আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
মুহাম্মদ ইবনু মূসা আল বসরী (রহঃ) ...... আবূ সাঈদ আল খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাতে সালাতে দাঁড়াতেন তখন তাকবীরের পর বলতেনঃ

سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ

হে আল্লাহ, পবিত্রতা এবং প্রশংসা আপনারই; বরকতময় আপনার নাম; অতি উচ্চ আপনার মর্যাদা, আর কোন ইলাহ নেই আপনি ছাড়া। এরপর বলতেনঃ

اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا

পরে বলতেনঃ

أَعُوذُ بِاللَّهِ السَّمِيعِ الْعَلِيمِ مِنْ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ مِنْ هَمْزِهِ وَنَفْخِهِ وَنَفْثِهِ

আমি পানাহ চাই আল্লাহর যিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ অভিশপ্ত শয়তান ও তাঁর ওয়াসওয়াসা, দম্ভ ও যাদু টোনা থেকে। - ইবনু মাজাহ ৮০৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৪২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

উপরের হাদীসে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ  সাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিয়ামুল লাইলে যে তাকবিরে তাহরিমার পরে সানা,তার পর আল্লাহু আকবারু কাবিরা তারপর আউযুবিল্লাহিস সামি'য়িল আলিম..............উক্ত দু'আ টি পাঠ করতেন এই পদ্ধতিতে কি কিয়ামুল লাইল ছাড়া অন্যান্য সালাতেও অনুসরণ করা যাবে?

উক্ত দু'আ গুলো কি হাত বেধে পড়তে হবে?

আউযুবিল্লাহিস সামি'য়িল আলিম........উক্ত দু'আটি পাঠের পরে কি সূরাহ ফাতিহার পূর্বে ইস্তিয়াজা পাঠ করতে হবে নাকি উক্ত দু'আটি ইস্তিয়াজা হিসেবে গণ্য করতে হবে? জানাবেন মিন ফাদ্বলিক।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَلِيٍّ الرِّفَاعِيِّ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ بِاللَّيْلِ كَبَّرَ ثُمَّ يَقُولُ " سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ " . ثُمَّ يَقُولُ " اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا " . ثُمَّ يَقُولُ " أَعُوذُ بِاللَّهِ السَّمِيعِ الْعَلِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ مِنْ هَمْزِهِ وَنَفْخِهِ وَنَفْثِهِ "

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে নামায আদায় করতে উঠে প্রথমে তাকবীর (আল্লাহু আকবার) বলতেন, অতঃপর এই দু'আ পাঠ করতেনঃ 'সুবহানাকা আল্লাহুমা ...... ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।' অর্থাৎ “হে আল্লাহ! তুমি মহাপবিত্র, তোমার জন্যই প্রশংসা, তোমার নাম বারকাতপূর্ণ, তোমার মর্যাদা সর্বোচ্চ এবং তুমি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই।" অতঃপর তিনি বলতেনঃ 'আল্লাহু আকবার কাবীরা', অতঃপর বলতেনঃ 'আউযু বিল্লাহিস ..... ওয়া নাফাসিহি। অর্থাৎ “অভিশপ্ত শাইতান এবং তার কুমন্ত্রণা, ঝাড়ফুক ও যাদুমন্ত্র হতে আমি সর্বশ্রোতা ও সর্বময় জ্ঞানের অধিকারী আল্লাহ তা'আলার নিকটে আশ্রয় চাই”। 
(সুনানে তিরমিজি ২৪২. ইবনু মাজাহ– (৮০৪)। 

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَاصِمٍ الْعَنَزِيِّ، عَنِ ابْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ رَأَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي صَلَاةً قَالَ عَمْرٌو لَا أَدْرِي أَىَّ صَلَاةٍ هِيَ فَقَالَ " اللهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا اللهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا اللهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَسُبْحَانَ اللهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً " . ثَلَاثًا " أَعُوذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ مِنْ نَفْخِهِ وَنَفْثِهِ وَهَمْزِهِ "

ইবনু জুবায়ির ইবনু মুত্বঈম হতে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কোন এক সালাত আদায় করতে দেখেছেন। বর্ণনাকারী ‘আমর বলেন, সেটা কোন সালাত ছিল (ফরয না নফল) তা আমার জানা নেই। তিনি (সালাত আদায়কালে) বলেছেন, ‘‘আল্লাহু আকবার কাবীরান, আল্লাহু আকবার কাবীরান, আল্লাহু আকবার কাবীরান, আলহামদু লিল্লাহি কাসীরান, আলহামদু লিল্লাহি কাসীরান, আলহামদু লিল্লাহি কাসীরান, ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতাও ওয়া আসীলা’’, (তিনবার) ‘‘আ‘উযু বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রাজীমি মিন নাফখিহি ওয়া নাফসিহি ওয়া হামযিহি।’’

(আবু দাউদ ৭৬৪.ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ সালাত, অনুঃ সালাতে আশ্রয় প্রার্থনা করা, হাঃ ৮০৭), তায়ালিসি (৯৪৭), ইবনু জারুদ (৯৬), আহমাদ (৪/৮৫), ত্বাবারানী ‘কাবীর’ এবং ইবনু হাযম ‘মুহাল্লা (৩/২৪৮)।

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَتَادَةَ، وَثَابِتٍ، وَحُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ إِلَى الصَّلَاةِ وَقَدْ حَفَزَهُ النَّفَسُ فَقَالَ اللهُ أَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَلَاتَهُ قَالَ " أَيُّكُمُ الْمُتَكَلِّمُ بِالْكَلِمَاتِ فَإِنَّهُ لَمْ يَقُلْ بَأْسًا " . فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا يَا رَسُولَ اللهِ جِئْتُ وَقَدْ حَفَزَنِي النَّفَسُ فَقُلْتُهَا . فَقَالَ " لَقَدْ رَأَيْتُ اثْنَىْ عَشَرَ مَلَكًا يَبْتَدِرُونَهَا أَيُّهُمْ يَرْفَعُهَا "

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি দ্রুত গতিতে ক্লান্ত অবস্থায় মসজিদে (সালাতে) উপস্থিত হয়ে বলল, ‘‘আল্লাহু আকবার আলহামদু লিল্লাহি হামদান কাসীরান ত্বাইয়্যিবান মুবারাকান ফীহ।’’ অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমাদের মধ্যকার কে এই দু‘আটি পড়েছে? সে তো মন্দ কিছু বলেনি। তখন লোকটি বলল, আমি হে আল্লাহর রসূল! আমি ক্লান্ত অবস্থায় মসজিদে এসে এই দু‘আটি পড়েছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি দেখতে পেলাম, বারজন মালায়িকাহ্ (ফিরিশতা) এজন্য প্রতিযোগিতায় ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে যে, কে সর্বাগ্রে দু‘আটি আল্লাহর দরবারে নিয়ে যাবেন।
(মুসলিম (অধ্যায়ঃ মাসাজিদ, অনুঃ তাকবীরে তাহরীমা ও ক্বিরাআতের মাঝে পাঠ করার দু‘আ), আবু দাউদ ৭৬৩. নাসায়ী (৯০০)

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَمِّهِ الْمَاجِشُونِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ كَبَّرَ ثُمَّ قَالَ " وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفًا مُسْلِمًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لَا شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ اللهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لَا إِلَهَ لِي إِلَّا أَنْتَ أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا إِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ وَاهْدِنِي لأَحْسَنِ الأَخْلَاقِ لَا يَهْدِي لأَحْسَنِهَا إِلَّا أَنْتَ وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا لَا يَصْرِفُ سَيِّئَهَا إِلَّا أَنْتَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ كُلُّهُ فِي يَدَيْكَ وَالشَّرُّ لَيْسَ إِلَيْكَ أَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ " . وَإِذَا رَكَعَ قَالَ " اللهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ خَشَعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَمُخِّي وَعِظَامِي وَعَصَبِي " . وَإِذَا رَفَعَ قَالَ " سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمِلْءَ مَا بَيْنَهُمَا وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَىْءٍ بَعْدُ " . وَإِذَا سَجَدَ قَالَ " اللهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ وَصَوَّرَهُ فَأَحْسَنَ صُورَتَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ وَتَبَارَكَ اللهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ " . وَإِذَا سَلَّمَ مِنَ الصَّلَاةِ قَالَ " اللهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَسْرَفْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَالْمُؤَخِّرُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ "

‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে দাঁড়িয়েউ তাকবীর বলার পর নিম্নোক্ত দু‘আ পাঠ করতেনঃ

‘‘ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাত্বারাস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহয়ায়া ওয়া মামাতী লিল্লাাহী রব্বিল ‘আলামীন। লা শারীকা লাহু ওয়া বিযালিকা উমিরতু ওয়া আনা আওয়ালুল মুসলিমীন। আল্লহুম্মা আনতাল মালিকু লা ইলাহা লী ইল্লা আনতা, আনতা রব্বি ওয়া আনা ‘আবদুকা। যালামতু নাফসী ওয়া‘তারাফতু বিযামবী ফাগফিরলী যুনূবী জামীআন। লা ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা ওয়াহদিনী লি-আহসানিল আখলাক্ব। লা ইয়াহদিনী লি-আহসানিহা ইল্লা আনতা ওয়াসরিফ ‘আন্নী সাইয়্যিআহা, লা ইয়াসরিফু সাইয়্যিআহা ইল্লা আনতা। লাব্বাইকা ওয়া সা‘দাইকা ওয়াল- খায়রু কুল্লুহূ ফী ইয়াদাইকা, ওয়াশ শাররু লাইসা ইলাইকা আনাবিকা ওয়া ইলাইকা তাবারাকতা ওয়া তা‘আলাইতা আসতাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা।’’ 

অতঃপর রুকু‘কালে তিনি এই দু‘আ পাঠ করতেনঃ ‘‘আল্লাহুম্মা লাকা রাকা‘তু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া লাকা আসলামতু, খাসাআ লাকা সামঈ ওয়া বাসারী ওয়া মুখয়ী ওয়া ‘ইযামী ওয়া ‘আসাবী।’’

তারপর রুকু‘ হতে মাথা উঠিয়ে তিনি এই দু‘আ পাঠ করতেনঃ ‘‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্, রব্বানা লাকাল হামদ মিলউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়া মিলউ মা বায়নাহুমা ওয়া মিলউ মাশি’তা মিন শায়ইন বা’দু।’’

তারপর সিজদার্ সময় এই দু‘আ পাঠ করতেনঃ ‘‘আল্লাহুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া লাকা আসলামতু। সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খালাকাহু ওয়া সাওয়ারাহু ফাআহসানা সূরাতাহু ওয়া শাক্কা সাম‘আহু ওয়া বাসারাহু ওয়া তাবারাকাল্লাহু আহসানুল খালিক্বীন।’’

তারপর সালাত শেষে সালাম ফিরিয়ে তিনি এই দু‘আ পাঠ করতেনঃ ‘‘আল্লাহুম্মাগফিরলী মা ক্বাদ্দামতু ওয়ামা আখখারতু, ওয়ামা আসরারতু ওয়ামা আলানতু ওয়ামা আসরাফতু ওয়ামা আনতা আ‘লামু বিহী মিন্নী। আনতাল মুক্বাদ্দিমু ওয়াল মুআখখিরু লা-ইলাহা ইল্লা আনতা।
(মুসলিম (অধ্যায়ঃ সালাত, অনুঃ রাতের সালাতে দু‘আ), তিরমিযী (অধ্যায়ঃ দা‘ওয়াত, হাঃ ৩৪২১) আবু দাউদ ৭৬০)

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، أَخْبَرَنِي أَزْهَرُ بْنُ سَعِيدٍ الْحَرَازِيُّ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ حُمَيْدٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ بِأَىِّ شَىْءٍ كَانَ يَفْتَتِحُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قِيَامَ اللَّيْلِ فَقَالَتْ لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ شَىْءٍ مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَحَدٌ قَبْلَكَ كَانَ إِذَا قَامَ كَبَّرَ عَشْرًا وَحَمِدَ اللهَ عَشْرًا وَسَبَّحَ عَشْرًا وَهَلَّلَ عَشْرًا وَاسْتَغْفَرَ عَشْرًا وَقَالَ " اللهُمَّ اغْفِرْ لِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي وَعَافِنِي " . وَيَتَعَوَّذُ مِنْ ضِيقِ الْمَقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ .

‘আসিম ইবনু হুমায়িদ সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের সালাত কিসের দ্বারা আরম্ভ করতেন সে সম্পর্কে আমি ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তুমি আমাকে এমন একটি প্রশ্ন করেছ যা ইতিপূর্বে কেউ করেনি। অতঃপর তিনি বলেন, তিনি সালাতে দাঁড়িয়ে প্রথমে দশবার আল্লাহু আকবার, দশবার আলহামদুলিল্লাহ, দশবার সুবহানাল্লাহ, দশবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং দশবার আস্তাগফিরুল্লাহ বলতেন। তারপর এই দু‘আ পড়তেনঃ ‘‘আল্লাহুম্মাগফির লী ওয়াহদিনী ওয়ারযুকনী, ওয়া ‘আফিনী।’’এছাড়া তিনি কিয়ামতের দিনের সংকীর্ণ স্থান হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।
(আবু দাউদ ৭৬৬.নাসায়ী (অধ্যায়ঃ কিয়ামুল লাইল, হাঃ ১৬১৬), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ সালাত ক্বায়িম, অনুঃ তাহাজ্জুদ সালাতে দু‘আ পাঠ করা প্রসঙ্গে, হাঃ ১৩৫৬)

حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، سَأَلْتُ عَائِشَةَ بِأَىِّ شَىْءٍ كَانَ نَبِيُّ اللهِ صلي الله عليه وسلم يَفْتَتِحُ صَلَاتَهُ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ قَالَتْ كَانَ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ يَفْتَتِحُ صَلَاتَهُ " اللهُمَّ رَبَّ جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ أَنْتَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ "

আবূ সালামা ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের সালাত কিসের দ্বারা আরম্ভ করতেন? তিনি বললেন, তিনি রাতে দন্ডায়মান হয়ে এই দু‘আ দ্বারা সালাত আরম্ভ করতেনঃ ‘‘আল্লাহুম্মা রব্বা জিবরীলা ওয়া মীকাঈলা ওয়া ইসরাফিলা ফাত্বিরাস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদা, ‘আলিমুল গায়বি ওয়াশ শাহাদাতি, আনতা তাহকুমু বাইনা ‘ইবাদিকা ফীমা কানূ ফীহি ইয়াখতালিফূন। ইহদিনী লিমাখতুলিফা ফীহি মিনাল হাক্বক্বি বি-ইযনিকা, ইন্নাকা আনতা তাহদী মান তাশাউ ইলা সিরাত্বিম মুসতাক্বীম।’’
(আবু দাউদ ৭৬৭.মুসলিম (অধ্যায়ঃ মুসাফিরের সালাত, অনুঃ তাহাজ্জুদ সালাতের দু‘আ ও কিয়াম), তিরমিযী (অধ্যায়ঃ দা‘ওয়াত, হাঃ ৩৪২০), নাসায়ী (অধ্যায়ঃ কিয়ামুল লাইল, অনুঃ কোন জিনিস দ্বারা সালাত শুরু করবে, হাঃ ১৬২৪), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ সালাত ক্বায়িম, অনুঃ তাহাজ্জুদ সালাতে দু‘আ পাঠ প্রসঙ্গে, হাঃ ১৩৫৭), আহমাদ (৬/১৫৬)।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উপরোক্ত হাদীস গুলো থেকে জানা গেলো যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাতে সালাতে দাঁড়াতেন তখন তাকবীরের পর বিভিন্ন ভাবে তাসবিহ, তাহমিদ, দোয়া পাঠ করতেন,বিভিন্ন সূত্রে বুঝা যায় যে রাসুলুল্লাহ সাঃ যেই তাসবিহ দোয়া ইত্যাদি পাঠ করেছেন,এর বেশির ভাগই নফল নামাজে। 

★তবে প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে কিয়ামুল লাইল ছাড়া অন্যান্য ফরজ নফল সালাতেও অনুসরণ করা যাবে।

(এক্ষেত্রে উলামায়ে কেরামগন ফরজ নামাজে এভাবে অতিরিক্ত দোয়াগুলি পাঠ না করতে পরামর্শ প্রদান করেছেন। নফল নামাজে পড়ার জন্য উদ্ভুদ্ধ করেছেন।)

উক্ত দু'আ গুলো হাত বেধে পড়তে হবে।

আউযুবিল্লাহিস সামি'য়িল আলিম........উক্ত দু'আটি পাঠের পরে সূরাহ ফাতিহার পূর্বে ইস্তিয়াজা পাঠ করতে হবেনা। উক্ত দু'আটি ইস্তিয়াজা হিসেবে গণ্য করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 158 views
...