আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
413 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ, আমার আম্মু চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে পাস করা gynecologist, আব্বু আর্মি অফিসার, দুই বোনের মধ্যে আমি বড়, আমি চট্টগ্রাম সেনানিবাস এ থাকি, ছোটবেলা থেকেই সহশিক্ষায় পড়েছি, আমি ssc22, দোয়া করবেন যেন মহিলা কলেজে টিকে যাই ইন শা আল্লাহ

আমি ক্লাস নাইন এ ইউটিউব এ ওয়াজ শোনার মধ্যে দিয়ে হেদায়েত পাই, এরপরে নিয়মিত নামাজ পড়তে থাকি, যেটা দেখে আমার হাজী বাবা মা বেশ খুশি ছিলেন, এরপরে আমি fb তে ইসলামিক পোস্ট দিতে থাকি, তখন আম্মু বলে "তুমি এইসব পোস্ট আর শেয়ার করবে না, লোকে তোমাকে জঙ্গি +গোমরাহ বলবে" এরপরে আমি ফ্যামিলি members দের hide করে ইসলামিক পোস্ট করতাম fb তে, তারপরে আমার পরিবারের আসল রহস্য আমার কাছে পরিষ্কার হয়, তাদের ইনকাম এর একটা অংশ জড়িত সুদি ব্যাংক এর সাথে, লোন দেয়া, নেয়া, ওই টাকা দিয়ে তারা আবার বছর বছর হজ umrah ও করে,

তারপর উনারা গান গাওয়া, হিজাব এর সাথে make up করাকে জায়েজ মনে করেন, এইগুলা না করা নাকি জঙ্গিবাদ.

পরিবারের কেউই সহি পর্দা করে না, দেবর কে ভাত বেড়ে দেয়, কাজিনরা ঈদের দিন একে অপরকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা বিনিময় করে (চাচাতো ভাই বোন রা) আমি এইসব থেকে বাঁচতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ. তবে বাঁচতে পারি নি আমার নিজ বাবা মা থেকে, আম্মু নিজে আমাকে বাহারি ডিজাইন এর হিজাব, জামা কিনে দেয় আর বাইরে যাওয়ার সময়ে lipstick +কাজল লাগিয়ে দেয়, আমি প্রতিরোধ করলে বলে, "কোত্থেকে শিখছ এইসব, আমি কিন্তু তোমার fb নিয়ে নিবো (fb তে আমি ইয়াকিন বইঘর ও ইসলাহ শপ থেকে বই কিনি ,এইটা আমার deen শেখার একমাত্র অবলম্বন)", এই কারণে আমি চুপ থাকি, দুই চোখে শুধু দেখেই যাই কিভাবে উনারা আমাকে সাজিয়ে গুছিয়ে বেপর্দা করে জাহান্নামের পথে নিয়ে যাচ্ছে, কিছু বলতে পারি না আমার কখনো বোরখা নিকাব ছুয়ে দেখার ও সৌভাগ্য হয় নি, শুধু হিজাব তাও আবার ডিজাইন করা তার উপর make up. আমি আম্মু কে অনেকবার বলেছি এইগুলো গুনাহ, অনেক দাওয়াত দিয়েছি, আম্মু বলেছে "এই যুগে এইসব চলে না, তুমি সেজে না থাকলে তোমার বিয়ে হবে কিভাবে"

আর এইদিকে আব্বু আমাকে আর্মি তে দেয়ার জন্য দিন গুণছে। কলেজে গেলে নাকি BNCC তে দিয়ে দিবে
উনারা বলেন "khadija( ra) business করেছেন, ইসলামে মহিলা রা যুদ্ধে গিয়েছে, সুতরাং আর্মি তে যাওয়া যায় এইগুলোই সাফল্য. আমি চিন্তা করেছিলাম রেজাল্ট খারাপ করব, তাহলে উনারা আর pressure দিবে না. কিন্তু রেজাল্ট খারাপ হওয়ার পর নামাজে বাধা আসলো, শুধু ফরজ পড়তে বলা হলো (যেমন fojorer দুই rakat sunnot না পড়ে just দুই rakat ফরজ পড়তাম, এইভাবে সব wakter salat) যদিও আমি লুকিয়ে ফুল নামাজই পড়তাম, নামাজ পড়তে দেখলে উনারা বলেন, "তাড়াতাড়ি করো তাড়াতাড়ি করো" উনারা দোয়া করতে দেয় না, এইগুলো নাকি সময় নষ্ট), তারপর কোচিং এর পরিমান বাড়িয়ে দেয়া হলো ফলে আমি সহশিক্ষায় আরো বেশি জড়িয়ে গেলাম, আগে খালি স্কুলে সহশিক্ষা এখন কোচিং এও সহশিক্ষা. রেজাল্ট খারাপ করার পর উনারা বললেন ," এত নামাজ পড়ে কি হলো, এখন থেকে নাচ গান করবে, বাইরে যাবে, ghurbe, সব করবে, সব করলেই রেজাল্ট ভালো হবে, ঘরে বসে কি করেছো তুমি!" (পর্দা ও non mahram maintain করতে ঘর থেকে কম বের হতাম ও গান ছেড়ে দিয়েছিলাম)

কোরান পড়তে গেলে আম্মু তাগাদা দেয়, "দিনে এক পৃষ্ঠা কোরান পড়বে, এর বেশী না" আম্মু অনেক ইসলামিক বইয়ের পিডিএফ ডিলিট করেছে আমার ফোন থেকে, এইগুলা নাকি জঙ্গিবাদ. আমি সেনানিবাস এ থাকি, এইখানে কেউই পর্দা করে না, এইখানে রাস্তায় আমার বয়সী মেয়েরা orna ছাড়া টাইট কাপড় পড়ে ঘুরে, এইখানে আমার বয়সী দুইজন হিজাব পরে মাত্র, তাদের আবার deen এর বুঝ নাই, আমাদের এইখানে পরিবেশটাই bedin আমার আব্বু হাজী, নিয়মিত নামাজ পড়ে, প্রতি রোজায় কোরান খতম দেন কিন্তু তিনি পরকীয়া +জিনার সাথে জড়িত, (আম্মু জিনাতে নেই, আম্মু পবিত্র) আম্মু কষ্ট পাবে দেখে বলতেও পারছি না. আমার এক চাচাতো বোন tiktok করে আরেকজন LGBTQ (সমকামিতা) সাপোর্ট করে, আর বাকি দুই চাচাতো বোন হারাম এ লিপ্ত, চাচাতো ভাই রা non mahram তাই কথা বলি না তাদের সাথে তেমন.
আমার পরিবারে দুই ধরণের মানুষ আছে

1. মডারেট ইসলাম প্রিয় মানুষ
2. লেবাসধারি

আমার সমস্যা :

পরিপূর্ণ পর্দা করতে পারি না, non mahram maintain করতে পারি না, প্রকাশ্যে ইসলামিক বই পড়তে পারি না ,আমাকে আর্মি তে দিবে বলছে, (আর্মি তে হিজাবটাও নেই মেয়েদের) আর না হয় সরকারি/আর্মি মেডিক্যাল এ.


এখন আমার করণীয় কী?
by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
শাইখ ত নিজে বলবেন
আমি কিছু বলি,
আপনার উচিত হল প্রচুর দুয়া করা আল্লাহর কাছে।দুয়া কবুলের প্রতিটা সময় ধরে ধরে অত্যন্ত কাকুতি মিনতি করে করে দুয়া করা।আল্লাহর নাম ও সিফাত গুলো ধরে।এই সমস্যা গুলা উত্তরণের জন্য।
কোনোমতেই আর্মিতে যাবেন না,বিকল্প হিসেবে মেডিক্যালে যান (পরে যাতে সিভিলে কাজ করা যায়) আর চেষ্টা করবেন একজন দ্বীনদার পাত্র কে বিয়ে করতে,কোনোভাবে তার ভাগে চলে গেলে ব্যাপার অনেক ইজি হবে।আপনার জন্য দুয়া থাকবে।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইমাম বোখারী রাহ হাসান বসরী রাহ থেকে বর্ণনা করেন,
" إن منعتْه أمُّه عن العشاء في الجماعة شفقة:لم يطعها "
যদি মা তার সন্তানের কল্যাণ কামনায় তাকে অন্ধকারে এশার জামাতে যেতে বাধা প্রদান করে,তাহলে এক্ষেত্রে মায়ের আদেশকে মানা যাবে না।(সহীহ বোখারী-১/২৩০)

ইমাম আহমদ রাহ কে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো,যার পিতা তাকে মসজিদে গিয়ে নামায পড়তে বারণ করে।ইমাম আহমদ রাহ প্রতিউত্তরে বললেন,
" ليس له طاعته في الفرض "
আল্লাহর ফরয বিধানের উল্টো পিতার আদেশকে মান্য করা যাবে না।(গেযাউল আদাব ফি শরহে মনযুমাতিল আদাব-১/৩৮৫) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1707

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু এই মুহূর্তে আপনি সরাসরি মাতাপিতার অবাধ্য হলে, তারা আপনাকে আরো কঠিনতর পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিবে, তাই আপনি আপনার নফল আ'মলকে যথাসম্ভব লুকিয়ে করবেন। আপনাকে যে, আপনার মাতাপিতা ফরয ইবাদতের সুযোগ দিচ্ছে, এটাও অনেক বড় একটা বিষয়। এমন অনেক মাতাপিতা রয়েছে, যারা তাদের সন্তানাদিকে ফরয ইবাদতেরও সুযোগ দেয়না।যাই হোক, আপনি নফল ইবাদতকে যথাসম্ভব লুকিয়ে করবেন। মুখ ঢেকে পর্দা করা ফরয।এই বিষয়টা আপনি আপনার মাতাপিতাকে বুঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে মুখকে অবশ্যই ঢেকে রাখার চেষ্টা করবেন। হ্যা, ভালোমত লোখাপড়া করবেন।লেখাপড়াতে কোনো প্রকার কমতি করবেন না। রেজাল্ট ভালো করার পর হয়তো আপনার পিতার মনের মধ্যে পর্দা রক্ষার বিষয়টাও চলে আসতে পারে। ভালো রেজাল্ট করার পর যদি দেখেন যে, আপনার পিতা আপনাকে জোর করে কেথাও বেপর্দায় বাধ্য করছে, তাহলে তখন আপনি তখন প্রতিবাদও করতে পারবেন।অথবা দ্বীনদার কোনো পাত্র খুজে বিদেশে লেখাপড়া করতে গিয়ে সেখানে উভয় বিয়ে করে নিজের ইচ্ছামত দ্বীন পালনও করতে পারবেন।তখন মাতাপিতা আপনাকে কোনো প্রকার বাধা দিতে পারবে না। এটা অবশ্যই সর্বশেষ ধাপ।এর পূর্বে আপনি মাতাপিতাকে পরিপূর্ণ হেদায়তে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন,এবং সালাতুল হাজত পড়ে আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে দু'আ করতে থাকুন। ইনশা'আল্লাহ, অবশ্যই আল্লাহ আপনার দু'আকে কবুল করবেন।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...