আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
91 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (21 points)

একটা সিদ্ধান্ত আটকে আছে। একটু সময় নিয়ে পুরোটা ভালোভাবে পড়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

আমি একটা মেসে থাকি। ১ মাস আগে আমার বর্তমান সিট পরিবর্তন করে আরেকটা সিটে ওঠার চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু পরে হয়তো ভেবেছিলাম কিছু কারণে কারোর হক নষ্ট হতে পারে (যদিও হক নষ্ট হতো না) এবং যদি হক নষ্ট হয় তাহলে এরপর যা কাজ করব সব বিফলে যায় কিনা---হয়তো এই চিন্তাসহ অন্যান্য অনেক চিন্তা করে তখন সিট পরিবর্তন করিনি। যদিও পরবর্তীতে বুঝতে পেরেছিলাম যে, জায়েজ বিষয়কে নাজায়েজ ভাবা উচিত হয়নি। যেখানে হক নষ্ট হবেনা সেখানে হক নষ্ট হবে ভাবা এবং হক নষ্ট করলে পরবর্তী সব কাজকর্ম বিফলে যাবে এরকম ভাবাটা ভুল ছিল।

যাহোক একমাস পরে এখন আর্থিক, মানসিক, পরিবেশ ইত্যাদি দিক দিয়ে বিবেচনা করে আমি ওই সিটে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করছি। কিন্তু ওয়াসওয়াসায় পড়ে এখন দোটানায় ভুগতেছি যে--- আমি কি আসলেই আমার প্রয়োজনের জন্য সিট পরিবর্তন করতে চাচ্ছি, নাকি জায়েজ বিষয়কে নাজায়েজ ভাবা আমার ভুল ছিল সেটা কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করে দেখানোর জন্য সিট পরিবর্তন করতে চাচ্ছি। যদি সিট পরিবর্তন করি এটা মনে করে যে, কাজের মাধ্যমে প্রমাণ না করে শুধু মনে বিশ্বাস রাখলে আল্লাহ মাফ করবে না---- তাহলে তো সম্ভবত আল্লাহর ক্ষমার উপর অবিশ্বাস করা হয়ে যাচ্ছে --- না জানি এর জন্য আমি কাফের হয়ে যাই কিনা।

(১) এখন আমার কি করণীয়? আমি কি এসব চিন্তাভাবনা-কে পাত্তা না দিয়ে আমার প্রয়োজন বিবেচনা করে সিট পরিবর্তন করব?

(২) যদি আমার সিট পরিবর্তনের পিছনে কোনোভাবে এই চিন্তা থেকে থাকে যে, কাজে প্রমাণ না করে শুধু মনে বিশ্বাস রাখলে হয়তো আল্লাহ মাফ করবে না, তাহলে এই চিন্তার জন্য কি আমি কাফের হয়ে যাব বা আজীবন কাফের থাকব? 

(৩) ওয়াসওয়াসায় পড়ে/এটা করলে বা না করলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন কিনা-- এই দোটানায় ভুগে, কেউ অতীতে জায়েজ বিষয়কে নাজায়েজ ভেবে অসংখ্য কাজ করে ফেললে (উপরের ঘটনাটির মতো) এবং পরে সেটা বুঝতে পারলে কি পুনরায় সঠিক চিন্তা করে কাজগুলো করার প্রয়োজন আছে? নাকি শুধু অন্তর থেকে ভুলটাকে ভুল ভাবলেই চলবে?

(৪) ওয়াসওয়াসাজনিত দোটানায় ভুগে, কেউ যদি জায়েজ বিষয়কে নাজায়েজ ভেবে কোনো কাজ করে ফেলে, তাহলে সে কি কাফের হয়ে যায়? অতীতে এরকম অসংখ্য কাজ করে ফেললে তার এখন কি করণীয় (যদি সবগুলো মনে না থাকে)?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


কেহ যদি জেনেশুনে ইচ্ছাকৃতভাবে স্পষ্ট কোনো হালাল বস্তুকে হারাম বলে,সেক্ষেত্রে সে কাফের হয়ে যাবে। 

আল্লাহ পবিত্র কুরআনে মুশরিকদের আচরণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,

وَلاَ يُحَرِّمُوْنَ مَا حَرَّمَ اللهُ وَرَسُولُهُ وَلاَ يَدِيْنُوْنَ دِيْنَ الْحَقِّ-
‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তারা তাকে হারাম গণ্য করে না এবং সত্য দ্বীনকে তাদের দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করে না’ (তওবা ২৯)।

অন্যত্র তিনি বলেন,
قُلْ أَرَأَيْتُمْ مَّا أَنْزَلَ اللهُ لَكُم مِّن رِّزْقٍ فَجَعَلْتُمْ مِّنْهُ حَرَاماً وَحَلاَلاً قُلْ اللهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ عَلَى اللهِ تَفْتَرُونَ-
‘আপনি বলুন, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে যে রূযী দান করেছেন, তন্মধ্যে তোমরা যে সেগুলির কতক হারাম ও কতক হালাল করে নিয়েছ, তা কি তোমরা ভেবে দেখেছ? আপনি বলুন, আল্লাহ কি তোমাদেরকে এতদ্বিষয়ে অনুমতি দিয়েছেন, নাকি তোমরা আল্লাহর নামে মনগড়া কথা বলছ’ (ইউনুস ৫৯)।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
আপনি এসব চিন্তাভাবনাকে পাত্তা দিবেননা।
আপনি আপনার প্রয়োজন অনুসারে সীট পরিবর্তন করতে পারবেন। 
কোনো সমস্যা নেই।

(০২)
এই চিন্তার ফলে আপনি কাফের হয়ে যাবেননা।।
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৩)
পুনরায় কাজগুলি করার প্রয়োজন নেই।
অন্তর থেকে ভুলকে ভুল ভাবলেই হবে। 

(০৪)
না জানার ভিত্তিতে এরকম করলে সমস্যা হবেনা।
,
জানার ভিত্তিতে স্পষ্ট জায়েজ ও হালাল বিষয়কে ইচ্ছাকৃতভাবে মৌখিকভাবে হারাম বললে ঈমান চলে যাবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...