আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
একটা রুমের মধ্যে তিন চার জন বান্ধবী থাকে, তার মধ্যে একজন হিন্দুও আছে, ফজরের আর মাগরিবের নামাজের সময় সে মোবাইল দেখে দেখে তাদের গীতা পাঠ করবে, কিন্তু রুমে কোনো ছবি বা মুর্তি রাখে নাই,,, এতে কি তাদের(মুসলিম)কোনো সমস্যা হবে?  বা রহমতের ফেরেস্তা আসবে না?

1 Answer

0 votes
by (682,160 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/9955/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
অমুসলিমদের সাথে আচরণের ক্ষেত্রে সূরা মুমতাহিনার এই নির্দেশনাটি বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য-

لَا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ لَمْ يُقَاتِلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَلَمْ يُخْرِجُوكُمْ مِنْ دِيَارِكُمْ أَنْ تَبَرُّوهُمْ وَتُقْسِطُوا إِلَيْهِمْ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِينَ  إِنَّمَا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ قَاتَلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَأَخْرَجُوكُمْ مِنْ دِيَارِكُمْ وَظَاهَرُوا عَلَى إِخْرَاجِكُمْ أَنْ تَوَلَّوْهُمْ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ

যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের বিরম্নদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে তোমাদের ঘর-বাড়ি থেকে বহিষ্কার করেনি, তাদের সঙ্গে সদাচরণ করতে ও তাদের প্রতি ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালোবাসেন। আল্লাহ  তো তোমাদের তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন, যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সাথে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে তোমাদের ঘর-বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে এবং তোমাদেরকে বের করার কাজে একে অন্যের সহযোগিতা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে তারা জালিম। -সূরা মুমতাহিনা : ৮-৯

আবু দাউদ শরীফের ২৭৭৮,২৭৮৭ নং হাদীসে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، حَدَّثَنِي خُبَيْبُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، سُلَيْمَانَ بْنِ سَمُرَةَ عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، أَمَّا بَعْدُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ جَامَعَ الْمُشْرِكَ وَسَكَنَ مَعَهُ فَإِنَّهُ مِثْلُهُ " .

মুহাম্মদ  ইবন  দাঊদ  (রহঃ) ............ সামূরা ইবন জুনদুব  (রাঃ)  থেকে  বর্ণিত।  তিনি বলেনঃ  রাসূলুল্লাহ্  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলেছেন,  যে  ব্যক্তি  কোন  মুশরিকের  সাথে  সম্পর্ক  রাখে  এবং  তার  সাথে  বসবাস  করে,  সে  তারই  মত  হবে।
,

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাধারণভাবে বলেছেন: “তুমি মুমিন ছাড়া অন্য কারো সাথী হবে না। আর মুত্তাকী ছাড়া অন্য কেউ যেন তোমার খাদ্য না খায়”।[সুনানে তিরমিযি (২৩৯৫), আলবানী হাদিসটিকে হাসান বলেছেন]
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
মুসলিম অমুসলিম এক রুমে থাকাকে কখনো শরীয়ত অনুমোদন দিতে পারে না।
এটা পুরোপুরি নাজায়েজ।     

হ্যা অপারগতা বশত অমুসলিম পাশের রুমে থাকলে কোনো সমস্যা নেই যদি তার সাথে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক না থাকে,এবং আপনার ঈমান- আকিদা সুদৃঢ় রাখার পূর্ণ ইয়াক্বিন-বিশ্বাস থাকে।

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে একই রুমে এভাবে হিন্দু বান্ধবীর সাথে মুসলিম বোনেরা থাকতে পারবেনা।
এটি জায়েজ হবেনা।

ঈমান- আকিদা সুদৃঢ় রাখার পূর্ণ ইয়াক্বিন-বিশ্বাস থাকার শর্তে মুসলিমরা পাশের রুমে থাকতে পারবে।
,
অন্যথায় উক্ত মেস/হোস্টেল/বাসা পরিবর্তন করা প্রয়োজন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 72 views
0 votes
1 answer 60 views
...