আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
112 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
১.আমি মনে মনে বিভিন্ন চিন্তা করার সময় আমার মনে হয় যে, কুরআনের অনেক আয়াত অস্পষ্ট। আমার এ রকম মনে হওয়ার কারনে বা মনে করার কারনে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

২.আমার স্ত্রীর সাথে রাগারাগি  হওয়ার   সময় আমার স্ত্রী কি যেন একটা কথা বলে। তখন আমি আমার স্ত্রীকে বলি যে ইস্তিগফার পড়। তখন আমার উপর রাগের কারনে  আমার স্ত্রী   বলে যে,  ইস্তিগফার মারাছি (আস্তাগফিরুল্লাহ)। আমার স্ত্রীর এভাবে বলার কারনে কি তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  তার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

৩.আমি আগে বদনজর কুসংস্কার মনে করতাম (আস্তাগফিরুল্লাহ)। কিন্তু বদনজর সত্য জানার পর তা বিশ্বাস করি। কিন্তু তখন আমি ইস্তিগফার পরেছিলাম নাকি আমার মনে নেই কারন বদনজর কুসংস্কার ভাবতাম।    অনেক দিন পর আমার মনে হয় যে বদনজর সত্য জানার পর     আমি  ইস্তিগফার    পড়ি নি। আমার এতদিন ইস্তিগফার না পড়ার কারনে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

৪.আমি ও আমার স্ত্রী বাচ্চাদের নাম দেখতেছিলাম। তখন আমাদের মুসআব নাম পছন্দ হয়। আমরা মুসআব নামের অর্থ দেখি। মুসআব অর্থ কঠোর কঠিন জটিল। এজন্য আমরা  বলি যে এই নাম রাখব না। আমাদের এইভাবে বলার কারনে সাহাবির নামের প্রতি কি অসন্মান করা হয়েছে?  এর কারনে কি আমাদের ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  আমাদের বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

৫. হজরত  আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু   আনহু  হতে বর্নিত   আছে, যে সূরা   কাহাফের    প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করে     সে দাজ্জালের ফিৎনা হতে নিরাপদ থাকবে। হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু    থেকে আরেকটি রেওয়াতে      শেষ ১০ আয়তের ব্যাপারে উল্লিখিত ফজিলত বর্নিত  রয়েছে।
তো আমি সুরা কাহাফের প্রথম ১০আয়াত পড়ি  । আমি মনে মনে ভাবি যে এক রেওয়াতে আসছে প্রথম ১০আয়াত আরেক রেওয়াতে আসছে শেষের ১০আয়াত।যদি আমি একসাথে   প্রথম ১০আয়াত এবং শেষের ১০আয়াত একসাথে পড়ি তাহলে সমস্যা হবে না কি এভাবে পড়া যাবে নাকি।কারন মাঝখানের আয়াত তো পরছিনা।   এজন্য আমি শুধু প্রথম ১০আয়াত পড়ি। এভাবে আমার মনে হওয়ার কারনে বা মনে মনে ভাবার কারনে হাদিস অবমাননা হয়েছে কি? এর কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৬.নামাজে প্রথম রাকাতে যদি রাফায়েল ইদাইন করতে মনে না থাকে কিন্তু পরবর্তীতে যখন মনে মনে হয় তখন রাফায়েল ইদাইন করি। তাহলে এভাবে প্রথম রাকাতে রাফায়েল ইদাইন না করে পরে রাফায়েল ইদাইন করার  কারনে  কি সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে?  আর সাহু সিজদা না দিলে কি নামাজ হবে?  অনেক সময় আমার নামাজের মধ্যে রাফায়েল ইদাইন করার কথা মনে হয় কিন্তু ইচ্ছা করে করিনা। ইচ্ছা করে না করার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?                        
৭.আমি একজনকে প্রেগন্যান্ট হওয়ার কারনে তাকে বলি যে তোমার   ভারী চাড়া হবে না। তখন সে বলে কিছু হবে না আল্লাহই রক্ষা করবে। সে এই জাতীয় কিছু একটা কথা বলে। তখন আমি বলি যে সতর্ক তো থাকতে হবে। আমার এভাবে বলার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?  তার এভাবে বলার কারনে কোন সমস্যা হবে?

৮. আমি ঈমান ভংগের কারন জানার পর      বিভিন্ন খেলোয়াড়কে ফেসবুকে আনফলো করছিলাম। তখন যাকে আনফলো করছিলাম তাকে sorry বলছিলাম। যেমন sorry মেসি, sorry রোনালদো এভাবে sorry বলার কারনে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

৯.আমি বিভিন্ন বিষয় মনে মনে চিন্তা করার সময় আমি বলি যে হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তখন আমি মনে মনে ভাবি যে এই কথা বলার দারা কোন সমস্যা হল নাকি এজন্য আমি ইস্তিগফার পড়ি। ইস্তিগফার পড়ার পর আমার মনে হয় যে আমি ইস্তিগফার কেন পরলাম। ইস্তিগফার পড়া মনে হয় ভুল হল। এজন্য আমি ইস্তিগফার যে পরলাম এইজন্য ইস্তিগফার পড়ি। এভাবে আমার ইস্তিগফার পড়ার কারনে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

+1 vote
by (559,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
কুরআনের একটি আয়াতকে অস্বীকার করলে,আল্লাহর আকাট্য ভাবে প্রমানীত  যেকোনো ফরজ বিধান অস্বীকার করলে ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবে।
,
সুরা আল-বাকারাহ : ২/৩৯ ,২/৪১
وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِـَٔايٰتِنَآ أُولٰٓئِكَ أَصْحٰبُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خٰلِدُونَ
আর যে লোক তা অস্বীকার করবে এবং আমার আয়াতগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে, তারাই হবে জাহান্নামবাসী ; অন্তকাল সেখানে থাকবে।

وَءَامِنُوا بِمَآ أَنزَلْتُ مُصَدِّقًا لِّمَا مَعَكُمْ وَلَا تَكُونُوٓا أَوَّلَ كَافِرٍۭ بِهِۦ ۖ وَلَا تَشْتَرُوا بِـَٔايٰتِى ثَمَنًا قَلِيلًا وَإِيّٰىَ فَاتَّقُونِ
আর তোমরা সে গ্রন্থের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, যা আমি অবতীর্ণ করেছি সত্যবক্তা হিসেবে তোমাদের কাছে। বস্তুতঃ তোমরা তার প্রাথমিক অস্বীকারকারী হয়ো না আর আমার আয়াতের অল্প মূল্য দিও না। এবং আমার (আযাব) থেকে বাঁচ ।

সূরা আন-নিসা : ৪/৫৬, ৪/১৪০
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بِـَٔايٰتِنَا سَوْفَ نُصْلِيهِمْ نَارًا كُلَّمَا نَضِجَتْ جُلُودُهُم بَدَّلْنٰهُمْ جُلُودًا غَيْرَهَا لِيَذُوقُوا الْعَذَابَ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَزِيزًا حَكِيمًا
এতে সন্দেহ নেই যে, আমার আয়াত সমুহের প্রতি যেসব লোক অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে, আমি তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আবার আমি তা পালটে দেব অন্য চামড়া দিয়ে, যাতে তারা আযাব আস্বাদন করতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, হেকমতের অধিকারী ।

الَّذِينَ يَتَرَبَّصُونَ بِكُمْ فَإِن كَانَ لَكُمْ فَتْحٌ مِّنَ اللَّهِ قَالُوٓا أَلَمْ نَكُن مَّعَكُمْ وَإِن كَانَ لِلْكٰفِرِينَ نَصِيبٌ قَالُوٓا أَلَمْ نَسْتَحْوِذْ عَلَيْكُمْ وَنَمْنَعْكُم مِّنَ الْمُؤْمِنِينَ ۚ فَاللَّهُ يَحْكُمُ بَيْنَكُمْ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ ۗ وَلَن يَجْعَلَ اللَّهُ لِلْكٰفِرِينَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ سَبِيلًا
আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফিক ও কাফিরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন ।

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
আপনার বিবাহের কোনো সমস্যা হবেনা।
তবে বিষয়টি আপনার জ্ঞানের কমতির কারনে হয়েছে।
আপনি কুরআনের তাফসীরের উপর গভীর জ্ঞান অর্জন করুন।

আর উপরোক্ত কথা বলার দরুন তওবা করন।

(০২)
আপনার স্ত্রীর এভাবে বলার কারনে তার ঈমানের সমস্যা হবেনা।  তার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।

(০৩)
না,এতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
আপনার বিবাহের কোনো সমস্যা হবেনা।

তবে আপনি ইস্তেগফার পাঠ না করে থাকলে পাঠ করে নিবেন।

(০৪)
এইভাবে বলার কারনে সাহাবির নামের প্রতি কি অসম্মান করা হয়নি।  এর কারনে আপনাদের ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।  আপনাদের বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।

(০৫)
এভাবে আপনার মনে হওয়ার কারনে বা মনে মনে ভাবার কারনে হাদিস অবমাননা হয়নি।

এর কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা। 

(০৬)
আপনার নামাজ হয়ে যাবে,সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা। 
এতে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা। 

(০৭)
এভাবে বলার কারনে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
আপনার বিবাহের কোনো সমস্যা হবেনা।
তবে তাকে এভাবে বলা উচিত হয়নি।

(০৮)
এভাবে sorry বলার কারনে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
আপনার বিবাহের কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৯)
এভাবে আপনার ইস্তিগফার পড়ার কারনে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
আপনার বিবাহের কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 134 views
0 votes
1 answer 114 views
0 votes
1 answer 140 views
0 votes
1 answer 139 views
0 votes
1 answer 168 views
asked Jan 2, 2023 in সালাত(Prayer) by Bakar (27 points)
0 votes
1 answer 108 views
...