি ধুয়ে নিংড়িয়ে তা দিয়ে মোবাইল মুছতে হবে।


আরো জানুনঃ- 

(০২)
এতে সমস্যা হবেনা।

(০৩)
হ্যাঁ এতে ফরজ গোসল হয়ে যাবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৪)
মোবাইলে বিড়ালের পেশাবের কোনো চিন্হ,বা গন্ধ পেলে মোবাইলে নাপাক ধরবেন।

আর যদি তাতে পেশাবের কোনো চিন্হ,বা গন্ধ না পান,তাহলে মোবাইল পাক।

(০৫)
ইস্তেঞ্জা করার পর হাতে নাপাকি থাকলে বাথরুমেই কিছুটা মাটির দিকে নত হয়ে হাত ধুয়ে নিবেন।

বেসিনে আসার আগেই ভিতরে হাত পাক করে আসবেন।

(০৬)
এটিকে মযি ধরা হবে,তাই পুনরায় গোসল আদায় করতে হবেনা।

(০৭)
পানি/ সাবান দিয়ে হালকা ধোয়ার পর যদি কিছু দাগ থেকেও যায়, তাতেও কোন সমস্যা নেই, কিছু দাগ থেকে গেলেও সেই অবস্থায় ওজু করলে ওজু হবে।

সেই স্থানের সেই দাগ ওজুর করার জন্য ব্যবহার করা পানি প্রবাহে বাধা দিবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...