আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
63 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম।

গত রমজানের ৩ তারিখ থেকে আমার দাদা হাজী আব্দুল করিম ভীষন অসুস্থ ছিলেন।গত ২২ শে জুলাই শুক্রবার সকাল ১১.০৫ মিনিটে মারা যান।উনার পেটের পীড়া ছিলো যা পরবর্তীতে লিভার ক্যান্সার হিসাবে ধরা পড়ে।আমার দাদা মারা যাওয়ার আগে সুন্দরমত তওবা করেছেন,সকলকে নিজের পাওনা বলে গিয়েছেন এবং উনার মৃত্যুযন্ত্রণাও ছিলো কম।শেষ সময়ে ২৪ ঘন্টা উনার পাশে কোরআন পড়া চালু ছিলো এবং নিজেও আল্লাহর নাম মুখে আনতে পেরেছিলেন আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু যতদিন তিনি বিছানায় শয্যাগত ছিলেন ততদিন নানা জটিলতায় নামায আদায় করতে পারেন নি।

১।এখন উনার কাযা নামাযগুলো কিভাবে আদায় করা যেতে পারে?

২।উনার রুহের মাগফিরাতের জন্য দোআ,সাদগাহের পাশাপাশি কোন কোন আমল করা যাবে?

৩।মৃত্যু পরবর্তী ৪০ দিনের শিন্নি বলে একটা নিয়ম প্রচলিত আছে,এটা ইসলামি শরীয়ত মোতাবিক কতটা গ্রহণযোগ্য?

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যে ব্যক্তি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে সর্বশেষ ইশারার মাধ্যমেও নামায আদায় করতে অক্ষম।এবং সুস্থতার আশা প্রায় গৌণ।এমন ব্যক্তি শরীয়তের বিধি-বিধানের মুকাল্লাফ নয়।অর্থা ঐ ব্যক্তির যিম্মা থেকে নামায-কে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৫৪৫,কিতাবুল ফাতাওয়া-৩/৪০৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার দাদার নামায পড়ার সক্ষমতা ছিল কি না?  সেটা আপনারাই নির্ধারণ করবেন।যদি উনার সক্ষমতা না থাকে, তাহলে উনি শরীয়তের বিধি-বিধানের মুকাল্লাফ নন।অর্থাৎ এমন পরিস্থিতে  শরীয়ত উনার উপর নামায-রোযার কিছুকেই ফরয করছে না। বরং এমতাবস্থায় সম্ভব হলে উনি যিকির করবেন।এবং তখন অন্যান্য আ'মলের চেয়ে যিকির করাই মুস্তাহাব।
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ "
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1411

আর তিনি নামায পড়ার সক্ষমতা রাখলে তখন তিনি উনার যত নামায কাযা হয়েছে, সেই সবগুলো নামাযের কাফফারা আদায় করতে হবে।

(২)
উনার রুহের মাগফিরাতের জন্য সকল প্রকার নেক কাজ করতে পারবেন। তবে উত্তম হল, সদকায়ে জারিয়া মূলক কিছু করা।এমন কোনো কাজ করা যা দীর্ঘদিন থাকবে।যেমন মসজিদ নির্মান,নলকুপ স্থাপন,ইত্যাদি।

(৩)
এটা বিদ'আত। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...