ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
কুরআনের একটি আয়াতকে অস্বীকার করলে,আল্লাহর আকাট্য ভাবে প্রমানীত যেকোনো ফরজ বিধান অস্বীকার করলে ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবে।
,
সুরা আল-বাকারাহ : ২/৩৯ ,২/৪১
وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِـَٔايٰتِنَآ أُولٰٓئِكَ أَصْحٰبُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خٰلِدُونَ
আর যে লোক তা অস্বীকার করবে এবং আমার আয়াতগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে, তারাই হবে জাহান্নামবাসী ; অন্তকাল সেখানে থাকবে।
وَءَامِنُوا بِمَآ أَنزَلْتُ مُصَدِّقًا لِّمَا مَعَكُمْ وَلَا تَكُونُوٓا أَوَّلَ كَافِرٍۭ بِهِۦ ۖ وَلَا تَشْتَرُوا بِـَٔايٰتِى ثَمَنًا قَلِيلًا وَإِيّٰىَ فَاتَّقُونِ
আর তোমরা সে গ্রন্থের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, যা আমি অবতীর্ণ করেছি সত্যবক্তা হিসেবে তোমাদের কাছে। বস্তুতঃ তোমরা তার প্রাথমিক অস্বীকারকারী হয়ো না আর আমার আয়াতের অল্প মূল্য দিও না। এবং আমার (আযাব) থেকে বাঁচ ।
সূরা আন-নিসা : ৪/৫৬, ৪/১৪০
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بِـَٔايٰتِنَا سَوْفَ نُصْلِيهِمْ نَارًا كُلَّمَا نَضِجَتْ جُلُودُهُم بَدَّلْنٰهُمْ جُلُودًا غَيْرَهَا لِيَذُوقُوا الْعَذَابَ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَزِيزًا حَكِيمًا
এতে সন্দেহ নেই যে, আমার আয়াত সমুহের প্রতি যেসব লোক অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে, আমি তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আবার আমি তা পালটে দেব অন্য চামড়া দিয়ে, যাতে তারা আযাব আস্বাদন করতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, হেকমতের অধিকারী ।
الَّذِينَ يَتَرَبَّصُونَ بِكُمْ فَإِن كَانَ لَكُمْ فَتْحٌ مِّنَ اللَّهِ قَالُوٓا أَلَمْ نَكُن مَّعَكُمْ وَإِن كَانَ لِلْكٰفِرِينَ نَصِيبٌ قَالُوٓا أَلَمْ نَسْتَحْوِذْ عَلَيْكُمْ وَنَمْنَعْكُم مِّنَ الْمُؤْمِنِينَ ۚ فَاللَّهُ يَحْكُمُ بَيْنَكُمْ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ ۗ وَلَن يَجْعَلَ اللَّهُ لِلْكٰفِرِينَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ سَبِيلًا
আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফিক ও কাফিরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন ।
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
আপনার বিবাহের কোনো সমস্যা হবেনা।
তবে বিষয়টি আপনার জ্ঞানের কমতির কারনে হয়েছে।
আপনি কুরআনের তাফসীরের উপর গভীর জ্ঞান অর্জন করুন।
আর উপরোক্ত কথা বলার দরুন তওবা করন।
(০২)
আপনার স্ত্রীর এভাবে বলার কারনে তার ঈমানের সমস্যা হবেনা। তার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।
(০৩)
না,এতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
আপনার বিবাহের কোনো সমস্যা হবেনা।
তবে আপনি ইস্তেগফার পাঠ না করে থাকলে পাঠ করে নিবেন।
(০৪)
এইভাবে বলার কারনে সাহাবির নামের প্রতি কি অসম্মান করা হয়নি। এর কারনে আপনাদের ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা। আপনাদের বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।
(০৫)
এভাবে আপনার মনে হওয়ার কারনে বা মনে মনে ভাবার কারনে হাদিস অবমাননা হয়নি।
এর কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।
(০৬)
আপনার নামাজ হয়ে যাবে,সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।
এতে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।
(০৭)
এভাবে বলার কারনে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
আপনার বিবাহের কোনো সমস্যা হবেনা।
তবে তাকে এভাবে বলা উচিত হয়নি।
(০৮)
এভাবে sorry বলার কারনে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
আপনার বিবাহের কোনো সমস্যা হবেনা।
(০৯)
এভাবে আপনার ইস্তিগফার পড়ার কারনে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
আপনার বিবাহের কোনো সমস্যা হবেনা।