আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (33 points)
edited by

https://ifatwa.info/18726/
লিংকে ১ নং এর ভিওিতে প্রশ্ন
সে সময় যদি মায়ের স্পর্শ এর সময় লিঙ্গ দাড়ায় কিন্তু কারও মনে কোন কামভাব না থাকে তবেও কি হুরমত হয় (অামার ওয়াসওয়াস অাছে, অার যদি এইভাবে হুরমত হয় তাহলে অামার মা- বাবার সম্পর্কে, অামার নিজের বিবাহিত জীবণ কোন কিছুই ১ মাস এর বেশি টিকাতে পারব বলে মনে হয় না।
অামি যখন মনে করি লিঙ্গ দাড়ালে হুরমত হবে তখন দাড়ায় অার
যখন মনে করি লিঙ্গ দাড়ালে হুরমত হবে না তখন দাড়ায় না,
মানে অামি যদি এইটা মাথায় রাখি যে হুরমত হওয়ার জন্য লিঙ্গ দাড়ানো+ কামভাব দুইটি দরকার।
শুধু লিঙ্গ দাড়ালে হুরমত হয় না তখন সুস্থ থাকি। অার অামার মাঝে মাঝে এটা মনে হয় লিঙ্গ না দাড়ালেও মনে কামভাব অাছে কিন্তু সে সময় কোনটা ওয়াসওয়াস কোনটা কামভাব তা বুঝতে পারি না। যখন এটা মাথায় থাকে অামার  যে কামভাব থাকলে লিঙ্গ দারাবেই কিন্তু লিঙ্গ দাড়ানো কামভাব নিদেশ করে না অনেক সময় ওয়াসওয়াস এর ফলেও লিঙ্গ দাড়ায় তখন অামি সুস্থ


হুজুর অনেক বাবা মা তাদের সন্তানদের টাকা দিতে চায় না। সন্তান রা চাপ প্রয়োগ করে টাকা নেয়। যা অামার জানা মতে হারাম।
দেখা যায় বাবা -মা সন্তানদের চাপে টাকা দিলেও মানে সন্তুষ্টি চিওে টাকা না দিলেও, যারা পরকালকে ভয় করে সে বাবা মা চায় না,সন্তানের চাপে পড়ে যে টাকা তারা সন্তানকে দিয়েছে সে টাকা টা সন্তানের জন্য হারাম হোক।
এখন এই অবস্থায় সে টাকা ব্যবহার সন্তানদের জন্য কি হালাল হবে।



হুজুর নাপাক কাপড় ধুয়ে চিপার পর অাবার চিপলে কিছু না কিছু পানি ত বের হবেই। একবারে চিপলে পানি বের হবে না এমন অবস্থা ত করা সম্ভব না।চেষ্টা করি যাতে চিপার পর পানির ফোটা না পড়ে। অার অনেক সময় কোমড় বা পায়ের দিকে ভুলে চিপা কম হয়ে যায়।

অার এইভাবে চিপলে দেখা যায়,  চিপে রেখে দিলে প্রথম ২-৩ মিনিট পানির ফোটা পড়ে না, পড়লেও ৫-৬ ফোটা। কিন্তু ২-৩ মিনিট পর থেকে ত হালকা (কম পরিমাণ) পানির ফোটা পড়া শুরু হয়।অার যতবারই চিপেন মানে ৫ মিনিট পর পর যদি চিপেন তাহলেও ত কিছু না কিছু পানি বের হয়ই (এটা অাটাকনো ত সম্ভব না) । এখন এইভাবে চিপার ফলে কি কাপড় পাক হবে। অার চিপার পর যে ফোটাগুলো বা ৫ মিনিট পর পর চিপলে যে পানি পড়ে সেই ফোটাগুলো ও পানিগুলো কি পাক নাকি নাপাক ধরব।
(চিপার পর এই ফোটা ও পানিগুলো নাপাক হলে ত ভাল সমস্যা হবে)

নাপাক কাপড় চিপার সময় হাতের কনুই বেয়ে পানি পড়ে। অার চিপার সময় ত কাপড়ও হাতে লাগে, কনুই তে লাগে।সব কাপড় ধোয়ার সময় ই এই অবস্থায় হয় কিন্তু টাউজার বা জিন্স ইত্যাদি ভারি কাপড় চিপার সময় এই সমস্যা বেশি হয়। চিপা অাটকিয়ে দিয়ে হাত ধোয়া ত অার সম্ভব না। অার কাপড়  ২য়,৩য় বার  কাচার সময় ও ত কনুই বা কবজিতে লেগে থাকা পানি ও কনুই হাত এর পানির ছিটা ও ফোটা কাপড়ে স্পর্শ  হয়। ( প্রতিবার চিপার পর হাত কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নিলে এই কনুই এর পানির ছিটা সমস্যা একটু হলেও কমবে কিন্তু তাও কিছু ফোটা কাপড়ে লাগবেই, এটা অাটকানো অসম্ভব। কিন্তু বার বার কি অবশ্যই ধুতে হবে নাকি না ধুলেও চলে কারণ এত নিয়ম মেনে কাপড় ধোয়া মানসিক ভাবে কষ্টকর)
 এগুলো অাটকানো সমস্যার ও খুব কঠিন । এগুলো কি প্রয়োজনের জন্য মাফ হবে।
এখন এই যে চিপার সময় এই অবস্থা হয়।এর ফলে কি অামার কাপড় পাক হয়।
এই লিংকটি দেখে ৪ নাম্বার এর উওর দিয়েন প্লিজ,অামার অার উনার প্রশ্ন একই কিন্তু হুজুর যেভাবে বলেছেব সেভাবে ত কাপড় পাক করা প্রায় অসম্ভব।
https://ifatwa.info/52954/( অামার বাসায় প্রবাহিত পানির নিচে কাপড় ধোয়া সম্ভব না)

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছে 

أخبرنا إسماعیل بن عیاض، حدثنا سعید بن أبی عروبة، من قیس بن سعید، عن مجاهد في الرجل یفجر بالمرأة قال: إذا نظر إلی فرجها فلا یحله له أمها ولا بنتها، أخرجه محمد في الحجج أیضًا ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۲

যার সারমর্ম হলো যদি কেহ কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করে,তাহলে সেই মহিলার মেয়ে বা তার মাকে সে কোনোদিন বিবাহ করতে পারবেনা।

ই'লাউস সুনান ১১/১৩১

أخبرنا أبوحنیفة، عن حماد، عن إبراهیم، قال: إذا قبل الرجل أم أمرأته أو لمسها من شهوةٍ حرمت علیه امرأته، أخرجه محمد في الحجج ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۱)

যার সারমর্ম হলো কেহ যদি তার শাশুড়িকে চুম্বন করে,অথবা উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করে,তাহলে স্ত্রী তার উপর চিরজীবনের জন্য হারাম হয়ে যাবে।      

وفى الدر المختار- والعبرة للشهوة عند المس والنظر لا بعدهما
وفى رد المحتار- ( قوله : والعبرة إلخ ) قال في الفتح : وقوله : بشهوة في موضع الحال ، فيفيد اشتراط الشهوة حال المس ، فلو مس بغير شهوة ، ثم اشتهى عن ذلك المس لا تحرم عليه (رد المحتار-كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/108)

যার সারমর্ম হলো স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়, তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না। 

হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে।

শর্তগুলো হল,
১–

সরাসরি খালি গায়ে বা এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। যদি এমন মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভূত না হয়, তাহলে নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।

فى الدر المختار- أو لمس ) ولو بحائل لا يمنع الحرارة
وقال ابن عبدين– ( قوله : بحائل لا يمنع الحرارة ) أي ولو بحائل إلخ ، فلو كان مانعا لا تثبت الحرمة ، كذا في أكثر الكتب (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-3/107-108)

যার সারমর্ম হলো যদি কাপড় পরিধান অবস্থায় হয় তাহলে যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। 
তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবে।   

( যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে,যেটা শরীরের গরমি ভাব অনুভব হয়,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবে। ) 

অন্যথায় হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।     

২–

স্পর্শ করলে পুরুষ মহিলা যেকোন একজনের উত্তেজনা অনুভুত হওয়া।

পুরুষের উত্তেজনা অনুভূত হওয়ার লক্ষণ হল গোপনাঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।

وفى رد المحتار- قوله (بشهوة) اي ولو من احدهما،
وفى الدر المختار- وحدها فيهما تحرك آلته أو زيادته به يفتى
وفي امرأة ونحو شيخ كبير تحرك قلبه أو زيادته (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/107-109)  
সারমর্মঃ
উত্তেজিত হওয়ার সীমা হলো লিঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।
মহিলাদের ক্ষেত্রে কলব তথা অন্তর কেঁপে উঠা, আগে থেকেই কেঁপে উঠে থাকলে স্পর্শ করার পর কাঁপা বেড়ে যাওয়া। 

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নের বিবরণ মতে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানিত হবেনা।

(০২)
এই অবস্থায় সে টাকা ব্যবহার সন্তানদের জন্য হালাল হবে।

(০৩)
আপনি যথাসাধ্য ভালো করে চিপে নিবেন।
চিপে রেখে দিলে আবারো কিছু পানি বের হলে সেটি সমস্যা নয়।
কেননা এমনটি হবেই।

আপনি ৩ বার কাপড় ধুয়ে প্রত্যেকবার ভালোকরে চিপে নিবেন,শেষ বার যথাসাধ্য ভালো করে চিপে নেয়ার পর সেই কাপড় পাক হয়ে যাবে।

এক্ষেত্রে ৩য় বার চিপে নেয়ার পর উক্ত কাপড় থেকে কোনো ফোটা বের হলে সেটি নাপাক নয়।

(০৪)
এ ক্ষেত্রে কনুই বেয়ে আসা পানি নাপাক।
এই পানি অন্য কোথাও লাগলে সেটিও নাপাক হয়ে যাবে।

তবে উক্ত নাপাক কাপড় পরবর্তী বার ধরার ক্ষেত্রে এই কনুই বেয়ে আসা পানির দরুন সমস্যা হবেনা।
জরুরতের ভিত্তিতে এটি যেই কাপড় ধোয়া হচ্ছে,সেই কাপড়ের ক্ষেত্রে সমস্যাকর হবেনা।

তিন বার কাপড় ধোয়ার পর কাপড় নিংড়িয়ে হাত ধুয়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 210 views
...