বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)কোন পুরুষ বা ছেলে নামাজ আদায় করার সময় জুদি তার পাশ দিয়ে কোন মহিলা বা মেয়ে যাতায়াত করে বা তার পাশে ঘুমায় অথবা যদি ইবাদত আর আমল ছাড়া কোন দুনিয়াবি কাজ করে যেমন খাওয়া দাওয়া করা,বিছানা গোছান বা কারও সাথে ফোন এ কথা বলা ইত্যাদি করে,তাহলে সেই পুরুষ বা ছেলে এর নামাজ ফাসিদ হবে না।
হানাফি মাযহাব মতে মুহাযাত (তথা নামাযের পুরুষের পাশে মহিলা হয়ে যাওয়া) এর জন্য নয়টি শর্ত রয়েছে।এর মধ্যে একটি শর্ত হল,
هـ - كَوْنُ الْمُحَاذَاةِ فِي صَلاَةٍ مُشْتَرَكَةٍ مِنْ حَيْثُ التَّحْرِيمَةُ وَذَلِكَ بِاقْتِدَاءِ الْمُصَلِّي وَالْمَرْأَةِ بِإِمَامٍ أَوِ اقْتِدَائِهَا بِهِ.
একই তাহরিমা দ্বারা নারী পুরুষ একই নামাযে লিপ্ত থাকতে হবে।(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাহ-৩৬/১৭৪)
২। একই ভাবে কোন মহিলা বা মেয়ে নামাজ আদায় করার সময় যদি তার পাশ দিয়ে কোন পুরুষ যাতায়াত করে বা তার পাশে ঘুমায় অথবা যদি ইবাদত আর আমল ছাড়া কোন দুনিয়াবি কাজ করে যেমন খাওয়া দাওয়া করা , বিছানা গোছান বা কারও সাথে ফোন এ কথা বলা ইত্যাদি করে তাহলে সেই মহিলা বা মেয়ে এর নামাজ হবে ফাসিদ হবে না।
৩। নামাজে যদি সুরা পাঠ করার সময় সুরার একটা অংশ পুনরাবৃত্তি যদি করা হয় যেমন সুরা ফালাক এর পাঠ করার সময় " কূল " পাঠ করার পর নিশ্বাস নিয়ে আবার " কূল আউযুবিরব্বিল ফালাক " এভাবে বাকি পুরাটা পাঠ করলে এরকম অবস্থায় নামাজ হবে। বিনা প্রয়োজনে আয়াতের কোনো অংশকে বারংবার না দোহড়ানো উচিৎ।