আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আছে আছে।যেগুলো খ্রিস্টানদের হাতে তৈরি।
মানবসেবার উদ্দেশ্যে তাঁদের তৈরি সংগঠনে কাজ করা যাবে কি না!
যেহেতু রাসুল(সা.) সর্বযুগের সেরা মানবসেবী। তাঁর আদর্শ বহির্ভূত অন্য কোন আদর্শ তো উত্তম নয়।
তাহলে মুসলিমগণ কেন সেখানে কাজ করবে?

1 Answer

0 votes
by (707,840 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ 
https://www.ifatwa.info/1110ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
মুসলিম অমুসলিম মু'আমালাত অর্থ্যাৎ কাজ-কর্মে প্রায় সবাই সমান।টাকার বিনিময়ে যেভাবে অমুসলিমকে শ্রমে নিয়োগ করা বৈধ। ঠিকতেমনি বৈধ কাজে মুসলমানের জন্য অমুসলিমের শ্রমে নিয়োগ হওয়াও বৈধ।

যেমন ফাতাওয়ায়ে শা'মী তে বর্ণিত রয়েছে,
ﻭﻟﻮ ﺁﺟﺮ ﻧﻔﺴﻪ ﻟﻴﻌﻤﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﻨﻴﺴﺔ ﻭﻳﻌﻤﺮﻫﺎ ﻻ ﺑﺄﺱ ﺑﻪ ﻷﻧﻪ ﻻ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﻓﻲ ﻋﻴﻦ ﺍﻟﻌﻤﻞ
(ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﻈﺮ ﻭﺍﻹﺑﺎﺣﺔ » ﻓﺼﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﻴﻊ)
যদি কেউ কোনো গির্জায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে,অথবা টাকার বিনিময়ে গির্জা নির্মাণ করে দেয়, তাহলে এতে তার কোনো গুনাহ হবে না। কেননা এখানে মূল কাজে কোনো প্রকার গোনাহ নেই।(রদ্দুল মুহতার,৬/৩৯২)

যদি গির্জায় চাকুরী করা বৈধ হয়,তাহলে যেকোনো অমুসলিম বৈধ কম্পানিতে চাকুরী করা বৈধ হবে,বা তাদের জন্য শ্রম দেয়া বৈধ হবে ।তবে যদি সেই কাজ করতে যেয়ে ইসলামী শরীয়তের মূলনীতি বা তার কোনো শাখা-প্রশাখার বিরোধীতা করতে হয়,অথবা বাধ্যতামূলক তাদের ধর্মকে মানতে হয় বা তা প্রচার করতে হয় কিংবা নিজের ধর্ম পালনে কোনো প্রকার অসুবিধা হয়,তাহলে এক্ষেত্রে আর বৈধতার হুকুম থাকবে না।বরং সে সময় অমুসলিমের উক্ত মুসলমানের জন্য নাজায়েয হয়ে যাবে।

বিঃদ্রঃ
একজন মুসলমানের জন্য উচিৎ যে,সে সর্বাবস্থায় অন্য কোনো মুসলমানের অধীনে চাকুরী করবে, বা মুসলমানের কাজ করবে।এটাই একজন মুসলমানের মান-মর্যাদা ও সম্ভ্রম রক্ষার উত্তম মাধ্যম।


সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই বোন!
টাকার বিনিময়ে তাদের সেচ্ছাসেবক কম্পানি প্রতিষ্টানে চাকুরী করার রুখসত রয়েছে,যদি মুসলিম মালিকানাধীন কোনো বৈধ চাকুরীর সন্ধান না পাওয়া যায়।

তবে সেচ্ছাসেবক হয়ে অমুসলিম সেচ্ছাসেবক প্রতিষ্টানের সাথে কাজ করা কখনো বৈধ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...