আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
(১) কোন মেয়ে একজনের সাথে প্রেম ছিল সে অবস্থায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় যে তাকে কোন ছেলে প্রশ্ন করছে সে সিঙেল কি না সে উত্তর দিছে না। এটা সে মজা করে দিছিলো না কি ভেবে দিছিলো তা তার মনে নেই। যতদূর মনে পড়ে মিথ্যা স্ট্যাটাস দিছিলো যে তার কাছে কোন ছেলে এমনটা প্রশ্ন করছে। এমন স্ট্যাটাস ফেসবুকে দিয়েছিল সেখানে যার সাথে প্রেম করতো তার কোন কমেন্ট বা লাইক নাই সে জানে কি না তাও জানি না। যদি সেই ছেলের লাইক থাকে পোস্ট এ এবং সে জানলেও কি কিছু হবে?। এখন ঐ মেয়ের অন্য ছেলের সাথে বিয়ে হইছে এতে কি কিছু হবে? তার বৈবাহিক জীবন তো শুদ্ধ তাই না? শায়েখ


(১) জানার জন্য প্রশ্ন কেউ যদি প্রেমিকের সাথে পালায় যেতে চায় কিন্তু শেষ পর্যন্ত না পালায়। কিন্তু পালাবো বা চলো না পালায় যাই এসব বললে প্রেমিক যদি বলে আচ্ছা,ওকে চলো পালায় যাই, সবার সাথে শেষবার দেখা করে আসো তখন প্রেমিকা বলে ওকে বা আচ্ছা ( সবার সাথে শেষবার দেখা করে আসো এটা বলে নাই। এখন মনে হচ্ছে এটা ওয়াসওয়াসা। তারপরও এই কথার উত্তর দিবেন প্লিজ)।  ইজাব কবুলের শব্দ?  এতে কি ইজাব কবুল হয়?  কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা পালায় নাই। (এমন কথা বলা হইছিল কি না শিওর না। ওয়াসওয়াসা মনে হয়। তবে মেয়েটা জামা কাপড় ব্যাগে করে নিয়ে গেছিল ছেলেটা সামসামনি বলছিল সে কখনোই পালিয়ে বিয়ে করবে না। তার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব না। এটা শিওর।)
(2) পালিয়ে বিয়ে করবো আচ্ছা বা ওকে বললো কিছু হবে? ( এটা ওয়াসওয়াসা মনে হচ্ছে। কারণ ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলে বিয়ে করবো শব্দটা উচ্চারণ করা হয় নাই মনে হচ্ছে।।)

(3) প্রেমিক যদি বলে অমুককে বিয়েতে সাক্ষী রাখবো। কিন্তু সেই লোকগুলো জানতো না এই কথা। প্রেমিক তাদের বলে নাই সাক্ষী হওয়ার কথা। কিন্তু ঐ লোক গুলোর সামনে প্রেমিকা যদি বলে আপনাদের বিয়েতে সাক্ষী রাখতে চাইছিল এবং প্রেমিক যদি চুপ থাকে বা হ্যা বলে বা ঐ সাক্ষী রা হ্যা বলে বা চুপ থাকে এতে কি ইজাব কবুল বা বিয়ে সাদী হয়? বিয়ে করলাম কবুল এমন কিছু বলা হয় নাই।   ( প্রথমে এমন কিছু হইছিল কিনা মনে হচ্ছিল। কিন্তু এখন পুরোপুরি শিওর  এমন কোন কিছু হয় নাই।  পুরোটাই ওয়াসওয়াসা। এমন কিছুই হয় নাই। তারপরও প্রশ্ন টা করলাম দয়া করে উত্তর দিবেন এখন আমার অন্য ছেলের সাথে বিয়ে হইছে। এমন প্রশ্ন যা ওয়াসওয়াসা এবং পরে শিওর হয় যে এমন কিছু হয় নাই। এগুলো প্রশ্নের  দ্বারা কি আমার বৈবাহিক জীবনে কোন সম্যসা হবে?)

(৩) বাড়ির পাশের একটা মেয়েকে তার প্রেমিক নাকি বৌ পরিচয় দিয়ে অনেক জায়গায় ঘুরতে নিয়ে গেছে। মা এই নিয়ে একজন কে বলতেছিল গীবত হচ্ছিল। আমি আম্মু বলতে চাচ্ছিলাম তুমিও তো এমন জায়গায় (মেয়েটার বাপ মায়ের) থাকতে পারতা। এমন কথা বললে কি কিছুহবে? ঐ মেয়েটার সাথে যাই হইছে তা তো আমার সাথে হয় নাই এমন কথা বলার দ্বারা আমার বৈবাহিক জীবনে কোন সম্যসা হবে?

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। 

প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার শরয়ী এ শর্তাবলী পাওয়া যায়নি।
উক্ত ফেসবুকের স্ট্যাটাস, কমেন্ট, ইত্যাদি কারনে কোনো সমস্যা হবেনা।
যদি সেই ছেলের কোনো লাইক বা কমেন্ট সে পোস্টে থাকে,তবুও কোনো সমস্যা হবেনা।

এখন যে ঐ মেয়ের অন্য ছেলের সাথে বিবাহ হয়েছে এতে কোনো সমস্যা হবেনা।  তার বৈবাহিক জীবন শুদ্ধ।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...