আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (189 points)
১. স্ত্রী ওয়াসওয়াসার রোগী। কিছুদিন আগে স্বামী স্ত্রীকে বলেছিল সে কখনো কেনায়া বাক্য নিয়তে বলে নাই।

একদিন স্ত্রী স্বামীকে ওয়াসওয়াসায় পরে বলল, নিয়তে বলেছ বলেছিলে।

তখন স্বামী বলে, আমি নিয়তে বলি নাই।
এইখানে কি তা*** এর মজলিশ হবে?

২. স্বামীকে স্ত্রী জিজ্ঞেস করল "তুমি কি কেনায়া বাক্য নিয়তে বলেছিলে?

তখন স্বামী বলে তোমার কি মনে হয় বলেছি?

তখন স্ত্রী বলে- নাহ।

এইখানে কি তা*** এর মজলিশ হবে?

৩. স্বামী স্ত্রী এক সাথে বসে কথা বলার সময় তা** এর মজলিশ  হলো। তখন স্বামী বলল শুয়ে যাও। স্বামীর কথায় স্ত্রী সেই জায়গায় শুয়ে পরলো, স্বামী তখন স্ত্রীর সাথে শুয়ে ফোনের কাজে বা ভিডিও দেখাতে মনোযোগী হলো। তখন কি তা*** এর মজলিশ শেষ হবে বলে ধরা হবে?

৪. স্বামী কেনায়া বাক্য কখনও নিয়তে বলে নাই। কিন্তু তালাকের অধিকার পাওয়া কোনো স্ত্রী যদি বলে, কেনায়া বাক্য নিয়তে বলেছ বলেছিলে, তাহলে কি স্ত্রী স্বামীকে এই কথা বলাতে কি বিবাহের ক্ষতি হবে কি?

৫. মিতা কিছুদিন ধরে তা*** এর দুশ্চিন্তায় আছে। তাই সে তার স্বামীকে বলল, "আমি কোন একজন ভালো হুজুর এর সাথে কথা বলতে চাই"।

মিতার স্বামীও জানে মিতা তা*** এর বিষয় নিয়ে হুজুরের সাথে কথা বলতে চায়।
তখন তার স্বামী বলল, "কথা বললে ভালো কোনো মুফতীর সাথে কথা বলিও"।

যেহেতু মিতার স্বামী জানে মিতা তা*** এর বিষয় নিয়ে হুজুরের সাথে কথা বলতে চায় তাই মিতার স্বামী মিতাকে জিজ্ঞেস করে, কি জিজ্ঞেস করবা মুফতীকে?

তখন মিতা বলে- "কিছুই না"।

এইখানে কি তা*** এর মজলিশ হবে?

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/45359/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে 
তালাক খুবই মারাত্মক  একটি বিষয়। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

যদি স্বামী তালাক দেয়ার উপর ধমক দিতে থাকে,বা স্ত্রী তালাক চায়,বা সেখানে অন্য কোনো ব্যাক্তি সেই স্বামীকে তালাক দেয়ার উপর উদ্ভুদ্ধ করে,তাহলে সেটিকে তালাকের মজলিস,মুযাকারায়ে তালাক বলা হবে।

মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের মজলিস কাকে বলে?
এ বিষয়ে রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
"(قَوْلُهُ: وَهِيَ حَالَةُ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ) أَشَارَ بِهِ إلَى مَا فِي النَّهْرِ مِنْ أَنَّ دَلَالَةَ الْحَالِ تَعُمُّ دَلَالَةَ الْمَقَالِ قَالَ: وَعَلَى هَذَا فَتُفَسَّرُ الْمُذَاكَرَةُ بِسُؤَالِ الطَّلَاقِ أَوْ تَقْدِيمِ الْإِيقَاعِ كَمَا فِي اعْتَدِّي ثَلَاثًا وَقَالَ قَبْلَهُ الْمُذَاكَرَةُ أَنْ تَسْأَلَهُ هِيَ أَوْ أَجْنَبِيٌّ الطَّلَاقَ".
( كتاب الطلاق، بَابُ الْكِنَايَاتِ، ٣ / ٢٩٧)

মুযাকারায়ে তালাকের অর্থ হল, স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করা ,অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন এবং তামান্না করা। এই উভয় প্রকারকে 'মুতালাবায়ে তালাক' নামে অভিহিত করা হয়।তাছাড়া স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকে,তাহলে এদ্বারাও মুযাকারায়ে তালাক প্রমাণিত হবে।এই তৃতীয় প্রকারকে  তাকদীমূল ঈ'কা বলা হয়ে থাকে।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৯৭) 

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এটি তালাকের মজলিস বলে গন্য হবেনা।

(০২)
এখানে তালাকের মজলিস হবেনা।

(০৩)
হ্যাঁ, তখন তালাকের মজলিস শেষ হয়েছে বলে ধরা হবে।

(০৪)
স্ত্রী স্বামীকে এই কথা বলাতে বিবাহের কোনো ক্ষতি হবেনা।

(০৫)
এখানে তালাকের মজলিস হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...