আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
65 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল এর উত্তর দিলে উপকৃত হব।

১.যে ঘরে হারাম সিনেমা,সিরিয়াল চলে সেই ঘরে সিনেমা চলাকালীন উপস্থিত থাকা যাবে?

২.খেলা দেখা কি জায়েয?

৩.ভুতুরে গেম খেলা কি জায়েয(যদি ভয় না করে)?

৪.ভুতুরে গল্প পড়া জায়েয?

৫.গল্প ইসলামিক কিন্তু কয়েকটি ভুল মাসালা দেওয়া আছে সেই গল্প পড়া কি জায়েয?

৬.টাকনুর নিচে কাপড় পড়া গুণাহ। তাহলে ঠাকুর উপর কাপড় পড়া কি সুন্নাহ

৭.রাসুল (সা:) জেল কেটেছিলেন।এটা কি সত্য?

৮.প্রতিবাদ করা,দ্বীনের জন্য কারাবরণ করা কি সুন্নাহ?

৯.ইজতিহাদ কি?

১০.আমি পরীক্ষা দিচ্ছি এসময় কেউ যদি আমার খাতা দেখে কিন্তু আমি কোন রেসপন্স না করি অর্থাৎ আমি তাকে দেখাবো না কিন্তু সে পারলে দেখুক এরকম করলে কি গুণাহ হবে?

 ঃঃ

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
প্রয়োজনে উপস্থিত থাকা যাবে।
তবে টিভির দিকে নজর দেয়া যাবেনা।
গান ইত্যাদির আওয়াজ থেকে অন্য দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

গান ইত্যাদির আওয়াজের দিকে যেনো কান না যায়,সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

(০২)
https://ifatwa.info/24609/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
হাদীস শরীফে এসেছে,
ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,

أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( لَا تَزُولُ قَدَمُ ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ : عَنْ عُمُرِهِ فِيمَ أَفْنَاهُ ، وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَ أَبْلَاهُ ، وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ ) 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।
(সুনানু তিরমিযি-২৪১৬)বিস্তারিত জানুন-

মু'মিন একটি মুহুর্তও অযথা কাটাবে না।বরং সর্বদাই আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত থাকবে।নামায পড়বে,কুরআন তিলাওয়াত করবে,নয়তো যিকির করবে।যদি ইবাদত করতে করতে মন ক্লান্ত হয়ে যায়,তখন মনকে উৎফুল্ল করতে বৈধ বিনোধনের ব্যবস্থা শরীয়তে রয়েছে।বৈধ বিনোধন সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/673

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও খেলা দেখা জায়েজ নেই।
এতে নাজায়েজ কাজ করার গুনাহ হবে।

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
খেলা দেখার ক্ষেত্রে খেলায় যেহেতু বাদ্য-বাজনার ব্যবহার হয়,অনেক সময় মহিলাদের দেখানো হয়,এই খেলার নেশায় অনেকে ইবাদত থেকে গাফেল থাকে,এটি নামাজ ইত্যাদিতেও স্বরন আসে,হারাম এই খেলায় নিজ দল জিতলে অন্তর খুশি হয়,হারলে অন্তরে ব্যাথা লাগে, সর্বপরি জুয়ার ভিত্তিতে এই খেলা দেখা সেটিকে সমর্থন ও সহযোগিতা বুঝায়।
তাই খেলা দেখা কোনো ভাবেই জায়েজ নেই।

(০৩)
জায়েজ নেই।

(০৪)
সেই গল্প পড়া জায়েজ আছে।
তবে ভূল মাসয়ালার উপর আমল করা যাবেনা।

(০৫)
উক্ত গল্প পড়া জায়েজ আছে।
তবে ভূল মাসয়ালার উপর আমল করা যাবেনা।

(০৬)
ফরজ।

(০৭)
শীয়াবে আবি তালিবে রাসুলুল্লাহ সাঃ ৩ বছর অবরুদ্ধ ছিলেন।
সেটিকে অনেকে জেল বলে আখ্যায়িত করে "রাসুলুল্লাহ সাঃ জেলখানায় ছিলেন" বলে থাকেন।

(০৮)
বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামদের তত্তাবধানে থেকে এমনটি করলে সুন্নাহ পালন হবে,ইনশাআল্লাহ। 

(০৯)
ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে কুরআন সুন্নাহ ইজমা কিয়াসকে সামনে রেখে মুজতাহিদ পর্যায়ের উলামাদের গবেষণাকে ইজতিহাদ বলা হয়। ইসলামি আইনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ইজতিহাদের প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। 

আরো জানুনঃ- 

(১০)
আপনি ইচ্ছা করে তাকে দেখার সুযোগ করে দিলে,নিষেধ না করলে আপনারও গুনাহ হবে।

আর যদি আপনি নিষেধ করেন,তাহলে আপনার গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...