আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (36 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
শায়েখ,

একটু ভালো করে পড়ে যদি আমাকে উত্তরটা দিতেন তাহলে অনেক উপকৃত হব ইন শা আল্লাহ।
আমার মা প্রথমে একটা কথা বলে তারপর আমি তাকে বলি এগুলো কথা বলতে হয় না। তারপর আমি মাকে একাটা কথা বলি তারপর মা হেসে হেসে আমাকে নানান সবজি যেমন আলু,পটল বলে ডেকেছেন। তার কথা শুনে আমার খারাপ লাগেনি বরং আমিও অনেকটা হেসে ফেলেছি।তারপর আমার মনে হলো এগুলোতো মা মজা করে আমকে বলেছে তাই এতে কোন সমস্যা হবে না গুনাহও হবে না তাই আমি আবার হাসি মার কথার জন্য।
এখন প্রশ্ন হলো।
১।এগুলো কি মিথ্যা কথার মধ্যে পড়বে?

২। এগুলো বলার কারণে কি মার গুনাহ হবে?
৩। এখন আমার মনে হচ্ছে আমিতো আলু, পটল না তাহলে মার কথায় আমি যে হেসেছিলাম এবং মনে করেছিলাম যে আমাকে এগুলো বলার কারণে আমি যেহেতু কষ্ট পাইনি তাই এতে কোন সমস্যা হবে না ও গুনাহ হবে না এভাবে চিন্তা করার কারনে কি আমার ইমানে সমস্যা হবে?

৪।এসব প্রশ্ন করার কারনে কি আমার ইমানে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (677,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


মুমিন কাউকে গালিও দেয় না। এ স্বভাব মুমিনের সাথে যায় না। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-

لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ، وَلَا اللَّعَّانِ، وَلَا بِالْفَاحِشِ، وَلَا بِالْبَذِيءِ.

মুমিন (অন্যের) দোষ চর্চাকারী হয় না, লানতকারী, অশ্লীল ও গালিগালাজকারী হয় না (বাজে কথা বলে না)। -জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯৭৭

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-

أَرْبَعٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ كَانَ مُنَافِقًا خَالِصًا، وَمَنْ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْهُنَّ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنَ النِّفَاقِ حَتَّى يَدَعَهَا: إِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ، وَإِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ، وَإِذَا خَاصَمَ فَجَرَ.

চারটি (মন্দ) স্বভাব আছে, এগুলো যার মাঝে থাকবে সে খালেছ মুনাফিক বলে গণ্য হবে। আর যার মাঝে এই চার স্বভাবের কোনো একটি থাকল, তার মাঝে মুনাফেকির একটি স্বভাব থাকল; যতক্ষণ না সে তা বর্জন করে। 
১. আমানত রাখলে খেয়ানত করে। 
২. কথা বলে তো মিথ্যা বলে। 
৩. প্রতুশ্রুতি দিলে ভঙ্গ করে।
 ৪. তর্কের সময় গালাগালি করে। 
(সহীহ বুখারী, হাদীস ৩৪)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি আর আপনার মা তো কোনো মিথ্যা কথা বলেননি,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত কথা গুলি মিথ্যা কথার মধ্যে পড়বেনা।

(০২)
এগুলো বলাতে তো আপনি কোনো কষ্ট পাননি,আর আপনার মা আপনাকে গালি/কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্যে বলেননি,সুতরাং এতে আপনার মায়ের গুনাহ হবেনা।

(০৩)
এভাবে চিন্তা করার কারনে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৪)
এসব প্রশ্ন করার কারনে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...