ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জ্বী, এটা ধোকা ও প্রতারণা হবে।
ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا ) ،
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন- যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৬)
ভিন্ন এক সুত্রে বর্ণিত আছে,হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : ( مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃযে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/726
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ধোকা ও প্রতারণায় আপনার জন্য সাহায্য-সহযোগিতা করা কখনো জায়েয হবে না। আপনার জন্য সাপোর্ট করা কখনো জায়েয হবে না।তবে আপনি তিন যে রোগী দেখবেন, সেই ইনকাম আপনার জন্য হারাম হবে না, কেননা আপনি তো হালাল শ্রমের মাধ্যমে বিনিময় গ্রহণ করবেন। আপনার সাথের কোয়াক,যিনি ভুয়া সার্টিফিকেট দ্বারা লোকদেরকে ধোকা দিবেন, তার এই ধোকা দেয়া কখনো জায়েয হবে না।তিনি যদি ঠিকঠাকমত কাজ করে নিতে সক্ষম হন, তাহলে তার বেতনও হারাম হবে না কেননা তিনি তো শ্রমের দ্বারা টাকা নিচ্ছেন। কিন্তু কোনো অঘটন ঘটলে তার দায়ভাড় তাকেই বহন করতে হবে।দুনিয়া ও আখেরাতে।এবং সাহায্য করার কারণে আপনাকেও বহন করতে হবে। সুতরাং আপনি তাকে আপনার ওখানে কাজ করার সুযোগ দিবেন না, এটাই আপনার জন্য কাম্য।