আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ,
আমার এক পরিচিত বোন তার ব্যাক্তিগত জীবনে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, আমি তার প্রশ্ন গুলা নিচে উল্লেখ করলাম।
সে বেদ্বীন পরিবারে বড় হয়েছে, তারপর আল্লাহর দয়ায় সে হেদায়েতের আলো পেয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু তার পরিবার সেটা মানতে নারাজ, পর্দার ব্যাপারে তাকে এখনো নানা রকম কথা শুনতে হয়।

প্রায় দেড় বছর আগে তার সাথে তার চাচাতো ভাই এর বিয়ের কথা হচ্ছিলো, তখন তার ভাই তাকে পর্দার জন্য সাহায্য করবে বলেছিলো আর সেও তখন সদ্য দ্বীনে ফেরা ছিলো উৎসাহে আগ পিছ না ভেবে বিয়েতে রাজি হয়েছিলো, আর বলেছিলো যে ২ বছর পর বিয়ের করবে এই দুই বছরে ২ জনই শিখবে,
কিন্তু এই দুই বছরে সেই বোনের ডিসিশন চেঞ্জ হয়ে যায় কিছু কারনে-
যেহেতু সেই বোন বেদ্বীন পরিবারে বড় হয়েছে তাই সে পরিপূর্ণ একটা দ্বীনদান পরিবার চায় যেখানে তাকে স্নেহ করে দ্বীনের ব্যাপারে শিখাবে।আর এমন জীবনসঙ্গী চায় যার দ্বীনের কল্যানকর গভীর জ্ঞান এবং সেই অনুযায়ী আমল থাকবে যেনো সেই তার শিক্ষক হতে পারে।সেটা জেনারেল থেকে ফেরত দ্বীনিদারও হতে পারে বা মাদরাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের।
কিন্তু তার সেই ভাই এর ব্যবহার ভালো,নামাজী,মোটামুটি আলহামদুলিল্লাহ, কিন্তু তার পরিবারের পর্দা নামাজ নিয়ে সমস্যা  নেই তবে তারা অন্যান্য ব্যাপার যেমন গীবত, মিথ্যা, পরনিন্দা, হক্বের ব্যাপারে সচেতন না তাই বোনটির ইচ্ছা নেই বিয়ে করার।

বোনটির পরিবারের সবাই রাজি এবং সেই ছেলের পরিবারেরও সবাই রাজি শুধু রাজিনা সেই বোন একাই।

যেহেতু সেই বোন ছোট থেকেই তাকে ভাই হিসেবে দেখে আসছে আর পরিবারের সাথে মিশেছে, সব মিলিয়ে তার কিছুতেই ওই ছেলের প্রতি এখন মন টানে না,একজন হাজবেন্ড হিসেবে যেমন অনুভূতি কাজ করার কথা সেটা সেই ভাই এর প্রতি আসবে না এবং ওই পরিবারেও। তাছাড়া সেই ছেলের ছোট ভাইয়ের প্রতি তার একটা ফিতনা কাজ করত আগে,  সেই বোন এই ভয়ও পাচ্ছে যে বিয়ের পরও যদি এমন কোনো ফিত্নায় পরে যায়,তাহলে তো হক্ব নষ্ট হবে। এবং গুনাহও হবে।যার কারনে সেই ছেলে ভালো হলেও তার কোনো ইচ্ছা নেই এই বিয়েতে।

এবং ইস্তেখারা করেও কিছু বুঝতে পারছেনা।
সে ভয় পাচ্ছে সবাই রাজি শুধু তারই ইচ্ছা নাই পরবর্তীতে যদি অন্য কারো সাথে বিয়ের পর কিছু হয় তাহলে সবাই তাকেই দোষারোপ করবে।সে কোনদিকে যাবে কিছুই বুঝতে পারছেনা,নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিবে নাকি পরিবারের মতে বিয়ে করবে।

এই মুহূর্তে তার জন্য উত্তম পরামর্শ দরকার ইন শা আল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের দৃষ্টিতে বিবাহে চাপ প্রয়োগের কোনো সুযোগ নেই। যদি চাপ দিয়ে তার সম্মতি আদায় করা হয় আর এভাবে অপছন্দের পাত্রের সাথে মহিলাকে বিবাহ দেওয়া হয়, তবে পরবর্তীতে সে বিবাহ বলবত রাখা বা নাকচ করার এখতিয়ার পর্যন্ত শরীয়ত তাকে দিয়েছে।

হাদীসগ্রন্থসমূহে এরূপ একাধিক ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়, যাতে এ জাতীয় বিবাহে মেয়েকে এখতিয়ার দেওয়া হয়েছিল।


عن بُرَيْدَةَ بن الحصيب قال : جَاءَتْ فَتَاةٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَتْ : إِنَّ أَبِي زَوَّجَنِي ابْنَ أَخِيهِ لِيَرْفَعَ بِي خَسِيسَتَهُ .
فَجَعَلَ الْأَمْرَ إِلَيْهَا .
فَقَالَتْ : قَدْ أَجَزْتُ مَا صَنَعَ أَبِي ، وَلَكِنْ أَرَدْتُ أَنْ تَعْلَمَ النِّسَاءُ أَنْ لَيْسَ إِلَى الْآبَاءِ مِنْ الْأَمْرِ شَيْءٌ.
رواه ابن ماجه (1874) ، وصححه البوصيري في مصباح الزجاجة (2/102) ، وكذا قال الشيخ مقبل الوادعي : " صحيح على شرط مسلم " ، انتهى من الصحيح المسند صـ 160

 উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রা. বলেন, একবার এক তরুণী তাঁর কাছে এসে বলল, আমার বাবা আমাকে তার ভাতিজার সাথে বিবাহ দিয়েছে-উদ্দেশ্য আমার দ্বারা তার হীনাবস্থা ঘুচানো-কিন্তু আমার তাতে সম্মতি ছিল না।

উম্মুল মুমিনীন বললেন, তুমি বসো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসুন। অতপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলে তিনি তাঁকে সে ঘটনা অবগত করলেন। তা শুনে তিনি মেয়েটির বাবাকে ডেকে পাঠালেন।

তারপর মেয়েটিকে নিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার দিলেন। মেয়েটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার বাবা যা করেছেন আমি তা অনুমোদন করলাম। আমার উদ্দেশ্য কেবল নারীদেরকে জানানো যে, এ বিষয়ের ক্ষমতা বাবাদের হাতে নয়। (সুনানে নাসায়ী, হাদীস : ৫৩৯০; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ১৮৭৪; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২৫০৮৭)

আরো জানুনঃ- 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ-
"সব মিলিয়ে তার কিছুতেই ওই ছেলের প্রতি এখন মন টানে না,একজন হাজবেন্ড হিসেবে যেমন অনুভূতি কাজ করার কথা সেটা সেই ভাই এর প্রতি আসবে না এবং ওই পরিবারেও। তাছাড়া সেই ছেলের ছোট ভাইয়ের প্রতি তার একটা ফিতনা কাজ করত আগে"

একজন হাজবেন্ড হিসবে যেরকম অনুভুতি কাজ করার কথা, সেরকম অনুভূতি সেই চাচাতো ভাইয়ের প্রতি না আসার ব্যাপারে তার প্রবল আশংকা মনে হয়,
ও সেই পরিবারে গেলে তার ফিতনায় জড়িয়ে পড়ার আশংকা করে,তাহলে পরামর্শ থাকবে এই বিবাহ আর সামনের দিকে আগে না বাড়িয়ে অন্য কোথাও খোজাখুজি করতে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...