ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
وَأَمَّا الِاعْتِدَالُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَكُلِّ رُكْنٍ هُوَ أَصْلٌ بِنَفْسِهِ ذَكَرَ الْكَرْخِيُّ أَنَّهُ وَاجِبٌ عَلَى قَوْلِهِمَا. هَكَذَا فِي الظَّهِيرِيَّةِ وَهُوَ الصَّحِيحُ. كَذَا فِي شَرْحِ الْمُنْيَةِ لِابْنِ أَمِيرِ الْحَاجِّ وَتَعْدِيلُ الْأَرْكَانِ هُوَ تَسْكِينُ الْجَوَارِحِ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ وَأَدْنَاهُ قَدْرُ تَسْبِيحَةٍ.
রুকু এবং সিজদাতে দেড়ী করা ওয়াজিব, একথার অর্থ হল, প্রত্যেকটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে শান্ত হওয়া ও তার স্থানমত হওয়া। এর সর্বনিম্ন সময় হল, এক তাসবিহ সমপরিমাণ। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৭১)
(২) নামাযে বাংলা ভাষায় দু'আ করা যাবে না।হ্যা, নফল নামাযে কেউ কেউ রুখসত দিয়ে থাকেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/185
নামাযে কান্না করার বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/431
(৩)
পুরুষের বেশ ধারণ করাই হাদীসের মূল উদ্দেশ্য। সুতরাং নারীরা প্যান্ট পরিধান করতে পারবে না। হ্যা, যদি কেউ প্যান্ট পরিধান করে,তবে অন্যান্য পোষাক নারীদেরই থাকে, এবং তাকে দেখলে নারীই মনে হয়, তাহলে এটা হাদীসের মিসদাক হবে না। সর্বোপরি উত্তম হল, বিপরীত লিঙ্গের সামান্যতমও সন্দেহ হয়,এমন কাপড়কে পরিত্যাগ করা।
(৪)
মেয়েদের ডিজাইনে হলে,সেটাতো সেলোওয়ার হবে। নাম তার যাই হোক না কেন! সেটা তো সেলায়ার হিসেবেই বিবেচিত হবে।সুতরাং পরিধান করা যাবে।
(৫)
জ্বী পরিধান করা যাবে।
(৬) গোনাহ হবে না।তবে এটাতো অনুচিৎ।আন্তর্জাতিক পরীক্ষা আইনের খেলাফ। সুতরাং অনুত্তম হবে।
(৭) মজা করে কোনো হালাল জিনিষকে হারাম বলাও জায়েয হবে না।নিজের উপর হারাম করলে, কসমের কাফফারা আসবে।তারপর ঐ জিনিষ তার জন্য হালাল হবে।নতুবা তারজন্য হারামই থাকবে।এবং তার গোনাহ হতে থাকবে,যতক্ষণ না সে হারামকে হালালে পরিণত করছে।
(৮)
জ্বী, ঈমান চলে যাবে।