আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
74 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম,,, মুহতারাম!আমার প্রশ্ন গুলো হলোঃ

১.কেউ যদি আল্লাহর কাছে মান্নত করে যে সে সুস্থ হলে সারা জীবন সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখবে,কিন্তু শারিরীক দূর্বলতা ও রিজিক অন্বেষণের জন্য যদি তা তার জন্য দূর্বিষহ হয়,তাহলে কাফফারা সুরূপ কি করা যেতে পারে?মান্নত কারীর বয়স ২২, শারিরীক ভাবে তেমন ফিট নয়,এবং সে ছাত্র, পারিবারিক ভাবে তাকে উপার্জন করতে হয়?

২.আমি দোয়া জিকির করলে অন্তরে তৃপ্তি পায়,কিন্তু বিগত এক বছর ধরে,আমার অন্তরে শিরিক ফোবিয়া কাজ করছে!আমার বাসার পাশে বা আমি যে জায়গায় আছি তার সামনে অথবা পাশে যদি কবর বা মাজার,অথবা মূর্তি বা statue থাকে, তাহলে আমি আল্লাহর জিকির, ইস্তিগফার,দরূদ অথবা দোয়া করা থামিয়ে দিই,শিরিক হবে মনে করে,আসলে কি তাতা শিরিক হবে?

৩.আমি এটা বিশ্বাস করি,যে কেউ আমার উপকার করুক বা অপকার করুক,তা আল্লাহর ইচ্ছায় এবং তকদ্বীরে লিখন,,,মানুষটা শুধু অসিলা! সে তার নিয়ত বা উদ্দেশ্য ও কর্ম অনুযায়ী আল্লাহর কাছ থেকে ফল ভোগ করবে,বিশ্বাসটা কি ঠিক?

৪.মসজিদের কেবলা বরাবর দেয়ালের বাহিরে যদি কবর থাকে তাহলে সেই মসজিদে নামাজ পড়া যাবে?

৫.কোনো মানুষ যদি আমাকে বেশি ভালোবাসে বা উপকার করে,তাহলে আমি তার প্রতি অধিক ঝুকে যায়,,,এতে করে আমি বিশেষ ভাবে আল্লাহকে স্বরণ করতে পারছিনা,,,,সালাত ও দোয়াতে বেশি সমস্যা হয়।কোনো কাজে মনোনিয়োগ করা যায় না শুধু ব্যাক্তিটার কথা মনে পরে,অন্তরে তাকে ভুলে যাওয়ার ভয় হয়,অথচ আমি এটা বুঝি যে,আমি আল্লাহকে ভয় করলে,কারো মনে কষ্ট দিবো না, কিন্তু তবুও মন বুঝতে চাই না!,কি করতে পারি?

৬.ইমান ও নেক আমলের উপর টিকে থাকতে হলে কিছু নাসীহা করুন।

জাযাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (714,040 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
وإذا نذر بصوم كل خميس يأتي عليه، فأفطر خميساً واحداً، فعليه قضاؤه وكفارة يمين إن أراد يميناً مع النذر، وإن أفطر خميساً آخر، فلا كفارة عليه عند أبي حنيفة ومحمد؛ لأن نية اليمين لما صحت في النذر عندهما صار كأنه قال: لله عليّ صوم كل خميس، وقال مع ذلك: والله لأصوم كل خميس، ولو صرح بالأمرين جميعاً، ثم أفطر جميعاً بقي النذر، ولم يبق اليمين؛ لأن يمين واحدة حيث فيها مرة، فلا تجب مرة أخرى، فلم تتكرر الكفارة، فأما القضاء إنما يجب بالإفطار، والإفطار قد تكرر، فيتكرر القضاء.
যদি কেউ প্রত্যেক বৃহস্পতিবার রোযা রাখার নযর করে, অতঃপর সে কোনো এক বৃহস্পতিবার রোযা না রাখে,তাহলে তার উপর কাযা আসবে,এবং নযরের মধ্যে কসম নিয়ত থাকলে, কাফফারাও দিতে হবে।পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার আর রোযা না রাখলে তার উপর শুধুমাত্র কাযা ওয়াজিব হবে,কাফফারা ওয়াজিব হবে না।এটা ইমাম আবু হানিফা রাহ এবং ইমাম মুহাম্মদ রাহ এর মাযহাব।কেননা কসমের কাফফারা একটই আসে।তবে জীবনের শেষ মূহর্ত পর্যন্ত যত বৃহস্পতিবার আসবে,সেই তারিখে রোযা না রাখলে কাফফারা দিতে হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৪০৩)

إذا نذر أن يصوم يوم كذا ما عاش، ثم كبر، وضعف عن الصوم يطعم مكان كل يوم مسكيناً، وإن لم يقدر لعسرته يستغفر الله تعالى، فإن ضعف عن الصوم في ذلك اليوم لمكان الصيف كان له أن يفطر، وينتظر حتى إذا كان في الشتاء صام يوماً مكانه؛
কেউ যদি নির্দিষ্ট কোনো দিনের রোযা রাখার নিয়ত করে,অতঃপর সে বৃদ্ধ হওয়ার দরুণ বা দুর্বলতার দরুণ রোযা রাখতে অক্ষম হয়ে যায়, তাহলে সে প্রত্যেক ঐ দিনের মুকাবেলায় একজন মিসকিনকে দুইবেলা আহার করাবে।আর সামর্থ্য না থাকলে, সে আল্লাহর কাছে তাওবাহ করবে।গরমের কারণে রোযা রাখতে অক্ষম হলে শীতের দিনে রোযাকে কাযা করতে পারবে।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৪০৩)

(২)
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি।এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1037

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি নেককার কোনো ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক রাখবেন।তাহলে অন্তরে কোনো প্রকার সমস্যা হবে না।

(৩)
জ্বী, বিশ্বাসটা ঠিক আছে।

(৪)
জ্বী, নামায পড়া যাবে।

(৫)
ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। এজন্য নেককার কোনো আলেমের শরণাপন্ন হবেন।

(৬)
নেককার কোনো ব্যক্তির সাথে উঠাবসা করুন।সম্পর্ক রাখুন।মসজিদের ইমাম মুওয়াজ্জিন সাহেবের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করুন।ইনশা'আল্লাহ, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...