আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
208 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি একজন শাইখ থেকে শুনেছি বিচারকের ইনকাম হারাম। কিন্তু কেন ইনকাম হারাম তা কি বিস্তারিত ভাবে জানতে পারি? কারণ আমার জন্য জানাটা খুব দরকার। দুঃখজনকভাবেই আমার বোনের হাজবেন্ড জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। আমি এটাও জানতে চাই ওনার ইনকাম যদি পুরোপুরি ই হারাম হয়। ওনাদের বাসায় খাওয়া দাওয়া করা, হাদিয়া নেওয়া  কি যাবে না একদম? একদিকে রক্তের সম্পর্ক রক্ষা আরেকদিকে হারাম থেকে বেঁচে চলা ২ টাই খুব টেনশান এ ফেলে দিছে। আমি যদি মুখের উপর বলি তোমাদের বাসায় খাবো না তাহলে তো সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে। আমাকে প্লিজ ব্যাপারটা ক্লিয়ার করুন।
আল্লাহ আপনাদের উত্তম জাযা দিন।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো বিচারকের বেতন হালাল,এতে কোনো সমস্যা নেই। 
,
তবে সাধারণত অনেক বিচারক ঘুষ খেয়ে থাকে,তাই সেই ঘুষের টাকা হারাম,কিন্তু সরকার প্রদত্ত বেতন হালাল।      

আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাযি. থেকে বর্ণিত, 
তিনি বলেন, لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ الرَّاشِي وَالْمُرْتَشِي 
রাসূলুল্লাহ ﷺ ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতাকে লানত করেছেন। 
(আবুদাউদ ৩৫৮০, আহমাদ ৬৭৯১)
,

হারাম টাকা উপার্জনকারীর দাওয়াত গ্রহন করার ক্ষেত্রে কয়েকটি কথা জেনে রাখা জরুরী।যথা-

হারাম উপার্জনকারীর পূর্ণ রোজগারই হারাম। আর লোকটি তার হারাম টাকা দিয়েই দাওয়াত খাওয়াচ্ছে।

লোকটির উপার্জন হালাল ও হারামের মাঝে সংমিশ্রিত। এ দুটি উপার্জিত অর্থ এমনভাবে সংমিশ্রিত যে, একটি অন্যটি থেকে পৃথক নয়।
তবে এর মাঝে হারাম উপার্জন বেশি। আর লোকটি মিশ্রিত সে সম্পদ দিয়েই দাওয়াত খাওয়াচ্ছে।

লোকটির হালাল উপার্জনও আছে, আবার হারাম উপার্জনও আছে। এ দুটি উপার্জিত অর্থ এমনভাবে সংমিশ্রিত যে, একটি অন্যটি থেকে পৃথক নয়। তবে তার হারাম উপার্জন কম। হালাল উপার্জন বেশি। আর লোকটি এ মিশ্রিত সম্পদ দিয়ে দাওয়াত খাওয়াচ্ছে।

হারাম উপার্জনকারী হারাম উপার্জন দিয়ে দাক্যাত খাওয়াচ্ছেনা। বরং কারো থেকে হালাল টাকা ধার করে বা কারো কাছ থেকে অর্থ নিয়ে বা তাদের হালাল উপার্জন থেকে দাওয়াত খাওয়াচ্ছে।

প্রথমোক্ত দুই সূরতে উক্ত ব্যক্তির দাওয়াত গ্রহন করা জায়েজ নয়। আর তৃতীয় সুরতে উক্ত ব্যক্তির দাওয়াত গ্রহণ জায়েজ হলেও, না নেয়া উত্তম।
আর চতুর্থ সুরতে উক্ত ব্যক্তির দাওয়াত গ্রহণ জায়েজ আছে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ব্যাক্তি (জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) যদি ঘুষ না খায়,তাহলে তো কোনো সমস্যাই নেই।

তবে তিনি যদি ঘুষ খান,তাহলে তার ঘুষের টাকা ব্যাতিত বেতনের টাকা বা করজ কৃত টাকা থেকে দাওয়াত খাওয়ালে সেই দাওয়াত খেতে কোনো সমস্যা নেই।       
,
আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...