বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
উশর প্রসঙ্গ।
জমিন থেকে যা কিছু উৎপাদিত হয়।চায় একসের হোক, ইমাম আবু-হানিফা রাহ এর মতানুসারে তাতে উশুর অর্থ্যাৎ দশ ভাগের এক ভাগ ফরয হবে।অর্থ্যাৎ দশ ভাগের একভাগ আল্লাহর রাস্তায় দেওয়া ফরয।বৎসরে যতবার-ই ফসল উৎপাদিত তাতে উশুর আসবে।যদি প্রাকৃতিক পানি দিয়ে চাষ করা হয়, তাহলে এ হুকুম।কিন্তু যদি মেশিনেরর পানি দিয়ে জমি চাষ করা হয় তাহলে নিসফে উশর অর্থ্যাৎ বিশ ভাগের এক ভাগ ফরয হবে।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
ﻭَﺁﺗُﻮﺍْ ﺣَﻘَّﻪُ ﻳَﻮْﻡَ ﺣَﺼَﺎﺩِﻩ
এবং হক্ব আদায় কর ফসল কর্তনের সময়।(সূরা, আন'আম-১৪১)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤﺎ ﻋَﻦْ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ : ( ﻓِﻴﻤَﺎ ﺳَﻘَﺖْ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀُ ﻭَﺍﻟْﻌُﻴُﻮﻥُ ﺃَﻭْ ﻛَﺎﻥَ ﻋَﺜَﺮِﻳًّﺎ ﺍﻟْﻌُﺸْﺮُ ، ﻭَﻣَﺎ ﺳُﻘِﻲَ ﺑِﺎﻟﻨَّﻀْﺢِ ﻧِﺼْﻒُ ﺍﻟْﻌُﺸْﺮ
নবীজী সাঃ বলেনঃযে জমি আকাশের পানি অথবা ঝরনার পানি দ্বারা উৎপাদিত হয় অথবা পানির লেয়ার যুক্ত জমিনে মাঠির নিচের পানি দ্বারা উৎপাদিত হয়।তাতে উশর(১০%) ওয়াজিব হবে। এবং যে জমি সিঞ্চিত পানি দ্বারা উৎপাদিত হবে, তাতে নিসফ উশর(২০%) ওয়াজিব হবে।(সহীহ বোখারী-১৪৮৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি পানি সিঞ্চন করে কৃষি ক্ষেত করে থাকেন,তাহলে আপনার উপর পূর্ণ উৎপাদিত সম্পদের ২০ভাগের এক ভাগ সদকাহ করতে হবে।বিগত অনাদায়ী বৎসর সমূহের উশরকেও আদায় করতে হবে,এক্ষেত্রে অনুমান করে আদায় করে নেবেন।