আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
71 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
১। আমি একজনকে বলতে চাচ্ছিলাম আমি উন্মুক্ত তে ভর্তি হয়েছি। উন্মুক্ত কথাটা নিয়ে আমার ওয়াসওয়াসা হবে আমি জানতাম যেহেতু এটা কেনায়া বাক্য। আমি তাই উন্মুক্ত লিখার সময় মনে মনে কখনোই না কখনোই না বলতেসিলাম সেই ফাঁকেই একবার মনে চলে আসছে আমি উন্মুক্ত। তারপরে আবারো আমি না না না নাকি কখনোই না কখনোই না মনে মনে বলতেসিলাম কোনটা বলছিলাম আমার মনে নাই। আমি নিজের ওপর তালাক এটা বলিনি উন্মুক্ত লিখার সময়। আমার এসবের নিয়ত ও ছিলোনা ওয়াসওয়াসার জন্য আমি না চাইলেও মনে চলে আসে। এভাবে কি তালাক হয়ে গেছে???

২।আমি উন্মুক্ত বলার সময় আর মনে মনে আমি উন্মুক্ত না অথবা কখনোই না বলার কোনো ফাঁকে যদি মনে চলে আসে আমার নিজের ওপর তালাক তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে?আমার এই ধরণের ইচ্ছা ছিলোনা। আমিতো ভয়ে কখনোই না বলতেসিলাম

৩। ইন্নাশানিয়া কাহুয়াল অবতার বলার সময় কেউ যদি ইচ্ছা করে মনে এনে আমার নিজের তালাক তাহলেকি তালাক হয়ে যাবে?

৪। কুলহুআল্লু আহাদ বলার সময় কেউ ইচ্ছা করে নিজের ওপর তালাক মনে আনলে কি তালাক হয়ে যাবে?? তারপর পুরা সুরতা পড়ার সময় না না মনও মনে বলতসিলা। এটা কি গুনা হবে?

৫। মোবাইলে সংখ্যা টাইপ করার সময়  মনে আসে আমার নিজের ওপর ওই সংখ্যা তালাক। তাহলেই কি তালাক হবে?

৬। ওয়েবসাইট এ ধুকার সময় পাসওয়ার্ড দিতে হয় সেখানে ৩ টা সংখ্যা লিখার সময় মনে মনে কখনোই না বোল্টসিলাম ৪ নাম্বার সখনা লিখার আগে নিঃশাস নিসিলাম এর পরেই মনে হলো আমি যেনো ইচ্ছা করেই বলসি নিজের ওপর উক্ত সংখ্যার তালকা। এভাবে কি তালাক হয়?? আমার তো তালাকের ইচ্ছা নাই।

৭। এখানে প্রশ্নের আগে সংখ্যা লিখার সময় মনও আসে নিজের ওপর এতো তালাক। মনে হলো ইচ্ছা করে মনে করসি। অথচ এসব আমি মনে আনতে চাইনা সবচেয়ে বড়  কথা আমি তালাক চাইনা। এভাবেকি তালাক হয়ে গেছে??

৮। প্রশ্ন করার জন্য সংখ্যা লিখার সমপি কেউ ইচ্ছা করে সজ্ঞানে মনে মনে যদি নিজের ওপর উক্ত সংখ্যার তালাক নেয় তাহলেকি তালাক হয়ে যায়??।।

এই তালাক এর ওয়াস ওয়াসা থেকে আমি কভাবে বের হবো??

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আমি উন্মোক্ত বলার সময়ে নিজেকে উন্মোক্ত ভাবার দ্বারা তালাক হবে না।

(২) উন্মুক্ত বলার সময় যদি মনে চলে আসে আমার নিজের ওপর তালাক তাহলে ও তালাক হবে না।

(৩) ইন্নাশানিয়া কাহুয়াল অবতার বলার সময় কেউ যদি ইচ্ছা করে মনে এনে আমার নিজের তালাক তাহলেও তালাক হবে না।

(৪) কুলহুআল্লু আহাদ বলার সময় কেউ ইচ্ছা করে নিজের ওপর তালাক,এটা মনে আনলেও তালাক হবে না। 

(৫) মোবাইলে সংখ্যা টাইপ করার সময় মনে আসে আমার নিজের ওপর ওই সংখ্যা তালাক। তাহলেও তালাক হবে না।

(৬) ওয়েবসাইট এ লগইন করার সময় পাসওয়ার্ড দেয়ার মুহূর্তে  নিজের ওপর উক্ত সংখ্যার তালকা ভাবলে এদ্বারাও  তালাক হবে না।

(৭) প্রশ্নের আগে সংখ্যা লিখার সময় মনে আসে নিজের ওপর এতো তালাক। এভাবে তালাক হবে না। 

(৮) প্রশ্ন করার জন্য সংখ্যা লিখার সময় কেউ ইচ্ছা করে সজ্ঞানে মনে মনে যদি নিজের ওপর উক্ত সংখ্যার তালাক নেয়, তাহলেও তালাক হবে না।

তালাকের ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার জন্য আপনি ভাববেন যে, এটা শয়তানের পক্ষ্য থেকে আপনার মনে আসছে, সাথে সাথেই শয়তানের এই প্ররোচনাকে দূর করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...