আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in পবিত্রতা (Purity) by (23 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম, পুকুরের  ঘাটের ১ম সিড়িতে আমার বোন তার মেয়ের প্রস্রাবের কাপড় ধুচ্ছিল। আমি ঘরে অযু করে বাকি অযুর পা দোয়ার জন্য পুকুরে গিয়ে ২য় সিড়িতে নামি, সেখানে পানির ঠাই আমার টাকনু থেকে একটু কম। তাই তৃতীয় সিড়িতে নেমে পা ধুই। সেখানে পানির ঠাই আমার টাকনু থেকেও অনেক উপরে ছিলো।  সেখানে বোনের কাপড় ধোঁয়ার পাউডার মিশ্রিত সাদা পানি তেমন ছিলো না। পানির রংয়ের সাথে মিশো যাচ্ছে, গেছে। আমি পা ধুয়ে ৩য় থেকে ২য় সিড়িতে উঠলে সেখানের পানিগুলো পাউডার মিশ্রিত সাদা পানি ছিলো। এটা দেখে আমি ২য় সিড়িতে পা রেখে আবার ৩য় সিড়ির বেশি পানিতে পা ধুয়ে নিই। কিন্তু এক পা দুতে গেলে আরেক পা ২য় সিড়ির পাউডার পানিতে থেকে যাচ্ছে। এভাবে পা ধুয়ে চলে আসি। কিন্তু ঘরে আসতে আসতে ওয়াসাওয়াসা হতে থাকে। তাই প্রবাহিত পানি মনে করে তেমন পাত্তা দিই নি।

তারপরো ওয়াসাওয়াসা হচ্ছে দেখর বাথরুমে কোনোরকমে আবার না ঢলে পা ধুই।

এভাবে নামাজ পড়ি।

এখন প্রশ্ন আমার পুকুরে পা ধোয়া কি ঠিক ছিলো???

যেহেতু প্রবাহিত পানি ছিলো। যদিও বা ২য় সিড়ির পানি পাউডার মিশ্রিত সাদা পানি ও ছিলো।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান মতে, বড় পুকুর যার একদিকে পানি নাড়া দিলে অন্যদিকে নড়ে না,এ ধরনের পুকুরে বা খালে  যদি পর্যাপ্ত পানি থাকে এবং পুকুরে বিল্ডিংয়ের পয়নিষ্কাশনের পানি গিয়ে পড়া,পানির রং সবুজ বা কালো হওয়ার পরেও পানির তারল্য বহাল থাকে তাহলে যেকোনো কারণে পানির রং ও গন্ধ পরিবর্তন হয়ে গেলেও তা দ্বারা অযু-গোসল করা সহীহ হবে। 
(ফাতাওয়ায়ে খানিয়া ১/১৭; ফাতহুল কাদীর ১/৬৫)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ قِيلَ لِرَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم أَنَتَوَضَّأُ مِنْ بِئْرِ بُضَاعَةَ وَهِيَ بِئْرٌ يُطْرَحُ فِيهَا الْحِيَضُ وَلَحْمُ الْكِلَابِ وَالنَّتْنُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " الْمَاءُ طَهُورٌ لَا يُنَجِّسُهُ شَىْءٌ "

আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘আমরা কি (মদীনার) ‘বুযাআহ’ নামক কূপের পানি দিয়ে অযু করতে পারি? কূপটির মধ্যে মেয়েলোকের হায়িযের নেকড়া, কুকুরের গোশত ও যাবতীয় দুর্গন্ধযুক্ত জিনিস নিক্ষেপ করা হত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ পানি পবিত্র, কোন কিছু একে অপবিত্র করতে পারে না।
(তিরমিযী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ পানিকে কোনো জিনিস অপবিত্র করতে পারে না, হাঃ ৬৬, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান), নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পানি, অনুঃ বুদ‘আহ কূপের বর্ণনা, হাঃ ৩২৫), আবু দাউদ ৬৬. আহমাদ (৩/১৫, ১৬, ৩১, ৮৬), দারাকুতনী (১/৩০-৩১) আবূ সাঈদ খুদরী সূত্রে। এর সানাদ সহীহ।

তবে উক্ত পানিতে অপবিত্রতা পড়ার কারণে পানির কোনো একটি বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হয়ে গেলে তা পবিত্রতা থেকে বের হয়ে যায়। আলোচ্য হাদীসের ‘উমূম (ব্যাপকতা) বুঝানো হয়েছে।
অন্য হাদীসাবলী দ্বারা খাস করা হয়েছে।

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ৩য় সিড়িতে পা ধুয়ে সেখান থেকে ২য় সিড়িতে উঠার সময় ২য় সিড়ির পানি আপনার পায়ে অবশ্যই লেগেছে।
আর প্রশ্নের বিবরণ মতে সেখানের তথা ২য় সিড়ির পানিগুলো পাউডার মিশ্রিত সাদা পানি ছিলো।
আর পাউডার মিশ্রিত সাদা পানি নিয়েই যেহেতু আপনি পুকুর থেকে চলে এসেছেন,তাই তখন৷ পর্যন্ত আপনার পা নাপাক ছিলো।
কিন্তু আপনি যখন বাথরুমে এসে পা না ডলে কোনোরকমে ধুয়ে নিয়েছেন,এর দ্বারা আপনার পা পাক হয়ে গিয়েছে।

সুতরাং আপনার নামাজ শুদ্ধ হয়েছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 527 views
...