আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
170 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (12 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,

আমি তালাক ও ঈমান নিয়ে মারাত্তক ওয়াসওয়াসার স্বীকার। এই দুটি বিষয় নিয়ে মনে সব সময় কোন না কোন সন্দেহ হতে থাকে। ওয়াসওয়াসাজনিত অনেক প্রশ্ন করেছি এর আগে। আমার তালাক পতিত হবে না বলেছেন শায়েখ। আমার করা একটা প্রশ্নের লিংক।

https://ifatwa.info/64206/

(১) কোন কথার ভিতর বাদ শব্দ থাকলেই আমার মনে হয় আমি যেন আমার ওয়াইফকে বাদ দিয়ে দিলাম বলছি।
ওয়াইফকে বললাম যে,  এত বেশি বুঝা বাদ দাও। এটা বলার পর মনে হচ্ছে আমি যেন আমার ওয়াইফকে বাদ দিয়ে দিলাম বললাম। মাঝে মাঝে এত বেশি বুঝা বাদ দাও বলতে গিয়ে শব্দের মাঝে বাদ শব্দ থাকার কারনে বলছি যে, এত বেশি বুঝা যাবেনা।

এতে কি তালাক পতিত হবে শায়েখ?

(২) একটা জিনিস আমি আমার ওয়াইফকে যেখানে রাখতে বলেছি আমার ওয়াইফ সেখানে রাখিনি। তাই আমি আমার ওয়াইফের উপর রেগে গিয়ে কিছু কথা বললাম। আমার ওয়াইফ ও কিছু কথা বললো। আমি শেষে বললাম যে, এটা এখানে রাখবা, শেষ। কথা শেষ।

এটা এখানে রাখবা,শেষ। শেষ শব্দ বলার পর সম্পর্ক শেষ বললাম মনে হওয়াতে আবার বললাম কথা শেষ।
এটা বলার পর আমার মনের ভিতর হচ্ছে যে, আমি সম্পর্ক শেষ তাই বললাম। এমন সন্দেহ মনে আসছে।
এতে কি তালাক পতিত হবে শায়েখ??

(৩) আমার ওয়াইফ আমার উপর হালকা অভিমান করে আমাকে বললো যে, আমার কাছে থাকবা না ও আমি তোমার কাছে থাকবো না। মানে সে শারীরিক সম্পর্কোর কথা বলছে।

শুনে আমি বললাম যে, হুম। কিন্তু আমি হুম বলার পর মনে হচ্ছে যে, আমার ওয়াইফ আমার সাথে সংসার না করার কথা বলছে আর আমি বললাম যে হুম।  এমন কথা মনে আসছে। এতে কি তালাক পতিত হবে শায়েখ?

(৪) বেশিরভাগ সময়ে খাবার খাওয়ার পর আমার প্লেটে ভাত থাকে। কিন্তু ইদানিং প্লেটে ভাত থেকে গেলে আমার মনে হচ্ছে যে, আমি মনে হয় হয় প্লেট পরিস্কার করে খাওয়া নবির সুন্নত এটা মানি না। তাই ভাত রাখি। এমন কথা মনের ভিতর চলে আসে। এতে কি আমার ঈমান চলে যাবে শায়েখ?

1 Answer

0 votes
by (713,880 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ

- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ: 
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলামির দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাকও গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।

বিবেক বুদ্ধি লোপ পেতে বসা ওয়াসওয়াসা রোগীর এমন কোনো কথা বার্তা যা মুরতাদ হওয়াকে লাযিম করে দেয়, সেই কথাবার্তার দরুণ উক্ত ওয়াসওয়াসার রোগী মুরতাদ হবে না।(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্ন শুনে মনে হচ্ছে যে, আপনি পুরোপুরি ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগী। আপনার কোনো কথায় তালাক পতিত হবে না এবং আপনার কোনো কথায় আপনার ঈমানেও কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...