নামাজ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা

Question

আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু

আমরা জানি ফরয ও ওয়াজিব নামাজ কাযা হয়ে গেলে তার কাযা আদায় করতে হয়।

এক নং প্রশ্নঃ এখন জানার বিষয় হলো সুন্নাত নামাযের কি কাযা আছে??

দুই নাম্বার প্রশ্নঃ যদি সুন্নাতের কাযা না থাকে তাহলে আমরা যে সুন্নাত পড়ি যেমন ফজরের আগের দুই রাকাত সুন্নত যোহরের আগের চার রাকাত সুন্নত এগুলো কেন পড়বো ? আর কোন নিয়তে পড়বো?

তিন নাম্বার প্রশ্নঃ হাদিসে ফজরের ফরযের আগে দুই রাকাত সুন্নাত পড়ার যেই সওয়াবের কথা আছে,এখন আমি যদি সেটা পড়ে পড়ি তাহলেও কি ঐ সওয়াব পাবো??

হুজুর একটু দালিলিক প্রমাণ দিয়ে উত্তর গুলো খুব উফক্রিত হতাম কারন সমাজে একটু বিভ্রান্ত বিরাজ করছে।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
ركعتا الفجر خير من الدنيا وما فيها.
ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ৭২৫)

তিনি আরো বর্ণনা করেছেন-
لم يكن النبي صلى الله عليه وسلم على شيء من النوافل أشد منه تعاهدا على ركعتي الفجر.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) নামাযে এত গুরুত্ব দিতেন যা অন্য কোনো নফল (বা সুন্নত) নামাযে দিতেন না। (সহীহ বুখারী, হাদীস ১১৬৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৭২৪)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/10062

সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামায তরক করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/400

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফজরের সুন্নত ব্যতিত অন্য কোনো নামাযের সুন্নতকে ওয়াক্তের পর কাযা করার কোনো নিয়ম নাই। হ্যা, জোহরের সুন্নতে কাবালিয়্যাহ ছুটে গেলে জোহরের ওয়াক্তের ভিতর পড়ে নেয়া জরুরী। এছাড়া যত সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামায রয়েছে, সেগুলো ছুটে গেলে পরবর্তীতে কাযা করা সুন্নত।ওয়াজিব ছুটে গেলে কাযা করা ওয়াজিব আর ফরয ছুটে গেলে কাযা করা ফরয।

Comments

সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।