আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
আমার কাছে বাদশা ফাহাদ কোরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স থেকে ছাপানো একটি মুসহাফ রয়েছে। এই মুসহাফে নাকি ওয়াকফের সব চিহ্ন নেই? এমনকি ওয়াকফে লাজিম ও? যদিও অনেক স্থানে ওয়াকফের চিহ্ন দেখেছি। এটা কি ইখতিলাফ? নাকি আরবরা চিহ্ন ছাড়া পড়তে পারে বলেই দেয়া হয়নি?  আমরা যারা আরবি জানি না, তারা কি এই মুসহাফের উপর নির্ভর করতে পারবো? যদি কোনো ক্ষেত্রে ফন্ট বোঝতে ভুল হয় তবে কি গোনাহ হবে,  যেহেতু এই ফন্ট বাংলাদেশে প্রচলিত আরবি ফন্টের চাইতে ভিন্ন?

1 Answer

0 votes
by (713,640 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আরবরা চিহ্ন ছাড়া পড়তে পারে বলে আরবী নুসখা গুলোতে সকল ওয়াকফ চিহ্ন দেয়া হয়নি। ওয়াকফ চিহ্ন কখন হবে, কোন কোন শব্দে হবে তা নিয়ে অবশ্যই ক্বারি সাহেবদের মধ্যে মতপার্থক্য হয়েছে। এর মূল কারণ হল, আরববাসীদের জন্য ওয়াকফ চিহ্নের কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই, এমনকি যবর যের পেশ ইত্যাদিরও কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। বরং তারা এমনিতেই পড়তে পারে।পরবর্তীতে অনারবীদের কুরআন পড়ার সুবিধার্থে হরকত দেয়া হয়।

আল্লামা তকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম ‘উলূমুল কুরআন’-এ বলেন, 
এ সম্পর্কিত সকল বর্ণনা সামনে রাখলে প্রতীয়মান হয় যে, হরকত (যের, যবর ও পেশ) সর্বপ্রথম হযরত আবুল আসওয়াদ দুয়ালী রাহ. আবিষ্কার করেন। কিন্তু হরকতের রূপ এখন যেমন দেখা যায় তেমন ছিল না। তখন ছিল ফোঁটার মতো। যবরের জন্য উপরে এক ফোঁটা দেওয়া হত, যেরের জন্য নিচে এক ফোঁটা আর পেশের জন্য সামনে এক ফোঁটা দেওয়া হত। তানভীনের জন্য দুই ফোঁটা ব্যবহৃত হত। এরপর খলীল বিন আহমদ রাহ. হামযাহ ও তাশদীদের বর্তমান রূপটি আবিষ্কার করেন। এরপর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ইয়াহইয়া বিন ইয়ামার রাহ. ও নাসর বিন আসেম রাহ.-এর মাধ্যমে কুরআনে কারীমে হরফসমূহে নুকতা লাগানোর ব্যবস্থা করেন। এই সময়ই মূলত নুকতা ও হরকতের পার্থক্যের উদ্দেশ্যে হরকতের বর্তমান রূপটি অবলম্বন করা হয়। [ উলূমুল কুরআন পৃ. ১৯৫]


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 62 views
...