আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
118 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।

https://ifatwa.info/58333/

শায়েখ আমি মায়ের এই হালাল-হারামের মিশ্রিত টাকা দিয়ে যদি এখন তাবলীগ জামায়াতে যাই।অথবা এই হালাল হারাম টাকা দিয়ে কুরআন-হাদিসের কিতাব কিনি।এবং পরে যখন আমি ইনকাম করব তখন এই টাকা দান করে দেব।তাহলে কি তা আমার জন্য জায়েজ হবে??

[২/পূর্বের প্রশ্ন যা আমি করেছিলাম,,

আমি জেনারেল লাইনে পড়ি।শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাকে অনলাইনে ক্লাস করতে হচ্ছে।তবে অনলাইন ক্লাসে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক,নারীদের শিক্ষাদান ইত্যাদি বিষয় আছে।এখন আমি যদি এই নিয়তে এই ক্লাস করি যে ভবিষ্যতে এই জ্ঞান অর্জন আল্লাহর দ্বীনের কাজে ব্যয় করব এবং পরিপূর্ণ দ্বীন মেনে চলার চেষ্টা করব তবে কি আমার জন্য জায়েজ হবে।উল্লেখ্য আমি এই বিষয়ে বাধ্য এক তো মা-বাবার টাকা খরচ করেছি।অন্যদিকে অনলাইন ক্লাস না করলে রেজাল্ট ভালো যদি না হয়।]

https://ifatwa.info/50191/
Ifatwa কর্তৃক প্রদত্ত উত্তর:জ্বী,  মনে মনে ইস্তেগফার রেখে আপনি করতে পারবেন]

শায়েখ ifatwa ইস্তেগফার এর সাথে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল।এখন আমার মনে কিছু কথার উদয় হচ্ছে যেমন এখন যদি আমি তাবলীগে যাই তাহলে তো আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকযুক্ত ক্লাসগুলো করতে পারব না কুরআন শিখলে তো আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক,নারী শিক্ষিকা যারা গায়ে ওড়না পর্যন্ত পরে না এদের ক্লাস তো করতে পারব না।থাক, এখন না পরে কুরআন শিখব।এই ধরনের কথার উদয় হচ্ছে।

এখন আমার কি করা উচিৎ।আর মাত্র সাতটা মাস ক্লাসগুলো করা শেষ হয়ে গেলে তবে কুরআন শিখব তাবলীগ জামায়াতে যাব।নাকি এখনই তাবলীগ জামায়াতে গিয়ে কুরআন শিখে নিব এবং উল্লেখিত ক্লাসগুলোও এস্তেরগফার এর সাথে করে যাব]

৩/অনেক আলেম তাবলীগ জামাতের বিরোধিতা করে থাকেন কারণ তাদের মধ্যে নাকি কিছু ভুল ত্রুটি আছে এবং তারা নাকি কিছুই জানে না।যেমন ৪০ দিনের চিল্লা,ইত্যাদি..... ইত্যাদি.

এখন আমি যদি তাবলীগ জামায়াতে যাই তাহলে তাদের মধ্যে থাকা বিদআতগুলো আমার মধ্যেও যদি চলে আসে।কারণ বিদআত সম্পর্কে আমার স্বচ্ছ ধারণা নেই।নিরাপদে থাকা উত্তম নাকি তাবলীগ জামায়াতে থাকাটা উত্তম হবে??

1 Answer

+1 vote
by (681,640 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হ্যাঁ, তাহলে তা আপনার জন্য জায়েজ হবে।

(০২)
এখনই আপনি তাবলীগ জামায়াতে গিয়ে বা অন্য কোনোভাবে কুরআন শিখে নিবেন এবং উল্লেখিত ক্লাসগুলোও এস্তেগফার এর সাথে করে যাবেন।

(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن البراء « أن النبي صلى الله عليه وسلم بعث خالد بن الوليد إلى أهل اليمن يدعوهم إلى الإسلام ، قال البراء : فكنت فيمن خرج مع خالد بن الوليد فأقمنا ستة أشهر ندعوهم إلى الإسلام فلم يجيبوه ، ثم إن النبي صلى الله عليه وسلم بعث علي بن أبي طالب رضي الله عنه فأمره أن يقفل خالدا إلى رجل كان ممن يمم مع خالد ، ومن أحب أن يعقب مع علي فليعقب معه ، قال البراء فكنت فيمن عقب مع علي ، فلما دنونا من القوم خرجوا لنا فصلى بنا علي ثم صفنا صفا واحدا ، ثم تقدم بين أيدينا وقرأ عليهم كتاب رسول الله صلى الله عليه وسلم ، فأسلمت همدان جمعا ، فكتب علي إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم بإسلامهم ، فلما قرأ رسول الله صلى الله عليه وسلم الكتاب خر  ساجدا ، ثم رفع رأسه فقال : » السلام على همدان ، السلام على همدان « أخرجه البخاري في الصحيح مختصرا من وجه آخر عن إبراهيم بن يوسف

অর্থঃ হযরত বারা রাঃ বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইয়ামান প্রদেশে তাবলীগের উদ্দেশ্যে হযরত খালীদ ইবেন ওয়ালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে পাঠান। আমিও তাঁদের সাথে ছিলাম। আমরা দীর্ঘ ৬মাস যাবত সেখানে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ অনবরত করে চলেছিলাম, কিন্তু তাদের কেউ তখনো আমাদের দাওয়াত কবুল করছিলো না। অতপর হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহুকে রাসূল আমীরের দায়িত্ব দিয়ে খালীদ রাযিয়াল্লাহু কে ফিরে যেতে বলেন এবং তাঁর সাথে যারা ফিরতে চায় তারা ফিরতে পারবে আর যারা থেকে যেতে চায় তারা থাকতে পারে। আমি হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহুর সাথে আরো সময় বাড়িয়ে নিলাম।

অতপর, আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু আমাদেরকে নিয়ে নামাজ আদায় করলেন। পরে আমরা কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়ালাম, এরপরে তিনি আমাদের মাঝে এগিয়ে এসে রাসূলুল্লাহর দাওয়াতনামা পড়ে শুনালেন। সাথে সাথে হামদান গোত্রের সবাই একই সাথে ইসলাম কবুল করে নিলেন।

এই খুশির সংবাদ লিখে হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহর নিকট পত্র পাঠালেন। যখন রাসূল উক্ত পত্রখানি পড়লেন, তখন সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন। অতপর, মাথা উঠিয়ে বললেন, হামদানগোত্রের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, হামদানগোত্রের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

অন্য রেওয়াতে আছে, উক্ত জামাত নিয়ে হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু ৪ মাস পর ফিরে এলেন, বিদায় হজ্বের সময়। অতএব, উভয় আমীরের নেতৃত্বে আমাদের সময় অতিবাহিত হলো, প্রায় ১ বৎসর। (দালায়েলুন নাবাবিয়্যাহ লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২১৩২, হায়াতুস সাহাবাহ, ১ম খ, পৃষ্ঠাঃ ১৭৯/ ১৪০, বুখারী শরীফ ২য় খন্ড, কিতাবুল মাগাজী।

চিল্লা সংক্রান্ত আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 
বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামদের তাহকিক মতে তাবলীগ জামায়াত হক দল।
সেখানে কোনো বিদয়াতী কাজ নেই,শরীয়াহ বহির্ভুত কোনো কাজ নেই।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাবলীগ জামায়াতে থাকাটা উত্তম হবে।

তারা তাবলীগের ফজিলত সংক্রান্ত সহ আরো কিছু বিষয় নিয়ে কিছু হাদীস বলেন,যাহার মধ্যে কিছু হাদীস জয়ীফ।
তবে এর কারনে এই মহান জামায়াতকে বিদয়াতী বলার কোনো সুযোগ নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...