আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (18 points)
edited by
এক ভাইয়ের প্রশ্ন
সম্মানিত শায়েখ,
১. আমি দ্বীনের জরুরী বিষয় গুলো মোটামুটি জানি। দেশে চাকরীর চেষ্টা সেভাবে করা হয় নি, কেননা স্নাতক পাশ করেই আমেরিকায় উচ্চ শিক্ষার জন্য যাওয়ার নিয়ত ছিল। তবে দেশে চেষ্টা করলে রিজিকের ব্যবস্থা হয়ত হয়ে যেত। আমার ঈমানের অবস্থা খুবই খারাপ এখন। পড়ানো শেষ করে মুসলিম দেশে থাকার নিয়ত আছে। আমি কি গুনাহগার হচ্ছি? আমি ফরজ ইবাদত গুলো করার চেষ্টা করি।

২. দ্বীনের জ্ঞান কম/ পুরোপুরি ইসলাম পালন করে না এরকম কয়েকজনকে আমি নিজে থেকেই কাফির দেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য সাহায্য করেছি। এখানে আসার সুযোগ পাওয়া থেকে শুরু করে আমি যতটুকু যা জানতাম, নিজে থেকে জানিয়ে সাহায্য করেছি। এতে কি আমি অন্যায় করেছি?

৩. আমার বাইরে পড়তে আসা দেখে অনেকেই এটাতে আগ্রহী হচ্ছে। আমি যেহেতু খাবার দাবার, সুন্দর জায়গার ছবি দিই ফেছবুকে। এখন আমার সাহায্য নিয়ে ইসলাম তেমন মানে না এরকম কেউ যদি এদেশে এসে স্থানীভাবে থাকার নিয়ত করে, আমি জেনেও তাকে যথাযথ সাহায্য করি, তাহলে কি গুনাহগার হব?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


অমুসলিম রাষ্ট্রে বসবাসের জন্য অবশ্যই দুটো প্রধান শর্ত পূরণ হতে হবে।

প্রথম শর্ত: বসবাসকারীকে স্বীয় দ্বীনের ব্যাপারে আশঙ্কামুক্ত হতে হবে। অর্থাৎ তার এমন ‘ইলম, ঈমান ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে, যা তাকে দ্বীনের ওপর অটল থাকার মতো এবং বক্রতা ও বিপথগামিতা থেকে বেঁচে থাকার মতো আত্মবিশ্বাসের জোগান দেয়। আর কাফিরদের প্রতি তার অন্তরে শত্রুতা ও বিদ্বেষ থাকতে হবে। অনুরূপভাবে কাফিরদের সাথে মিত্রতা ও তাদের প্রতি ভালোবাসা থেকে তাকে দূরে থাকতে হবে। কেননা তাদের সাথে মিত্রতা স্থাপন করা এবং তাদেরকে ভালোবাসা ঈমানের পরিপন্থি।
সমস্ত প্রকার অন্যায় অশ্লীল কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।
মহান আল্লাহ বলেছেন,

 لَا تَجِدُ قَوْمًا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ يُوَادُّونَ مَنْ حَادَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَوْ كَانُوا آبَاءَهُمْ أَوْ أَبْنَاءَهُمْ أَوْ إِخْوَانَهُمْ أَوْ عَشِيرَتَهُمْ 

“তুমি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী এমন কোনো জাতিকে পাবে না, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল বিরোধীদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে; যদিও তারা তাদের পিতা, অথবা পুত্র, অথবা ভাই, কিংবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়।” [সূরাহ মুজাদালাহ: ২২]

দ্বিতীয় শর্ত: নিজের দ্বীনকে প্রকাশ করার মতো সক্ষমতা থাকতে হবে। অর্থাৎ, বসবাসকারী ব্যক্তি কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই ইসলামের নিদর্শনাবলি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবেন। নামাজ, জুমু‘আহ ও জামা‘আত—যদি তার সাথে জামা‘আতে নামাজ ও জুমু‘আহ প্রতিষ্ঠা করার মতো কেউ থেকে থাকেন—প্রতিষ্ঠা করতে বাধাগ্রস্ত হবেন না। অনুরূপভাবে জাকাত, রোজা, হজ ও অন্যান্য শার‘ঈ নিদর্শন প্রতিষ্ঠা করতে বাধাগ্রস্ত হবেন না। যদি এসব কাজ করার সক্ষমতা না থাকে, তাহলে তখন হিজরত ওয়াজিব হয়ে যাওয়ার কারণে সেখানে বসবাস করা জায়েজ হবে না।

বিস্তারিত জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,   
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে বুঝা যাচ্ছে যে আপনি অমুসলিম দেশে রয়েছেন।

এক্ষেত্রে উপরোক্ত শর্ত গুলি পুরোপুরি ভাবে মেনে না চলার দরুন আপনি গুনাহগার হচ্ছেন।

(০২)
তাদের গুনাহের ভাগীদার আপনি হবেননা।
তারা সেখানে গিয়ে গুনাহ করলে নিজেদের গুনাহের ভাগীদার তারাই হবে।
আপনি নয়।

(০৩)
আপনি গুনাহগার হবেননা।
তবে আপনি যদি সরাসরি তাদের কোনো গুনাহের কাজে সহযোগিতা করেন,তাহলে আপনি গুনাহগার হবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...