আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
206 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (43 points)
১।আমি যদি আমার এক বন্ধুকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাই,হয়তো সেখানে আরেক বন্ধুর বাসায় থাকবো।কিন্তু আন্টি হয়তো পর্দা করবেন না।আমি ইনশা আল্লাহ নজর হেফাজত করবো,কিন্তু আমার বন্ধু হয়তো নাও করতে পারে।আমি না গেলে হয়তো সে একাই যাবে,কিংবা নাও যাইতে পারে।এক্ষেত্রে যদি আমি তাকে নিয়ে বেড়াতে যাই আর সে নজর হেফাজত না করে আমার কি গুনাহ হবে?

২।কোন রেস্টুরেন্টে গান বাজলে সেখানে খাওয়া যাবে?

৩।কোন রেস্টুরেন্টে হারাম খাবার বেচলে সেখানকার হালাল গুলো খাওয়া যাবে?

৪। মা পর্দা না করলে তার সাথে রেস্টুরেন্টে যাওয়া যাবে?

৫। মা পর্দা করলে বাসায় বন্ধুদের আসতে বলা যাবে? যদি তারা বাসায় নিজ থেকে আসতে যায়, মানা করে দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)কুরআন শরীফে এসেছেঃ  
وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ ۚ 
আল্লাহ তায়ালা  কাহারো গুনাহের বোঝা অন্যের উপর চাপিয়ে দিবেননা।
(সুরা ফাতির ১৮)
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নজরের হেফাজত না করার আপনার ঐ বন্ধুরই হবে।
আপনার নয়।
,
তবে এক্ষেত্রে বিষয়টি যদি এমন হয় যে আপনার কারনেই সে ওখানে গিয়েছে,তাহলে তার গুনাহে আপনার কিছুটা সহযোগিতা পাওয়া গেলো। 

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ  
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
,
(০২)
সেখানে খাওয়া হারাম নয়,হালাল।
তবে গান শোনার গুনাহ হবে।
,
(০৩)
হ্যাঁ সেখানকার হালাল খাবার খাওয়া যাবে।
,
(০৪)
মা যদি পর্দা না করে,তাহলে মাকে ভালোভাবে হেকমতের সহিত বুঝাইতে হবে।

হাদীস শরীফে এসেছে- ‘জেনে রেখ, তোমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেককে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। পুরুষ তার পরিবারবর্গের ব্যাপারে দায়িত্বশীল। তাদের ব্যাপারে তাকে জবাবদিহি করতে হবে।’ -সহীহ বুখারী ১/২২২ হাদীস ৮৯৩

আপনি যদি আপ্রান চেষ্টা করেন দ্বীনের পথে চলানোর জন্য,তারপরেও তিনি না শোনে,তাহলে আপনি তার সাথে বাহিরে যাওয়া বন্ধ করে দিবেন।
তাহলেই তিনি আপনার কথা মানবেন বলে আশা করছি।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ক্ষেত্রে আপনার মায়ের শুধু গুনাহ হবে।
আপনার নয়।
তবে আপনি যদি আপ্রান চেষ্টা করে না বুঝান,তাহলে আপনারও গুনাহ হবে।
,
(০৫)
বাসায় বন্ধুদের আসতে বলবেন,তবে আপনার মার পর্দার যেনো কোনো সমস্যা না হয়,সেটা লক্ষ্য রাখবেন।
,
তাকে অন্য ঘরে রাখবেন।
,
যদি অবস্থা এমন হয় যে এহেন পরিস্থিতিতে পর্দা রক্ষা করে চলা আপনার মায়ের কোনোভাবেই সম্ভবপর নয়,তাহলে আপনার বন্ধুদেরকে আনবেননা।     
মানা করে দিবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...