আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (42 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

আমি বেবি নিতে চাচ্ছিলাম। আমার হায়েযের ডেট ১৭ তারিখ, আমার সাধারণত সবসময় একদম ডেট মত হয়। এ মাসে না হওয়ায় আমি ধরে নিচ্ছিলাম হয়তো বেবি কনসিভ হয়ে গেছে। আজকে ১৯ তারিখ, আমি উমরাহ করার জন্য আসছি। মক্কায় পৌঁছে দেখি আমার হায়েজ হয়ে গেছে।

এমতাবস্থায়,আমি কি হায়েজ বন্ধের জন্য ঔষধ খেয়ে, হায়েজ বন্ধ হয়ে গেলে এরপর ইহরাম বেধে উমরাহ করতে পারবো?

উস্তাদ, মনে হচ্ছে বুকের ভেতর টা ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে আমার।

আল্লাহ্ পাকের ইচ্ছা, আল্লাহ্ হয়তো এতেই কল্যাণ রেখেছেন।

আমি মক্কায় আজ বাদে আর ৬ দিন থাকবো, আমার সাধারণত হায়েজ ৬-৭ দিন পর্যন্ত হয়। তাই, দেখা যাবে আমি উমরাহ করতেই পারবো না। আমি চাচ্ছিলাম হায়েজ বন্ধের জন্য ঔষধ খেয়ে নিতে।

জরুরী ভিত্তিতে আমার উত্তর টা দিয়ে সহায়তা করবেন উস্তাদ।

খুব জরুরি ভিত্তিতে উত্তর টা দিয়েন উস্তাদ, ইং শা আল্লাহ্।

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

ঋতুবর্তী ও প্রসূতি নারীর জন্য গোসল করে হজের ইহরাম বাঁধা জায়েজ। হানাফি ও শাফেয়ি মাজহাবসহ অধিকাংশ আলেমের মতে, রক্তস্রাব ও প্রসূতি মহিলাদের ইহরাম বাঁধার আগে গোসল করা মুস্তাহাব। গোসল করা সম্ভব না হলে বা অসুবিধা বোধ করলে অজু করবে। এ প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে-হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আসমা বিনতে উমায়স রাদিয়াল্লাহু আনহা জুলহুলায়ফা নামক স্থানে আবু বকরের পুত্র মুহাম্মাদকে প্রসব করলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবু বকরের মাধ্যমে তাকে গোসল করে ইহরাম বাঁধার নির্দেশ দিলেন। (মুসলিম) ঋতুবর্তী ও প্রসূতিকালীন সময়ে মহিলার বাইতুল্লাহ তাওয়াফ ব্যতিত হজের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে।মহিলাদের ঋতুস্রাব ও প্রসূতিকালীন সময় শেষ হলে পবিত্র হয়ে বাইতুল্লায় তওয়াফ আদায় করে নিবে। তবে হজ পালনের জন্য মহিলারা ওষুধের মাধ্যমে মাসিক ঋতুস্রাব বন্ধ রেখেও হজের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।

হায়েজ অবস্থায় শুধু তাওয়াফে যিয়ারত করা নিষিদ্ধ। বাকি হজ্বের সকল কাজ হায়েজ অবস্থায় করা যাবে। যেমন উকুফে আরাফা, উকুফে  মুযদাদলিফা, সা’য়ী, পাথর নিক্ষেপ ইত্যাদি।

হায়েজ হলেও হজ্ব ভঙ্গ করবে না। বরং তাওয়াফে যিয়ারাত ছাড়া বাকি কাজগুলো আদায় করবে। হায়েজ শেষ হলে তওয়াফে যিয়ারত করে নিবে।

যদি বিমান ছুটে যাবার সম্ভাবনা থাকে, বা অন্যান্য কোন সমস্যা থাকে, তাহলে পূর্ব থেকে পিল খেয়ে হায়েজ বন্ধ করেও হজ্ব করতে পারবে। সমস্যা নেই।

وَالْأَصْلُ أَنَّ كُلَّ عِبَادَةٍ تُؤَدَّى لَا فِي الْمَسْجِدِ مِنْ أَحْكَامِ الْمَنَاسِكِ فَالطَّهَارَةُ لَيْسَتْ مِنْ شَرْطِهَا كَالسَّعْيِ وَالْوُقُوفِ بِعَرَفَةَ وَالْمُزْدَلِفَةِ وَرَمْيِ الْجِمَارِ وَنَحْوِهَا، وَكُلُّ عِبَادَةٍ فِي الْمَسْجِدِ فَالطَّهَارَةُ مِنْ شَرْطِهَا، وَالطَّوَافُ يُؤَدَّى فِي الْمَسْجِدِ كَذَا فِي شَرْحِ الطَّحَاوِيِّ. (الفتاوى الهندية، كتاب المناسك، الباب الخامس فى كيفية اداء الحج-1/227)

প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই / বোন!

হায়েজ (পিরিয়ড) অবস্থায় নারীরা শুধু তাওয়াফ ব্যতীত হজ বা উমরার অন্য সমস্ত আরকান পালন করতে পারবেন। হায়েজ শেষ হওয়ার পর গোসল করে তাওয়াফ করতে হবে। হায়েজের কারণে তাওয়াফ বিলম্বিত হলে কোনো গোনাহ হবে না। সুতরাং ওষুধ-বড়ি খেয়ে হায়েজ বন্ধ রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা বা মনোক্ষুণ্ন হওয়ারও কোনো কারণ নেই। তবে হায়েজ বন্ধ হওয়ার আগেই ফেরত ফ্লাইটের তারিখ হয়ে গেলে ওষুধ খেয়ে হায়েজ বন্ধ করে তাওয়াফ করা যাবে। যদি শুরু থেকেই ওষুধ-বড়ি খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রেখে কেউ হজের সমস্ত কাজ করেন, তাতেও শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো আপত্তি নেই। (মাহমুদিয়া ১৫/৪৯১কাদীর ২/৩৩৭ রহিমিয়া ৮/৮৭)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 136 views
0 votes
1 answer 125 views
...