ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতবেদ রয়েছে।জুমহুর ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত মহিলাদের জন্য হারাম, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হবে।তবে দু'আ যিকিরের নিয়তে কুরানের আয়াত পড়া যাবে।তেলাওয়াতের নিয়তে পড়া যাবে না।যেমন,বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।রাব্বানা আ'তিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ।এ জাতীয় কুরআনের আরো অন্যান্য আয়াত।
তারা দলীল হিসেবে উপস্থাপন করেন,হায়েয অবস্থায় কুরআনকে স্পর্শ করা যাবে না।
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابن عمر رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : " لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئاً من القرآن
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,হায়েযা এবং জুনবী ব্যক্তি কুরআন থেকে কিছুই পড়তে পারবে না।(সুনানু তিরমিযি-১৩১) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/389
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
হায়েয অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে না। হ্যা, তবে দু'আ হিসেবে কুরআনের আয়াত পড়া যাবে। হাতে ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়া দেয়া যাবে।
(২)
যখন আপনি নিজে অন্য কাউকে শিখাবেন, তখন হায়েয অবস্থায় হয়তো ভেঙ্গে ভেঙ্গে শিখাবেন নয়তো বিরত থাকবেন।
(৩)
হিফজের ছাত্ররা এই সময়েও তিলাওয়াত করতে পারবে না।হ্যা, কেউ কেউ তখন অন্য মাযহাবের উপর আ'মল করতে বলে থাকেন।অর্থাৎ হানাফি ব্যতিত অন্য মাযহাব অনুসারে পড়ার রুখসত রয়েছে। অন্য মাযহাব সম্পর্কে জানতে উপরের লিংকে ক্লিক করুন।
(৪)
হ্যা, আপনি যতটুকু জানেন,শিখাতে পারেন। তবে আপনার চেয়ে ভালো তিলাওয়াকারী কারো কাছে পড়া সম্ভব হলে তখন তার কাছে পড়ার পরামর্শ দিবেন।