হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ - قَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ: جَدُّ عَدِيٍّ اسْمُهُ دِينَارٌ - عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ: «تَدَعُ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ فِيهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ وَتَصُومُ وَتُصَلِّي»
‘আদী ইবনু সাবিত (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি তার পিতার মাধ্যমে তার দাদা হতে, ইয়াহ্ইয়া ইবনু মা‘ঈন বলেন, ‘আদী এর দাদার নাম দীনার, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুসতাহাযা স্ত্রীলোক সম্পর্কে বলেছেন, সে হায়যগ্রস্ত অবস্থা থাকাকালীন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) পরিত্যাগ করবে। অতঃপর মেয়াদ শেষে গোসল করবে এবং প্রত্যেক সালাতের সময় উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করবে। আর সওম (রোযা) পালন করবে ও সালাত আদায় করবে।
(আবূ দাঊদ ২৯৭, তিরমিযী ১২৬, সহীহুল জামি‘ ৬৬৯৮. মিশকাত ৫৬০)
أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ اسْتُحِيضَتْ ، فَسَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَوْ قَالَ : فَسُئِلَ لَهَا النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَأَمَرَهَا أَنْ تَدَعَ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ، وَأَنْ تَغْتَسِلَ فِيمَا سِوَى ذَلِكَ ، وَتَسْتَذْفِرَ بِثَوْبٍ ، وَتُصَلِّيَ . فَقِيلَ لِسُلَيْمَانَ : أَيَغْشَاهَا زَوْجُهَا ؟ فَقَالَ : إِنَّمَا نَقُولُ فِيمَا سَمِعْنَا
ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ)-এর অত্যধিক রক্তস্রাব হতে থাকলে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বিধান জিজ্ঞেস করলেন অথবা তার সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি তাকে নির্দেশ দিলেন, সে যেন তার মাসিক ঋতুর কয়দিন নামায ছেড়ে দেয়, তারপরের দিনগুলোতে গোসল করে পট্টি বেঁধে নামায পড়ে। সুলায়মান (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, তার স্বামী কি তার সঙ্গে সহবাস করতে পারে? তিনি বলেন, আমরা যতটুকু শুনেছি ততটুকু বললাম।
(সুনানে দারা কুতনি ৭৭১)
সুতরাং উমরী ক্বাজা নামাজের দিবসগুলো অনুমান করে গণনা করার সময় পিরিয়ডের দিনগুলো বাদ দিতে হবে।