আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (53 points)
edited by
১.গত পরশু রাতে আমার হাসবেন্ড আমাকে একটা ব্যাপারে খুব রাগারাগি করতেছিলেন।এক পর্যায়ে তিনি তালাক নিয়ে কি যেন একটু বলছেন আমার সন্দেহ হচ্ছে যে উনি আগে তালাকের মাসায়ালা নিয়ে আগে অনেক কিছু করছ এরকম টাইপের কিছু বলছেন কিনা নাকি তুমি তালাক এটা বলছেন কিনা তাই নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।তুমি তালাক এটা বলচে কিনা শিওর না। তালাক দিলাম এটা তিনি বলেননি শিওর।আমার সন্দেহের কারনে এমনটা মনে সন্দেহ আসতেছে কিনা জানিনা। তুমি তালাক এটা বলছেন কিনা তাও শিওর জানিনা তবে তালাকের বিষয়ে কিছু একটা বলছেন এটা মনে আছে। কিন্তু কি বলেছেন সেটা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে । তাকে জিজ্ঞেসও করতে পারছি না ভয়ে যদি আবারও ঝগড়া হয় উল্টপাল্টা কিছু বলে।আমার করনীয় কি তালাক ধরে নিব কি?

২.নামাজের মধ্যে বৈঠকে নাকি সেজদায় সন্দেহ হচ্ছে হাত দিয়ে পায়ের গোড়ালির উপর কাপড় উঠে গেছে কিনা সেজন্য ২ পায়ের গোড়ালির উপর কাপড় টেনে দিচ্ছিলাম খুব সম্ভব ২ বার দিয়েছি।বা পায়ের গোড়ালির উপর কাপড় ঠিক করতে যেয়ে সামান্য পাছা উপরের দিকে উঠাতে হয়েছে।আবার সন্দেহ হচ্ছে কাপড় কি ২ হাত দিয়ে দিয়ে ঠিক করেছি কিনা।বিবরণ মতে নামাজ ঠিক আদায় হয়েছে কি?

৩.গতকাল মাগরিবের নামাজ শেষে তার আগেরদিনের মাগরিবের কাজা নামাজ পড়ার পর যে পাজামা পড়ে নামাজ পড়ছিলাম সেটা পাল্টে অন্য পাজামা পরার পর লজ্জাস্থানে কাপড় দিয়ে চেক করে দেখলাম ভেজা কাপড়ে লাগছে তবে সেটা ১ দিরহামের কম বা বেশি কিনা সন্দেহ হচ্ছে।ওয়াক্তিয়া নামাজের ভিতর নাকি ওয়াক্তের নামাজরে পর গতকালের কাজা নামাজটা পড়ার সময় কোনটার কিছু বের  হচ্ছে এরকম কিছু মনে হয়েছিল কিনা তা নিয়েও সন্দেহ যে কোনো একটা হবে।তবে যে পাজামা পরে নামাজ পড়েছি সেটায় সাদাস্রাবের কোনো দাগ নেই পরিস্কার। পরের পাল্টানো কাপড় দিয়ে চেক করে এমনটা দেখেছি।ওয়াক্তের নামাজ ও কাজা নামাজ কি হয়েছে নাকি আবার দোহরাতে হবে?

৪.নামাজ শেষ করে উঠার পরপরই যদি সলাম ফিরানো নিয়ে সন্দেহ হয় অর্থাৎ ১ দিকে সালাম ফিরালাম নাকি ২ দিকে ফিরালাম এরকমনটা বা কোনো দিকেই সালাম ফিরিয়েছি কিনা তা নিয়ে সন্দেহ হলে কি নামাজ হবে??

৫.নামাজ শেষে উঠার আগে যদি সন্দেহ হয় সালাম ফিরিয়েছি  কিনা তাহলে কি নামাজ হবে?

৬.যদি সেজদায় যাওয়ার পর সন্দেহ জাগে রুকু করেছিলাম কিনা তখন পরের রাকাতের রুকুর সাথে আরো একটা অতিরিক্ত রুকু করে সহুসেজদা করে নামাজ শেষ করলে নামাজ আদায় করলে কি নামাজ হবে??

৭.তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত এক মহিলা কোনো এক নায়ক নাইকার বিয়ে ভেঙে গেছে এটা বলতেছিলো।তখন তার বোন জিজ্ঞেস তাকে করতেছিলো ডিভোর্স হয়ে গেছে? সে উত্তর দেয় হুম এটা বলার সময় ঐ মহিলার মনে নিজের উপর তালাকের কথা চলে আসে।এতে কি ঐ মহিলার উপর তালাক পতিত হয়ে যাবে??

৮.সে পরবর্তীতে তার বোনের কাছে জিজ্ঞেস করার সময় বলছে ডিভোর্স হয়ে গেছে প্রশ্নের সুরেই হয়তো জিজ্ঞেস করছে তবুও সন্দেহ লাগছে "ডিভোর্স হয়ে গেছে" একথাটা সে "ডিভোর্স হয়ে গেছে?" এরকম জিজ্ঞেসার মতো করে ২ বার বলছে কিনা? এখন উক্ত বাক্য বলাতে কি নিজের উপর তালাক হবে?

৯.কোনো ব্যক্তি তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত কোনো মহিলাকে জিজ্ঞেস করলো cancel? ঐ মহিলা উত্তর দিলো হুম।হুম বলার ঐ মহিলার মাথায় নিজের উপর তালাকের কথা মনে চলে আসলো  এতে ঐ মহিলার উপর তালাক পতিত হবে??

১০.৮ ও ৯ নং প্রশ্ন করার কারনে কি আমার নিজের উপর কোনো তালাক হবে??যদি এটা আমার ঘটনা হয়ে থাকে।

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
https://ifatwa.info/51644/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]
,
সুতরাং তালাকের পর স্বামী তালাকের কথা অস্বীকার করলে, আদালতে স্বামীর কথাই গ্রহণযোগ্য হবে। সে হিসেবে বিয়ে বহাল থাকবে।
তালাকের ফায়সালা দেয়া হবেনা।
,
তবে স্ত্রী যদি স্বামীর তালাক প্রদানের বিষয়ে নিশ্চিত হয়,তাহলে তার জন্য করণীয় হল, স্বামীর কাছ থেকে খোলা তালাক নিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। যদি এতেও স্বামী রাজি না হয় এবং বাধ্য হয়ে স্ত্রী তার সাথে থাকতে হয়, তাহলে স্ত্রী গুনাহগার না হলেও স্বামী যিনার গুনাহে গুনাহগার হবে।
(রদ্দুল মুহতার ৪/৪৬৩)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনি মূলত ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত। 
তাই যথাসম্ভব আপনি ভূল শুনেছেন।

তাই শুধু শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে স্বামীকে প্রশ্ন না করাই আপনার জন্য উচিত হবে।
আর যদি আপনি নিশ্চিত হোন যে আপনার স্বামী আপনাকে "তুমি তালাক" এটিই বলেছেন।
সেক্ষেত্রে স্বামীকে ঠান্ডা মাথায় জিজ্ঞাসা করবেন।

(০২)
বিবরণ মতে আপনার নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে।

(০৩)
আপনি সতর্কতামূলক মাগরিবের নামাজ ও কাজা নামাজ উভয়টিই পুনরায় আদায় করবেন।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার নামাজ হয়ে যাবে।

(০৫)
এক্ষেত্রে আপনার নামাজ হয়ে যাবে।
সন্দেহের দিকে ভ্রুক্ষেপ করবেননা।

(০৬)
হ্যাঁ, উক্ত নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে। 

(০৭)
এতে ঐ মহিলার উপর তালাক পতিত হয়ে যাবেনা।

(০৮)
এখন উক্ত বাক্য বলাতে নিজের উপর তালাক হবেনা।

(০৯)
এতে ঐ মহিলার উপর তালাক পতিত হবেনা।

(১০)
৮ ও ৯ নং প্রশ্ন করার কারনে আপনার নিজের উপর কোনো তালাক হবেনা।
যদি এটা আপনার ঘটনা হয়ে থাকে,তবুও কোনো তালাক হবেনা। 
আপনিই নিশ্চিন্তে থাকুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...