আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
58 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)
আমার শশ্বরবাড়ি থেকে আমার শ্বাশুড়ি এবং ননাস আমার জাওজের জন্য একটা বক্সে খাবার(গ্রাম বাংলায় ছাতু বলে) সেটা পাঠিয়েছে যেখানে শুকনো শিম পাতা(বক্সের উপর ছড়ানো) কয়লা,সরিষা দানা(একচা কাপড়ের পুটলায় বাধা)এগুলো ছিলো ,এটা খাওয়া ঠিক হবে ?? আমার শ্বাশুড়ি তাবিজ কবজ,ঝাড় ফুক এগুলোতে বিশেষ বিশ্বাসী না হলেও আমার ননাস সামান্য বিষয়েও কবিরাজ,তাবিজ,এগুলোতে বিশ্বাসি ,তবে উনি কুফরি করে কি না সেই বিষয়ে জানি না । শশ্বরবাড়ি থেকে আরো অনেক খাবার ই পাঠিয়েছে রান্না করা মুরগির মাংস,ডাল,পিঠা এগুলো একহাথে ব্যাগে থাকলেও ঐ ছাতুর বক্সটা,গরুর শুটকি, ডালের আলাদা বেগে দেয়া হয়েছিলো । জিজ্ঞেস করলে বলেছে প্রেগনেন্সি অবস্থায় এই খাবারগুলো নিলে নাকি নজর লাগে তাই ঐ বক্সটা এভাবে দিয়েছে ,বুঝতে পারছি না এটা খাওয়া কি ঠিক হবে ?? তাছাড়া আমার শশ্বুরবাড়ির অনেকেই এরকম কুফরি,তাবিজ ,ঝাড় ফুকে বিশ্বাসি ।
প্রেগনেন্ট অবস্থায় আমার এবং আমার জাওজের এই খাবারগুলো খাওয়া কি উচিত হবে ??তবে আমরা যে বক্সটা একদম নরমাল ছিলো ঐ বক্সের খাবার খেলেও আরেকটা বক্সের খাবার খাইনি ,আমার জাওজকে নিষেধ করলেও সে এগুলো বিশেষ পাত্তা দিচ্ছে না ,কিন্তু আমি খুব ভয় পাচ্ছি এই খাবারটা খেতে + আমার জাওজকে খাওয়াতে ।
২৷ প্রেগনেন্ট অবস্থায় কোনো প্রকার পাটপড়া নেয়া কি জায়েজ ??

৩| বাচ্চা হচ্ছে না বলে কোনো মহিলার কাছ থেকে রসুন,আরো কবিরাজি বিভিন্ন খাবার খাওয়া কি উচিত ! এই নিয়তে যে এটা খেলে বাচ্চা হবে ??আর যারা এ ধরনের বিষয়গুলো করতে বলে তাদের এই চিন্তাটা কি কুফরি পর্যায়ের ??

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


এভাবে খাবারের বক্সের উপর শুকনো পাতা,কয়লা,সরিষা দানা রাখা বা পুটলিতে বেধে দেয়া সবই সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও কুসংস্কার পূর্ণ কাজ। 
অনেক সমাজেই এ জাতীয় কাজের প্রচলন রয়েছে। 

কুরআন ও হাদিসে এসব কিছুই নেই।
সুতরাং তা ভিত্তিহীন ও শরিয়ত বর্হিভূত কথা-তাতে কোন সন্দেহ নাই।

এসব জড়পদার্থ মানুষকে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে না। বরং সকল আযাব, বালা-মুসিবত, ক্ষয়-ক্ষতি এবং মাখলুকের অনিষ্ট থেকে উদ্ধারকারী একমাত্র আল্লাহ। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَإِن يَمْسَسْكَ اللَّـهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهُ إِلَّا هُوَ

“আর আল্লাহ যদি তোমার উপর কোন কষ্ট আরোপ করেন তাহলে কেউ নেই তা খণ্ডাবার মত কেই নাই তিনি ছাড়া।” (সূরা ইউনুস: ১০৭)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا طِيَرَةَ وَخَيْرُهَا الْفَأْلُ» قَالُوا: وَمَا الْفَأْلُ؟ قَالَ: «الْكَلِمَةُ الصَّالِحَة يسْمعهَا أحدكُم»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ কোন কিছুকে অশুভ গণ্য করো না। অবশ্য কিছু শুভ লক্ষণ গ্রহণ করা উত্তম। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেনঃ শুভ লক্ষণ কী? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের কারো পক্ষ কোন ভালো কথা, যা সে শুনতে পায়।

(বুখারী ৫৭৫৪, ৫৭৫৫; মুসলিম (২২২৩)-১১০, আহমাদ ৭৬১৮, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬১২৪, সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৭০৩, মুসান্নাফ ‘আবদুর রায্যাক ১৯৫০৩, বায়হাক্বী’র কুবরা ১৬৯৬০, শু‘আবুল ঈমান ১১৬৮, আল জামি‘উস্ সগীর ১৩৪৮৩, তিরমিযী ১৬১৫, সহীহুল জামি‘ ৭৫২৬, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ২৫৭৬, ইবনু মাজাহ ৩৫৩৭।)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
সকল আযাব, বালা-মুসিবত, ক্ষয়-ক্ষতি এবং মাখলুকের অনিষ্ট থেকে উদ্ধারকারী একমাত্র আল্লাহ, এই বিশ্বাস রেখে আপনি উক্ত খাবার খেতে পারবেন।
আপনার স্বামীও খেতে পারবে। 

(০২)
কুরআন সুন্নাহ সম্মত কোনো দোয়া পড়ে দিলে সেটি ব্যবহার করা যাবে।

নতুবা জায়েজ হবেনা।

(০৩)
চিকিৎসার নিয়তে যদি এসব খাওয়া হয়,তাতে যদি শরীয়াহ বিরোধী কিছু না থাকে,তাহলে আকীদা বিশুদ্ধ রেখে এগুলো খাওয়া যাবে।

নতুবা নয়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...