আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
87 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল এর উত্তর দিলে উপকৃত হব।

দিলে উপকৃত হব


১.আগের প্রশ্ন জেনেছিলাম যে ভুল করে কোন গুণাহ করলে সাথে সাথে তওবা করতে হবে।এখন যদি আমি তওবা না করে শুধু ইস্তেগফার পড়ি তাহলে কি হবে?


২.কোন জায়গায় বেড়াতে গেলে জামাতে নামাজ পড়া যায়না। একাকী পরতে হয়।এতে কি গুণাহ হবে?


৩. হাদিসে আছে

ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি এ দো‘আ পড়বে,


‘আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যূমু অ আতূবু ইলাইহ্।’


অর্থাৎ আমি সেই আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি যিনি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব, অবিনশ্বর। এবং আমি তাঁর কাছে তওবা করছি।


সে ব্যক্তির পাপরাশি মার্জনা করা হবে; যদিও সে রণক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে [যাওয়ার পাপ করে] থাকে।’’ [আবূ দাঊদ, তিরমিযী, হাকেম; ইনি বলেন, হাদিসটি বুখারী-মুসলিমের শর্তাধীনে বিশুদ্ধ

] [1]

(রিয়াদুস সালেহীন ১৮৮৩)

এখন যদি কোন গুণাহ করে তওবা না করে শুধু এই ইস্তেগফারটি পড়ি তাহলে কি সকল কবিরা ও সগিরা গুণাহ মাফ হবে?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তওবা করা আর ইস্তিগফারের মধ্যে সামান্য পার্থক্য  রয়েছে,
খাযাইনুল হাদীস পৃষ্টা নং ১৬১ এ বর্ণিত রয়েছে,
۔ اسی طرح استغفار اور توبہ ایک چیز نہیں ہے تو استغفار اور توبہ میں کیا فرق ہے؟ استغفار کہتے ہیں کہ جن گناہوں کی وجہ سے ہم اللہ سے دور ہو گئے، خدا کے قرب سے محروم ہو گئے اور ہماری حضوری دوری میں تبدیل ہوگئی،منزلِ قرب سے منزلِ غضب میں جا پڑے تو دوری کے غم اور عذاب کی وجہ سے ندامت کے ساتھ اپنی اس نالائقی سے معافی چاہنا یہ استغفار کا مفہوم ہے کہ آہ !گناہ کر کے ہم اپنے اللہ سے کیوں دور ہوئے، نہ ہم گناہ کرتے، نہ قرب سے محروم ہوتے ۔ معلوم ہوا کہ ماضی کے گناہوں پر ندامت سے معافی مانگنے کا نام استغفار ہے اور توبہ کیا ہے؟ توبہ کے معنیٰ رجوع الی اللہ کے ہیں۔ ملّا علی قاری رحمۃ اللہ علیہ نے مرقاۃ میں لکھا ہے جو مشکوٰۃ کی عربی زبان میں شرح ہے گیارہ جلدوں میں کہ تَوَّابُوْنَ کے معنیٰ رَجَّاعُوْنَ کے ہیں یعنی کَثِیْرُ الرُّجُوْعِ اِلَی اللہِ جس کا ترجمہ میرے قلب کو اللہ تعالیٰ نے عطا فرمایا کہ گناہ سے تم اللہ سے جتنی دور ہو گئے تھے پھر اپنے اللہ کے پاس واپس آ جاؤ، اپنے مرکز اور مستقر سے بھاگ گئے تھے پھر منزلِ جاناں پر آ جاؤ، منزلِ محبوب پر آ جاؤ، پھر منزلِ مولیٰ پر آجاؤ، پھر اپنے قلب کو اللہ کے قدموں میں ڈال دو۔
মর্মার্থ-
অতীতের গোনাহের উপর লজ্জিত হয়ে ক্ষমা চাওয়ার নাম ইস্তেগফার।আর অতীতের গোনাহের উপর লজ্জিত হয়ে ভবিষ্যতে না করার সিদ্ধান্তের নাম তাওবাহ।

তাৎক্ষণিক তাওবাহ করা ওয়াজিব।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/5806

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
গোনাহ করার সাথে সাথেই তাওবাহ করা ওয়াজিব। তাওবাহ এবং ইস্তেগফারের মধ্যে কিছু পার্থক্য থাকলেও একটিকে অন্যটির স্থলে ব্যবহার করা যাবে।কেননা উদ্দেশ্য বিবেচনায় উভয়টির অর্থ একই। সুতরাং তাওবাহর মুহূর্তে ইস্তেগফার করা যাবে। তখন ইস্তেগফার তাওবাহর স্থলাভিষিক্ত হবে।

(২)
জ্বী, তখন একাকি পড়ে নিবেন।এই একাকি পড়ে নেয়ার পূর্বে জামাতে পড়ার চেষ্টা করবেন। এতেকরে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।

(৩)
যেহেতু তাওবাহ শব্দের স্থলে ইস্তেগফার ব্যবহার করা যায়, তাই ইস্তেগফার শব্দ দ্বারা কবিরা গোনাহ পর্যন্ত মাফ হবে।
" «مَنْ قَالَ: أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيَّ الْقَيُّومَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ غُفِرَ لَهُ، وَإِنْ كَانَ قَدْ فَرَّ مِنَ الزَّحْفِ»  "
(মিশকাত-২৩৫৩)

মোল্লা আলী ক্বারী রাহ বলেন,
هَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ الْكَبَائِرَ تُغْفَرُ بِالتَّوْبَةِ وَالِاسْتِغْفَارِ. اهـ. وَهُوَ إِجْمَاعٌ بِلَا نِزَاعٍ.
এটা প্রমাণ করে যে,তাওবাহ এবং ইস্তেগফার দ্বারা কবিরা গোনাহ মাফ হবে। এটা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...