আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,259 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (63 points)
বুকের,হাতের,পায়ের,পায়ের নখের উপরে লোম উঠলে কি কাটা জায়েজ আছে?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

জবাব
নাভীর নীচ এবং বগলের চুল ব্যতীত শরীরের অন্যান্য অঙ্গের চুল প্রয়োজনে মুন্ডানো যাবে।তবে সেটা আদবের খেলাফ।আর অমুসলিমদের অনুসরণে হলে সেটা হারাম।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
وفي حلق شعر الصدر والظهر ترك الأدب كذا في القنية
বুক এবং পিঠের চুলকে মুন্ডানো খেলাফে আদব।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৫৮)
আরো বর্ণিত রয়েছে-
(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১৯/৪৪৬)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
وعن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ((الفطرة خمس: الختان، والاستحداد، وقص الشارب، وتقليم الأظفار، ونتف الإبط)) متفق عليه.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,ফিতরাত তথা স্বভাবগত সুন্নত পাচঁটি।
(১)খৎনা করা।(২)খুর দ্বারা নাভীর নীচ পরিস্কার করা।(৩)মুছ কাট(৪)নক কাটা(৫)বগলের চুলকে উপড়িয়ে ফেলা।(মিশকাতুল মাসাবিহ-৪৪২০)

মুল্লা আলী ক্বারী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
(والاستحداد) : أي حلق العانة، وهو استفعال من الحديد، وهو استعمال الحديد من نحو الموسى في حلق العانة ذي الشعر الذي حوالي ذكر الرجل وفرج المرأة. زاد ابن شريح: وحلقة الدبر، فجعل العانة منبت الشعر مطلقا، والمشهور الأول، فإن أزال شعره بغير الحديد لا يكون على وجه السنة. كذا في شرح المشارق، ويجب أن يعلم أنه لا يقطع شيئا من شعر وهو جنب.
ইস্তেহদাদ অর্থ হলো,নাভীর নীচ কে খুর ইত্যাদি দ্বারা পরিস্কার করা। পুরুষাঙ্গ ও যোনিপথের আশপাশের সবকিছুকে খুর দ্বারা পরিস্কার করতে হবে।ইবনে শুরাইহ বলেন, মলমূত্রত্যাগের স্থানকেও খুর দ্বারা পরিস্কার করতে হবে।উনি নাভীর নীচের সকল চুলকে তাতে শামিল রাখেন তা যেখানেই হোকনা কেন।তবে প্রথম মতটাই অধিক প্রসিদ্ধ।যদি কেউ খুর ব্যতীত অন্য কিছু দ্বারা নাভীর চুলকে পরিস্কার করে,তাহলে সেটা সুন্নত অনুযায়ী হবে না।(শরহে মাশারিক্ব) সবার জানা থাকা উচিৎ যে,জুনুবী অবস্থায় নাভীর চুলকে কাটা যাবে না।

المفهوم من حديث أبي هريرة: أن حلق الإبط ليس بسنة، بل السنة نتفه لأن شعره يغلظ بالحلق، ويكون أعون للرائحة الكريهة. قال النووي: النتف أفضل لمن قوي عليه، لما حكي أن الشافعي كان يحلق إبطه فقال: علمت أن السنة نتفه، لكن لا أقوى على الوجع. 
আবু হুরায়রা রাযি এর হাদীস থেকে বুঝা যায় যে,বগলের চুলকে মুন্ডানো সুন্নত নয়।বরং সুন্নত হলো,উপড়িয়ে ফেলা।কেননা মুন্ডানোর দ্বারা বগলের চুল আরো গাঢ়তম আকার ধারণ করবে, অতঃপর সেটা দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ বনে যাবে।ইমাম নববী রাহ বলেন,উপড়িয়ে ফেলার কষ্টকে যার সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে সে যেন উপড়িয়ে ফেলে।আর যার সহ্য করার ক্ষমতা নেই, সে যেন মুন্ডিয়ে ফেলে।যেমন ইমাম শাফেয়ী রাহ বগলের চুলকে উপড়িয়ে ফেলতেন।উনাকে জিজ্ঞাসা করা হলে উনি বলতেন,আমি জানি উপড়িয়ে ফেলা সুন্নত।তবে উপড়িয়ে ফেলার কষ্টকে আমি সহ্য করতে পারি না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
reshown
মলমূত্রত্যাগের স্থানকেও খুর দ্বারা পরিস্কার করতে হবে!..এইটা করলে যখন নতুন ভাবে লোম উঠে তখন খুবই কষ্ট হয়।যদি লোম গুলো না চেচে যতদূর সম্ভব ছোটো করি জায়েজ হবে কি?
by (712,400 points)
জ্ব,জায়েয হবে?
by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম। 
ভ্রুর নিচের অংশে অবাঞ্চিত লোম হলে সেটা কি কাটা জায়েজ হবে?? মানে সেটা ভ্রুর অংশ না আলাদা ভাবে চুল এর মতো হয়েছে দেখতে খুবই বাজে লাগে, আমি কি এটা সীমিত সময়ের জন্য কেটে দেখতে পারি?? জায়েজ হবে নাকি  নাজায়েজ হবে??
by (712,400 points)
জ্বী, প্রশ্নের বিবরণ মতে ভ্রুর অংশকে কর্তন করতে পারবেন। 
by
বুকের লোম এতোদিন কোন অসুবিধা করে নাই, আজ প্রায় ১০ বছরের মতো হবে। মাঝে ২০১৩ সালে অ্যাপেন্ডিক্সের জন্য একবার শেভ করছিলাম বুক। আর করিনাই। কিন্তু ইদানিং বুকের লোমগুলোতে ব্যাথা অনুভব করছি। চুলকায় ও। এই অবস্থায় আমি ভাবছি একবার ওয়াক্স করে নিবো। যেহেতু এটা হারাম নয় জানি, তবু একটু পরামর্শ চাচ্ছি যে করাটা ঠিক হবে কিনা।
by (712,400 points)
অসুবিধে হলে আপনি বুকের লোম পরিস্কার করতে পারবেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 206 views
...