আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
123 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।
ক)হযরত কেউ যদি মানত করে যে আল্লাহ যদি  আমার এই রোগ ভালো করে দেয় তাহলে আমি অমুক মসজিদে চাল আর মোরগ দেব।এই ধরনের মানত কি শিরক হবে। আমি শুনেছি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে মানত করা শিরক।এইভাবে আল্লাহ কে রোগ সারানোর মালিক ভেবে কেউ যদি মানত করে মসজিদে কিছু দিতে চায় এটা কি মসজিদের নামে মানত করা বোঝায়?এটা কি শিরক? যদি শিরক না হয় তবে কি এটা পুরন করতে হবে?
খ)আর যদি বলে আমার রোগ সারলে অমুক মসজিদে শুক্রবার দুই রাকাত নামাজ পরব।তাহলে কি অই মসজিদে গিয়েই নামাজ পরতে হবে?

গ)আমার আগের কয়েক বছরের নামাজ কাযা হয়ে গেছে। আমি বলেছি যে আল্লাহ আমার এই সমস্যা না থাকলে আমি কাযা নামায গুলো প্রতি ওয়াক্তের নামাজ অই ওয়াক্তের সময়  সুন্নত সহ আদায় করব।কিন্তু এখন আমি পারছি না। সুন্নত নামাযের কাযা আদায় করা আমার জন্য খুবি কঠিন হয়ে গেছে। এখন পড়াই হচ্ছে না।এর কি কোন  কাফফারা আছে নাকি এটা পুরন করতেই হবে।আমার ওই সমস্যা এখন নেই।

ঘ) হযরত আমি সম্প্রতি একটা সপ্নে দেখলাম যে আমার নানি (যিনি বৃদ্ধ এবং বিধবা) তিনি সন্তান প্রসব করেছেন।জন্মের সময় সন্তানের এক চোখ ছুরিতে লেগে উঠে যায়। প্রথম অবস্থায় মনে হয় দুই জনই মারা যাবে। কিন্তু পরে নানি এবং সন্তান জন্ম ই বেচে যায়। আমি নানিকে জিজ্ঞেস করি তোর সন্তান হলো খবরটা করে? এতে নানি কস্ট পায়। আমার মনে হয় সপ্নের মধ্যে আমার মনোভাব ছিল যে তারা দুই জনই মারা  যাক কিন্তু তারপর ও তাদের বাচানোর চেস্টা করছিলাম। বাচ্চাটা ছেলে না মেয়ে আমি বুঝতে পারিনি এমনকি চেহারাও দেখিনি শুধু নষ্ট চোখটা দেখেছি।আর এই সন্তান প্রসব হয়েছিল একটা পুকুর পারে। তারপর দেখি সেই পুকুরে আমি খুব ছুটাছুটি করছি। সাথে আম্মুও আছেন তিনি রাগ করছেন কিন্তু আমি শুনছি না।  এর পরই ঘুম ভেঙে  যায়।উল্লেখ্য এই সপ্ন দেখার দুই এক দিন আগে আইওএম ওয়েবসাইট থেকে সপ্নের ব্যাখ্যা দেওয়া প্রশ্ন উত্তর গুলো পড়েছিলাম তবে এ নিয়ে বেশি চিন্তা করেছি এমনও নয়।
এর কিছু দিন পর আরেক টা সপ্নে দেখি কার যেন একটা বাচ্চা হয়েছে। সেই বাচ্চাটার বয়স কয়েক বছর হওয়ার পর হারিয়ে যায়।

এসব সপ্নের ব্যাখ্যা কি হতে পারে? খারাপ কিছু নয় তো?আমার খুব  ভয় করছে। হযরত দয়া করে উত্তরটা দিয়েন। এই প্রশ্ন আমি আগেও আইওএম এ করেছি কিন্তু ইমেইল এ এসেছিলো  আপনার প্রশ্নের জবাব প্রস্তুত হচ্ছে কিন্তু এখনো আসল উত্তর আসেনি। প্রশ্ন  করেছিলাম 20 সেপ্টেম্বর।

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আপনার প্রশ্নের জবাব প্রস্তুত হচ্ছে।ইনশাআল্লাহ অচিরেই জবাব পেয়ে যাবেন। ধর্য সহকারে অপেক্ষার জন্য আন্তরিক অভিবাদন। জাযাকুমুল্লাহ।

প্রথমে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে একটু মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন-
ফতোয়া আরবী শব্দ এবং কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামী শরীয়তের একটি মর্যাদাপূর্ণ পরিভাষা। বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে ‘ফতোয়া’ সংক্রান্ত আরো কিছু শব্দের অর্থ জেনে নেওয়া আবশ্যক। যথা : ইস্তিফতা, মুসতাফতী, মুফতী, ইফতা ও দারুল ইফতা। কুরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনী ইলমের মাহির আলিমের নিকট কোনো দ্বীনী বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জিজ্ঞাসা করাকে ‘ইস্তিফতা’ বলে। প্রশ্নকারীকে ‘মুস্তাফতী’ বা ‘সাইল’ বলে। বিশেষজ্ঞ আলিম শরীয়তের দলীলের আলোকে যে বিধান বর্ণনা করেন তাকে ‘ফতোয়া’ বলে। বিধান বর্ণনাকারী আলিমকে মুফতী এবং তার এই কাজ অর্থাৎ প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তের বিধান বর্ণনা করাকে ‘ইফতা’ বলে। যে প্রতিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করে তাকে ‘দারুল ইফতা’ বলে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...